পুলিশের দুর্নীতি ও এর প্রতিকার ( দ্বিতীয় পর্ব)
বাংলাদেশের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে পুলিশ কিছুটা চুপচাপ আছে। কারণ এই অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের উপর দিয়ে একটা বড় ঝড় বয়ে গিয়েছে। এখন সময় এসেছে পুরো পুলিশ বাহিনীকে রিফর্ম করার। তাদেরকে পুরোপুরি ঢেলে সাজাতে হবে। পুলিশের দুর্নীতি করার সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। তার কৃত অপরাধের জন্য বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। আর পুলিশের অপরাধের তদন্ত করার ভার অন্য কোনো ডিপার্টমেন্টের কাছে দিতে হবে। কারণ এতদিন আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি আন্তঃ বিভাগীয় তদন্তের নামে আসলে মশকরা করা হয়।
পুলিশের নামে হাজার হাজার অভিযোগ সেখানে পড়ে রয়েছে। কিন্তু শাস্তি পেয়েছে এমন পুলিশের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। অবস্থা এমন হয়েছিলো যে পুলিশ সদস্যরা জানতো তাদেরকে যেকোনো অপরাধ করার ফ্রি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। তারা নিশ্চিত ছিলো তারা কখনোই বিচারের সম্মুখীন হবেন না। যার ফলে তারা নিশ্চিন্তে নীর্ভাবনায় ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে গিয়েছেন। তাছাড়াও জড়িত হয়েছেন নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। যে কারণে দেশের মানুষকে ভয়াবহ অবস্থার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। যেই পুলিশের হওয়ার কথা ছিলো জনগণের বন্ধু। তারা জনগণের সবচাইতে বড় আতঙ্কে পরিণত হয়েছিলো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
বাহিরের দেশের পুলিশেরা সাধারণ জনগণের বন্ধু, আর আমাদের দেশের পুলিশেরা সাধারণ জনগণের শত্রু। যাইহোক এটা ঠিক, পুলিশেরা টাকা খরচ করে এমন জায়গায় বদলি হয়,যাতে করে ৩/৪ মাসের মধ্যে সেই টাকা তুলে ফেলতে পারে ঘুষ খেয়ে। এতো টাকা খাওয়ার পরেও তাদের পেট ভরে না।