"বঙ্গবন্ধু" সাফারি পার্ক ভ্রমণ( তৃতীয় পর্ব)!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বাঘের রাজত্বের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। কিন্তু তার দেখা নেই। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ আমাদের বাসটা দাঁড়িয়ে গেল। সাফারি পার্ক গাইড ভদ্রলোক আমাদের দূরে দেখালেন বললেন ঐ যে দেখেন বাঘ। কিছুটা দূরে একটা জলাশয়ের পাশে তাকিয়ে দেখি দুইটা বেশ বড় সাইজের বাঘ। না বাঘগুলো সিংহের মতো অসুস্থ না একেবারে সুস্থ্য সবল। তবে একেবারে একজোড়া। একটা বাঘ একটা বাঘিনী। ব্যাপার টা দেখে তখন আমার মাথায় আসলো ইস এই যে বাঘ তারও একটা সঙ্গী আছে অথচ আমি মানুষ কিন্তু আমি সিঙ্গেল হা হা। বাঘটা দূরে থাকাই খুব একটা ভালো দেখা যাচ্ছিল না। তবে মোটামুটি সন্তুষ্ট ছিলাম। ওখানে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর বাসটা যখন চলতে শুরু করল কিছুদূর যেতেই আবার থেমে গেল। এবার যা দেখলাম সেটা দেখার জন্য মোটেও বাসের কেউ আমরা প্রস্তুত ছিলাম না।
বাঘ দুইটা একেবারে আমাদের বাসের সামনে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। কয়েকজন বেশ চিল্লাচিল্লি লাগিয়ে দিল বিশেষ করে কয়েকটা মেয়ে। তখন ঐ গাইড বলল ওরা আক্রমণ করবে না ভয় নেই চুপ থাকেন। সত্যি বলতে তখন একেবারে সামনে থেকে বাঘ দেখে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বাঘ যে এতো বড় হয় সেটা আমি কখনও ধারণা করতে পারিনি। বেশ ভালো লাগল দেখে। কিছুক্ষণ পরেই ওরা আমাদের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে নিচে নেমে যায়। যতক্ষণ দেখা যায় তাকিয়ে ছিলাম ওদের দিকে। এরপর আবার আমাদের বাস চলতে শুরু করে। তবে ততক্ষণে আমরা প্রায় আমাদের কোর সাফারি পার্ক ভ্রমণের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। যেটুকু বাকি ছিল বেশ অন্যরকম একটা অনূভুতি তে কাটলো।
দুপাশে অসংখ্য গাছ। চারিদিকে ধু ধু জঙ্গল। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সরু রাস্তা। এবং সেই রাস্তা দিয়ে চলছে আমাদের বাসটা। এ যেন প্রকৃতির অনিন্দ্য সুন্দর একটা রুপ। শেষ হয়ে গেল আমাদের কোর সাফারি পার্ক ভ্রমণ। মোটামুটি ঐ ৩০ মিনিট আমরা বাসে ভ্রমণ করি। আমাদের ঐ জায়গাই নামিয়ে দেওয়া হয় যেখান থেকে উঠেছিলাম। কোর সাফারি পার্ক থেকে বেরিয়ে আমাদের সবার চেহারায় একটা উচ্ছাস ছিল। তবে এখনও অনেক কিছু দেখা বাকি। আমরা চলে গেলাম সামনের দিকে। এরপর গিয়ে দেখি সাফারি কিংডম নামে একটা জায়গা। আমরা ওখানে যায়। গিয়ে দেখি উনারা বেশ দারুণ কিছু জিনিস দেখাচ্ছে। টিকিট ৬০ টাকা। এখানে সবার জন্য টিকিট সমান কোন কম বেশি নেই। ৬০ টাকায় আমরা তিনটা জিনিস দেখতে পারব ব্রাজিলের বিখ্যাত ম্যাকাও পাখি, বিভিন্ন দেশীয় বিলুপ্ত পাখি এবং মাছের অ্যাকুরিয়ামে সামদ্রিক মাছ।
সাফারি কিংডমে টিকিট কেটে আমরা ঘোরা শুরু করলাম। প্রথমেই গেলাম সেই ম্যাকাও পাখি দেখতে। একটা নির্দিষ্ট জায়গাই অনেক গুলো ম্যাকাও। পাখি গুলো বেশ বড় সাইজের। এবং ম্যাকাও বেশ জোরে ডাকে। ম্যাকাও এর ডাক কানে বেশ লাগছিল। কিন্তু পাখিটা বেশ সুন্দর। বেশ অনেক টা সময় আমরা কাটিয়ে দেয় ঐ ম্যাকাও পাখির জায়গাই। যেহেতু প্রথমবার আমরা এই পাখিটা দেখছিলাম বেশ ভালো লাগছিল। ম্যাকাও দেখা শেষ হলে চলে যায় আমাদের দেশীয় পাখিদের ঠিকানায়। ওখানে বিভিন্ন ধরনের আমাদের দেশীয় পাখি ছিল। এত ধরনের পাখি যে সবগুলোর নাম আমার জানা ছিল না। তবে ওখানে আমরা বেশিক্ষণ থাকিনি। প্রথম কারণ ছিল পাখিদের অতিরিক্ত কিচিরমিচির। এই কিচিরমিচির কানে বেশ লাগছিল। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য মাছের অ্যাকুরিয়াম।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.