প্রতারণার শিকার হয়ে প্রবাসীর জীবন অবসান (ষষ্ঠ পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


শাওনের কারণেই সেই গ্যারেজে গাড়ি আসার সংখ্যা বেড়ে যায়। আর গ্যারেজ মালিক শাওনের বেতন ও বাড়িয়ে দেয়। শাওনের জীবনে সুসময়ে দেখা দিতে থাকে। এইভাবে কাজ করতে করতে কয়েকটা বছর কেটে যায়। এর ভেতরে শাওন প্রথম থেকেই টাকা পয়সা জমাতে থাকে। মনে মনে সে আগেই পরিকল্পনা করে রাখে। পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা-পয়সা জোগাড় হলে সে নিজেই একটা গ্যারেজ দেবে। কারণ ততদিনে শাওন গাড়ির কাজ খুব ভালোভাবে শিখে গিয়েছে।


1000010052.png

তাদের গ্যারেজের নতুন যে সমস্ত ছেলেপেলেরা আসে তাদেরকে সেই প্রশিক্ষণ দেয়। এভাবে পাঁচ বছরের মাথায় শাওন সেই গ্যারেজের চাকরিও ছেড়ে দেয়। ততদিনে শাওনের বেতন হয়ে গিয়েছিল অনেক টাকা। ধীরে ধীরে টাকা জমিয়ে সে অনেক টাকার মালিক হয়েছে গিয়েছিলো। চাকরি ছেড়ে সে নিজের গ্যারেজ শুরু করে। শাওনের হাতের সুনাম থাকায় তার গ্যারেজেও অল্প সময়ে অনেক কাস্টমার আসতে থাকে। এভাবে দেখতে দেখতে একটা সময় শাওন কয়েকটা গ্যারেজের মালিক হয়ে যায়।

ততদিনে তার প্রায় সৌদি আরবে ১০ বছর কেটে গিয়েছে। এতগুলো দিন দেশের বাইরে থাকার পর এখন তার শুধু দেশে যেতে ইচ্ছে করে। তবে পরক্ষণেই তার মনে হয় দেশে তার কে আছে? কার কাছে যাবে? আপন জন বলতে শুধু এক ভাই বেঁচে রয়েছে। তার সাথেও শাওনের দীর্ঘদিন কোনো কথা হয় না। মাঝে মাঝে শাওনের মনে হতে থাকে বড় ভাইয়ের সাথে ফোন করে কথা বলে। কিন্তু নিজের ইগোর কারণে সেটা সে করতে পারে না। (চলবে)


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 4 months ago 

শাওন গ্যারেজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেই গাড়ির গ্যারেজ দিয়েছে, এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। তাছাড়া সে অনেক আয় উন্নতি করেছে জীবনে। শাওনের এমন সফলতা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। শাওন কি শেষ পর্যন্ত দেশে যাবে নাকি না,সেটা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।

New to Steemit?