উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনদুর্ভোগ (প্রথম পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গত বেশ কিছুদিন ধরে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে রয়েছে। দিন দিন যেনো অবস্থাটা আরো জটিল হচ্ছে। জনজীবন রীতিমতো হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে ঘর থেকে বের হলে আবার বেঁচে ফিরতে পারবো কিনা সেই নিশ্চয়তা নেই। চারপাশের নানা রকম অস্থিরতা, সহিংসতা, নৈরাজ্য দেখে রীতিমতো হতাশায় ভুগছি। কারণ এই অস্থির সময়ের পরে যে ভালো সময় আসবে তেমন কোন সম্ভাবনা ও দেখতে পাচ্ছি না। আপনারা সবাই জানেন কোটা সংস্কারের জন্য দেশের ছাত্র সমাজ একটা আন্দোলন শুরু করেছিলো।

1000010308.png

সেই আন্দোলন এখন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। অবশ্য অবস্থা এদিকে আসার পিছনে সরকারের অবদান সবচেয়ে বেশি। সরকার ছাত্রদের সাথে কথাবার্তায় না গিয়ে তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করার চেষ্টা করেছিলো। আর ক্ষমতা প্রদর্শন করতে গিয়ে তারা যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এটা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। দেশের ছাত্র সমাজের উপর নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পুরো দেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। যারা আগে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলো না তারাও এখন আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে।

এটা এখন বাংলাদেশের গণমানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভোটাধিকার বঞ্চিত। এর ভেতরে দুবার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় রয়ে গিয়েছে। আর সুকৌশলে বিরোধীদল গুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিরোধী দলগুলোর সক্ষমতা ইতিমধ্যে অনেক কমে গিয়েছে। যাইহোক শেষ পর্যন্ত বিরোধীদল গুলো ছাত্রসমাজের সাথে মিশে সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করেছে। আর এই আন্দোলন জোরদার করতে গিয়ে প্রচুর প্রাণহানি হচ্ছে।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 2 days ago 

এতো ভয়াবহ পরিস্থিতি আমার জন্মের পর আমি কখনোই দেখিনি। আন্দোলনের সময়টার কথা মনে হলে এখনও গা শিউরে উঠে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে তখন তেমন কিছু দেখতে না পারলেও,পরবর্তীতে ইউটিউবে ভিডিও ফুটেজ গুলো দেখে ভীষণ খারাপ লেগেছিল।