রিয়াল মাদ্রিদের ক্যামব্যাক মিশন চলমান!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Live Football tv থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে রবিবারের আড্ডায় আমার একটা পোস্ট সিলেক্ট হয়। সেটা ছিল আমার প্রিয় ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদকে নিয়ে। মোটামুটি আমি আমার অনূভুতি শেয়ার করে এক পর্যায়ে বলি রিয়াল মাদ্রিদ কখনও হারে না। রিয়াল মাদ্রিদ শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করতে থাকে এবং ক্যামব্যাক করে। অক্টোবরে রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছিল ভ্যালেন্সিয়ার সাথে। তবে সেই ম্যাচ তখন হয়নি। কারণ ঐসময় ভ্যালেন্সিয়ায় ভয়াবহ বন্যা হয়। ভ্যালন্সিয়ার সাথে ঐ ম্যাচটা হয়েছে গত রাতে। এবং ভ্যালেন্সিয়ার সাথে রিয়াল মাদ্রিদের একটা পুরাতন দ্বৈরথ আছে। বিশেষ করে তাদের ফ্যানরা প্রচন্ড বর্ণবাদী আচরণ করে থাকে। গতকালের ম্যাচেও সেটা মোটামুটি পরিষ্কার দেখা গিয়েছে। এই ম্যাচটা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এককথায় জয়ের কোন বিকল্প ছিল না।
ম্যাচে কার্লো আনচেলওি তার দলকে ৪-৪-২ ফর্মেশনে মাঠে নামায়। অন্যদিকে ভ্যালেন্সিয়ার ফর্মেশনও ছিল ৪-৪-২। ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত ২ টাই। ম্যাচের প্রথম থেকেই রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচটা নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টা করছিল। একের পর আক্রমণ এবং গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করছিল। তবে ভ্যালেন্সিয়াও বেশ দারুণ কিছু আক্রমণ করে। ম্যাচের ২৭ মিনিটে হুগো ডুরো এর গোলে ১-০ তে এগিয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পরে একের পর একে চেষ্টা চালাতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। তারা রীতিমতো গোলের জন্য মরিয়া হয়ে যায়। কিন্তু চেষ্টা করেও প্রথমার্ধে কোন গোল পাইনি রিয়াল মাদ্রিদ। মোটামুটি ১-০ তে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে রিয়াল মাদ্রিদ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচের ৫৫ মিনিটে একটা পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। পেনাল্টি কিক নেয় জুড বেলিংহামহ কিন্তু সেটা গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হলে গোলের দেখা পাইনি রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও ঐ পেনাল্টি তে গোলকিপার আগেই লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল ফলে নিয়ম অনুযায়ী পূণরায় পেনাল্টি পাওয়ার কথা রিয়াল মাদ্রিদের। কিন্তু রেফারি সেটাও দেয়নি। যাইহোক এরপর একের পর এক আক্রমণ চলতে থাকে। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গোল করে সেটা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। খেলা চলতে থাকে। ম্যাচের ৭৯ মিনিট তখনও রিয়াল মাদ্রিদ পিছিয়ে। ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক ভিনিসিয়াস কে উদ্দেশ্য করে বর্ণবাদীমূলক কথা বললে সে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ধাক্কা দিয়ে বসে গোলকিপার কে। এই ঘটনায় ভিনিকে লাল কার্ড দেখাই রেফারি। রিয়াল মাদ্রিদ পরিণত হয় ১০ জনের দলে।
কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ ফিরে আসে বার বার। এর ঠিক কিছুক্ষণ পরেই ৮৫ মিনিটে বেলিংহাম এর অসাধারণ সহায়তায় গোল করে লুকা মদ্রিচ। এবং রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচে ফিরে আসে। তখন অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে। ম্যাচের ৯৫ মিনিটের কথা। একক প্রচেষ্টায় অসাধারণ এক গোল করে জুড বেলিংহাম। এবং ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ তখন ২-১ গোলে এগিয়ে। ম্যাচের শেষ দিকে আরেকটা দারুণ প্রচেষ্টা চালালে গোল পাইনি ভ্যালেন্সিয়া। মোটামুটি ১-২ গোলের জয় নিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। সবমিলিয়ে অসাধারণ একটা ম্যাচ ছিল এইটা। একেবারে শেষ দিকে গিয়ে ক্যামব্যাক করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.