যমুনা ফিউচার পার্কে!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বেশ কিছুদিন হলো আমার ইয়ারফোন টা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মোটামুটি দুই সপ্তাহ হ্যাংআউট এটেন্ড করেছি আমার এক বন্ধুর ইয়ারপডস বা ব্লুটুথ ইয়ারফোন নিয়ে। প্রথমে আমার ইয়ারফোন কেনার ইচ্ছা থাকলেও পরবর্তীতে আমার ঐ বন্ধুর ইয়ারপর্ডস টা আমার কাছে ভালো লেগে যায়। সেজন্য সিদ্ধান্ত নেয় না এইবার আর ইয়ারফোনের ঝামেলা করব না। এবার ইয়ারপডস বা ব্লুটুথ ইয়ার ফোনই কিনব। কিন্তু আমি একটু সময় নিচ্ছিলাম। কারণ এটা সম্পর্কে আমার সেরকম ধারণা নেই। যদিও ইন্টারনেটে সার্চ করে কিছু মডেল এবং দাম আগেই দেখেছিলাম। কিন্তু সেটা পাওয়া যাবে কোথায় এটা নিয়ে সংকোচ ছিল। আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার পরে ও বলল যে চলো কালকে গিয়ে যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে ঘুরে আসি এবং ঐটা কিনে নিয়ে আসি। আমি এখন যেখানে থাকি সেখান থেকে খুব কাছেই যমুনা ফিউচার পার্ক। ঐ মোটামুটি ২০ মিনিট লাগে বাসে। এছাড়া গতকাল ছিল শুক্রবার ভাবলাম যাই কাজটা করে আসি এবং ঘুরেও আসি।
ঢাকা আসার পরে খুব একটা বের হওয়ার সময়ই পাই নাই। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আমি এবং আমার আরও চার বন্ধু বের হয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর সামনে থেকে বাসে উঠি। কাল যেহেতু শুক্রবার ছিল সেজন্য আমাদের স্টুডেন্ট ভাড়া নেয়নি। যাইহোক কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা পৌছে যায়। আমাদের সেরকম কোন কাজ ছিল না। আমাদের উদ্দেশ্য ঘুরে দেখব এবং যমুনা ফিউচার পার্কে এই প্রথমবার আসা। অনেক বড় একটা অংশ নিয়ে এই শপিংমল টা তৈরি। আপনি ঘুরে শেষ করতে পারবেন না এমন অবস্থা। আর গতকাল ছুটির দিন হওয়াই অনেক মানুষ এসেছিল। এখানে ঘুরতেই আসে বেশি সংখ্যক মানুষ এবং শপিং এ আসে কম মানুষ। যমুনা ফিউচার পার্কে গ্যাজেটের শপগুলো সব তৃতীয় ফ্লোরে। সেজন্য আমরা চলে গেলাম তৃতীয় ফ্লোরে।
আমার পছন্দের মডেল ছিল নিউয়েস্ট এর এম ১০ মডেল টা। এটা বেশ পুরাতন মডেল হলেও আমার অনেক পছন্দের। আর এটা একেবারে আমার বাজেট এর মধ্যে ছিল। প্রথমে একটা শপে দেখলাম সেখানে ছিল। পাশাপাশি আরও কয়েকটা দেখলাম। শেষমেশ ঐটাই নিব ঠিক করলাম। কিন্তু উনারা দাম বেশি বলছিল। ভাবলাম যায় আরও কয়েকটা দোকান ঘুরে দেখি। পরে আরও কয়েকটা শপ ঘুরে দেখলাম। শেষমেশ একটা দোকানে আমার কাঙ্ক্ষিত দামে পেয়ে গেলাম যেমনটা অনলাইনে দেখেছিলাম। পরে সেখান থেকেই নিয়ে নেয় ইয়ারপর্ডস বা ব্লু টুথ ইয়ার ফোন টা। মোটামুটি সাউন্ড কোয়ালিটি বেশ ভালো। যদিও চার্জ একটু কম যাচ্ছে। কিন্তু চার্জিং পাওয়ার ব্যাংক টা বেশ ভালো। অনেকবার ফুল চার্জ করা যায়।
আমাদের কাজ মোটামুটি শেষ। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেই একটু ঘোরাঘুরি করব। যেহেতু আমার প্রথমবার আসা এখানে সেজন্য বেশ ভালোই লাগছিল ঘুরতে। আর যেহেতু অনেক বড় সেজন্য বোঝা যাচ্ছিল না কোথায় যাব আর কোথায় যাব না। তারপর মোটামুটি ঘন্টাখানেক ঘোরাঘুরি করে আমরা বের হয়ে যায়। কারণ তখন প্রায় সাড়ে সাতটা বেজে গিয়েছে। আমাদের বাসায় ফিরতে হবে। কিন্তু বের হতে গিয়েও আমাদের বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। কারণ এতগুলো বের হওয়ার গেট কোথা থেকে কোথায় যাব সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না। বেশ কিছুক্ষণ খোজাখুজির পরে পেলাম বের হওয়ার গেট টা। যেখানে ওভার ব্রীজ রয়েছে এবং আমরা সহজেই রাস্তা পার হতে পারি। মোটামুটি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। বেশ অনেকদিন পর বাইরে বের হয়েছিলাম গতকাল।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | অক্টোবর ,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যমুনা ফিউচার পার্কে এখনো যাওয়া হয়নি। আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো লাগলো। বর্তমানে ইয়ারপডস ব্যবহার করাটাই আমার কাছে বেশ সুবিধাজনক মনে হয়। আমিও কয়েক মাস আগে থেকেই ইয়ারপডস ব্যবহার শুরু করেছি। আপনি এবং আপনার বন্ধুরা মিলে যমুনা ফিউচার পার্কে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে।
যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মল টি দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। তবে যমুনা ফিউচার পার্কে যে কোন জিনিসের দাম আমার কাছে অনেক অনেক বেশি মনে হয়। কেননা আমিও এই যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে ছেলের জন্য কেনাকাটা করেছিলাম, আর তখনই বুঝতে পেরেছিলাম এখানে সব জিনিসের দাম প্রচুর। যাই হোক ভাই, আপনি যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে ইয়ারপর্ডস আপনার পছন্দ সই দামে কিনতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
আমি এখনো সামনাসামনি যমুনা ফিউচার পার্ক দেখি নাই, কিন্তু নাম শুনেছিলাম। আপনার ফটোগ্রাফী গুলো দেখে বুঝতে পারলাম এটা কত বড় মার্কেট।এই মার্কেট ইয়ারপডস কিনেছেন, দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো।
যমুনা ফিচার পার্কে গিয়ে ব্লুটুথ ইয়ারফোন কেনার পাশাপাশি নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন। আসলে বন্ধুদের সাথে যে কোন জায়গায় গেলে বেশ ভালো লাগে। আর হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন যমুনা ফিচার পার্কে বেশি মানুষ জন ঘুরতে আসে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে প্রথমবার যমুনা ফিচার পার্কে যাওয়ার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই প্রথমবার নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসটি কিনতে যমুনা ফিউচার পার্কে গেলেন বন্ধুদের নিয়ে।শুক্রবার তাই বাস ভাড়া লাগেনি স্টুডেন্ট তাই।আপনি এটা ঠিকই বলেছেন এই এরিয়াটা অনেক বড়।আর ভীড় সব সময় ই থাকে।শুক্রবার বলে হয়তো একটু বেশীই ভীড় ছিল।শেষে আপনি আপনার কাঙ্খিত জিনিসটি পেয়ে গেলেন।খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।
যমুনা ফিউচার পার্ক এর কথা আগেও শুনেছি। তাছাড়াও দাদার একটা পোস্টে পড়েছিলাম ওইখানকার বিস্তারিত। আসলে আমরা বর্তমানে এতটাই ব্যস্ত হয়ে গেছি যে হেডফোন কানে দিয়ে সেটার সাথে আবার মোবাইল কানেক্ট করে চলাচল করতে আমাদের অনেক অসুবিধা হয়। এক্ষেত্রে কিন্তু কর্ডলেস হেডফোন গুলো কিন্তু বেশ সুবিধাজনক। আপনার নতুন হেডফোনটাও কিন্তু বেশ ভালো হয়েছে। তবে চার্জ বেশি সময় থাকলে আরেকটু ভালো হতো।