"বঙ্গবন্ধু" সাফারি পার্ক ভ্রমণ( পঞ্চম পর্ব )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ঝুলন্ত ব্রীজ সাফারি পার্কের মধ্যে আরেকটা বিশেষ আকর্ষণ। ঝুলন্ত ব্রীজটা ছোট একটা খালের উপর তৈরি করা। খালে অন্য সময়ে পানি থাকলেও আমরা যখন গিয়েছিলাম মোটামুটি শুকনো ছিল। ব্রীজটা পুরোপুরি ইস্পাত দিয়ে তৈরি । এবং ব্রীজের দৈর্ঘ্যে ঐ ১০০ মিটারের মতো। এই ব্রীজ দেখার জন্য এবং উঠার জন্য আবার টিকিট কাটতে হয়। মূলত ব্রীজ টা হলো একটা সংযোগ। অর্থাৎ পার্কের একটা অংশ থেকে অন্য অংশে যাওয়ার সংযোগ। ব্রীজে টিকেটের মূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। তবে আমরা পাঁচজন চারটা টিকিট কেটেছিলাম। মোটামুটি আমাদের একজনকে উনারা ডিসকাউন্ট দেয় বলা যায়। টিকিট কাটার পর বেশ অনেক টা হেঁটে যেতে হয় জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে।
দুপাশে জঙ্গল এবং মাঝে ইটের তৈরি সরু রাস্তা। হেঁটে যাওয়ার মধ্যেও যেন একটা ভালোলাগা কাজ করছিল। কিছুদূর যেতেই আমাদের চোখে পড়ে ঝুলন্ত ব্রীজটা। আমরা ছাড়াও আরও অন্য পর্যটক ছিল ওখানে। ব্রীজের ওখানে জায়গাটা মোটামুটি ফাঁকা। আমরা ওখানে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটা ছবি উঠি এবং ভিডিও করি। বেশ লাগছিল। আমি নিজেও ব্রীজের উপর গিয়ে কয়েকটা ছবি উঠি। কারণ ব্রীজের যে দৈর্ঘ্য ঐটা পাড় হতে মোটামুটি ৩ মিনিট মতো সময় লাগবে আর কী। ঝুলন্ত ব্রীজে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা এগিয়ে যায়। তখনও যেন আমাদের অনেক কিছু দেখা বাকি। এক জায়গা থেমে থাকলে হবে না। কিছুদূর যেতেই আরেকটা নতুন জায়গাই আমরা গেলাম। এখানে বড় বড় জায়গা তার দিয়ে ঘেরা। এবং তার মধ্যে বিভিন্ন পাখি এবং অন্যান্য প্রাণী।
ছোটবেলা থেকে সারস পাখিটার নাম আমি অনেক শুনেছি। কিন্তু কখনও সরাসরি দেখা হয়নি। প্রথমেই দেখি একটা জায়গাই বেশ অনেক গুলো সারস পাখি। পাখিগুলো বেশ বড়। সারস পাখি বেশ বড় সাইজের হয়ে থাকে। এবং সারস পাখির সাথে পাখির বাচ্চাও আছে অনেক গুলো। সারাস একেবারে সাদা রঙের হয়ে থাকে। ওখানে সাদা ব্যতীত ভিন্ন রঙের সারস ছিল না। সারস দেখা শেষ হলে আমরা আরও কিছুটা এগিয়ে যায়। এরপর গিয়ে দেখি অনেক বড় একটা জায়গা নেট দিয়ে আটকানো। এবং ঐ নেটের মধ্যে বেশ অনেক গুলো শকুন। শকুন কে বলা হয় প্রকৃতির বন্ধু। সাধারণত প্রকৃতির আবর্জনা খেয়ে শকুন প্রকৃতি কে পরিষ্কার রাখে।
কিন্তু বাংলাদেশে শকুন এখন প্রায় বিলুপ্ত। ওখানে গিয়ে অনেক দিন পরে আমরা শকুন দেখেছিলাম। কয়েকটা শকুন ছিল অনেক বড়। এবং ওদের মুখটা বেশ ভয়াবহ। ঐটা হচ্ছে শকুন পূর্ণবাসন কেন্দ্র। বেশ কিছুক্ষণ লক্ষ্য করে আমরা শকুন গুলো দেখি। ঐ জায়গাটা বেশ ফাঁকা ছিল। ওখানে আমরা কিছুক্ষণ থেকেই সামনের দিকে এগিয়ে যায়। সত্যি বলতে অল্প সময়ের মধ্যেও আমরা অনেক টা জায়গা কভার করে ফেলি। তবে আরও কতকিছু দেখা বাকি সেটা আমাদের একেবারেই জানা ছিল না। কিন্তু আমাদের হাতে সময়ও খুব একটা ছিল না। এইজন্য আমরা কোথাও বেশি সময় থেমে থাকিনি। শকুনের পাশেই ছিল একধরনের ঘোড়া। ওগুলো কে নাকী মিনি হর্স বলে থাকে। ঐ ঘোড়াগুলো আকারে বেশ ছোট ছিল।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক খুব সুন্দর একটি জায়গা বলেই মনে হচ্ছে। এখানে ঝুলন্ত সেতুটি বেশ আকর্ষণীয়। তাছাড়া অনেক কিছু পাখি আছে যা বেশ সুন্দর সময় কাটাতে সাহায্য করে। শকুন তো প্রায় লুপ্তপ্রায় হয়ে গেছে। সেখানে কিছু শকুন এখানে গেলে দেখা যায় এটা অনেক বড় একটি বিষয়।