মুক্তির স্বাদ তেতো না মধুর?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মুক্তি কথাটা কখনোই এক বাক্যে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। কারণ এটা সংজ্ঞা আমাদের নিজেদের কাছে এক এক রকম। অর্থাৎ ধরুণ, কেউ একবার মৃত্যুর পর থেকে ফিরে আসার পর বলে যে এটাই মুক্তির। সে সাথে আবার আর কেউ কেউ মাঝেমধ্যে মৃত্যুকে মনে করে মুক্তির স্বাদ। অর্থাৎ ওটাই তাদের কাছে মুক্তি। অর্থাৎ মরে যাওয়াটাই তাদের কাছে মুক্তি। কারণ মানুষ মাঝেমধ্যে জীবনের এমন একটা পর্যায়ে দাঁড়ায় যে তারা আসলে সেখান থেকে আর কোথাও যেতে চায়না। শুধুমাত্র মৃত্যুর পথ বেছে নিতে চায়। অর্থাৎ মানুষের কাছে মুক্তির সংজ্ঞাটা আলাদা।
কিন্তু আজকে হঠাৎ আমার লেখালেখি করতে যখন ইচ্ছে হলো। তখন এই প্রশ্নটা আমার মাথায় আসলো। অর্থাৎ মুক্তির স্বাদটা কেমন? কারণ সাধারণত আমরা সব সময় এটাই মনে করি যে, মুক্তির স্বাদটা অনেক বেশি মধুর, অনেক ভালো। কিন্তু আমরা যদি একটু তলিয়ে ভাবতে যাই। তাহলে সত্যিই মুক্তির স্বাদটা কখনোই মধুর হয় না। কারণ মুক্তি এমন একটা জিনিস, যেটা কখনোই আপনি সহজে হাতে পাবেন না।
হয়তো একটা বার মুক্তির স্বাদ ছুঁয়ে দেখার জন্য আপনার জীবন ত্যাগ করতে হতে পারে। আপনার জীবন বিসর্জন দিয়ে মুক্তি আনতে হতে পারে। আর সেটা নিশ্চয়ই কখনো মধুর হয় না। আর হলেও ভেতরে ভেতরে যে তীব্র যন্ত্রণা আছে, সেটা অসম্ভব তেতো।কিন্তু দিনশেষে আমরা সকলেই মুক্তি চাই। আমরা সকলেই মুক্ত পরিবেশে বেঁচে থাকতে চাই। কিন্তু মুক্ত হওয়ার জন্য যে অনেক ত্যাগ করতে হয়। সেটা হয়তো আমরা বুঝিনা। কারণ এটা বুঝতে অনেকেই আমরা সাধারণত মুক্তি চাইতাম না। কারণ ওই যে বললাম, মুক্তির স্বাদটা সব সময় মিষ্টি হয় না। তাই কোনো মুক্তি চাওয়ার আগে আমাদের আগে বুঝতে হবে যে, সেই মুক্তিটা সত্যিই আমাদের দরকার আছে কিনা। কারণ মুক্তি শুধু চাইলেই হয় না। মুক্তি মাঝে মধ্যে অনেক বড় কিছুর পরিবর্তে তবেই পাওয়া যায়।