ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ- আমার লাইফে প্রথম বিটকয়েন আরনিং
আজ - সোমবার
সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে একটি আমার লাইফের বিশেষ ঘটনা শেয়ার করতে যাচ্ছি আশা করি আপনারা সবাই এটি অনেক ইনজয় করবেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার জীবনে প্রথম কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা আয় করছিলাম এবং কিভাবে প্রথম বিটকয়েন আর্নিং করেছিলাম সেই বিষয় নিয়ে ছোট্ট একটি গল্প শেয়ার করছি... । প্রায় কয়েক বছর আগের কথা আর তখন আমার হাতে প্রথম স্মার্টফোন এসেছিল এবং যখন থেকে প্রথম স্মার্টফোন এসেছিল তখন থেকেই আমি এই অনলাইনের বিষয়ে কিভাবে আর্নিং করা যায় ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক বেশি আগ্রহী ছিলাম এবং সেই সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার মনের ভেতরে সবসময় অন্যরকম একটা কিউরিসিটি কাজ করত। যে এগুলো কিভাবে করতে হয় অবশ্যই আমাকে জানতে হবে। বিষয়টা এমন ছিল না যে অনলাইন থেকে অনেক বেশি নাকি টাকা কামানো যায় এই জন্য আমাকে অনলাইন এ কাজ করা শিখতে হবে বিষয়টা এমন ছিল না,
বিষয়টা এমন ছিল যে অনলাইন থেকে আমরা ঘরে বসে আর্নিং করতে পারছি এত বড় একটা অপরচুনিটি আমরা এ যুগে এসে পাচ্ছি এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা বিষয় ছিল। তাই আমি সবসময় এ বিষয়ে সম্পর্কে নতুন, নতুন জ্ঞান আহরণ করতাম। তবে সেই সময় একটা ট্রিক্স খাটিয়ে ফ্রি ইন্টারনেট ইউজ করা যেত এখন যদিও ওই সিস্টেমটা চলে না তবে একটা ফ্রি ভিপিএন ইউজ করে নেট না থাকলেও ইউটিউব দেখা যেত যেটা আমার জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ ছিল অনলাইন সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করার। হয়তোবা তখন এমন একটা অপরচুনিটি না পেলে আমি এসব বিষয়ে অত বেশি একটা নলেজ পেতাম না কারণ তখন এমবি ক্রয় করে ইউটিউবে এসব বিষয়ে ভিডিও দেখে যাওয়া বেশ ব্যয়বহুল ছিল এবং তখন পর্যন্ত আমাদের এদিকে ওয়াইফাই এর সুবিধা এখনো পৌঁছায় নাই। তো যেহেতু ফ্রি ইন্টারনেট পেতাম ওই জন্য সারাদিন youtube এ এসব বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও দেখতে থাকতাম। তো এভাবে দেখতে, দেখতে বুঝতে পারলাম যে অনলাইনে এডসেন্সের মাধ্যমে যে অ্যাডগুলো শো হয় সেখান থেকে আর্নিং আসে।
তো কিছু, কিছু থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে দিয়ে অ্যাড দেখিয়ে নেয় এবং সেখান থেকে কিছু ডলার ইনকাম করে এবং তার কিছু পার্সেন্টেজ ইউজারকে দিয়ে থাকে। এ বিষয়টা সম্পর্কে যখন আমি জানতে পারি তখন আমি এই ধরনের অনেক অ্যাপ্লিকেশন খুঁজতে থাকি এবং সেখানে দিনরাত এক করে কাজ করতে থাকে, কিন্তু আফসোসের বিষয় কি জানেন? অনেক অ্যাপ্লিকেশনে কাজ করেছি কিন্তু শেষ পর্যন্ত উইথড দেওয়ার পরে আর পেমেন্ট আসে নাই যেটা আমার জন্য অনেক হতাশার একটা কারণ ছিল। তো এভাবে আমি যেগুলো অ্যাপ্লিকেশনের কাজ করেছি কয়েকটা বাদে প্রায় 90% এপ্লিকেশন নিয়ে এভাবে স্ক্যাম করতো। তখন আমার এই অনলাইনে আর্নিং এর প্রতি বিশ্বাসটা প্রায় উঠে যাই, তখন মনে করতাম যে অনলাইনে যেই আর্নিং এর সিস্টেমগুলো রয়েছে এগুলো সবগুলোই ভুয়া কারণ ওদের যদি আরনিং হতো তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে পেমেন্ট দিত। তো ধীরে , ধীরে যখন একটু বেশি জ্ঞান আহরণ করলাম তখন বুঝতে পারলাম যে এভাবে তারা স্ক্যাম করেই আর্নিং করে ।
কিন্তু অনলাইন থেকে সত্যিই আর্নিং করা যায়। তারপর একটা পর্যায়ে এসে বুঝতে পারলাম যে বাংলাদেশের যে ওয়েবসাইট গুলো রয়েছে এগুলোতে আর কাজ করবো না কারণ এখানে অধিকাংশ ওয়েব সাইটে ক্যাম স্কাম করে । আমি বিদেশি কোন সাইটে কাজ করব তাহলে হয়তো বা এটা আমার জন্য অনেক ভালো হবে। তো এভাবে কাজ করতে, করতে কাজ কমপ্লিট করে ফেলতাম কিন্তু সবচেয়ে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে পেমেন্ট মেথড। কারণ বাইরের দেশ থেকে ডলার আনার সুযোগ সুবিধা গুলো এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সম্পূর্ণ করে উঠতে পারেনি যেমন পেপাল আমাদের বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম যার জন্য আমরা অনেক পেমেন্ট এখন পর্যন্ত মিস করে ফেলি। যাই হোক তখন তো পেপাল অথবা এই ধরনের যেই পেমেন্ট সিস্টেমগুলো রয়েছে এভেলেবল ছিল না এখন পর্যন্ত নাই। যার কারণে অনেক কাজ করা সত্ত্বেও আমি পেমেন্ট পাই নাই। তো এভাবে হতাশ হতে, হতে প্রথম আমি বুঝতে পারি যে বিটকয়েন নামে একটা ক্রিপ্টো কারেন্সি রয়েছে এটা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সাপোর্ট করে। এটা যে কোন দেশ থেকে রিসিভ করা যায় এবং সব দেশে এটা সাপোর্ট করে।
এ বিষয়টা সম্পর্কে আমি যখন জানতে পারলাম তখন বিটকয়েন আর্নিং করতে শুরু করলাম, আমি প্রথম বিটকয়েন আর্নিং করেছিলাম বিটকয়েন ব্লাস্ট নামে একটা অনলাইন গেম ছিল যেটা খেললে অনেক কয়েন দিত এবং পরবর্তীতে ওই কোয়েন কনভার্ট করে কনভেজ অ্যাপস এর মাধ্যমে বিটকয়েনের পেমেন্ট নেওয়া যেত। এভাবে প্রথমে আমি আমার জীবনে প্রথম বিটকয়েন $0.1 পেমেন্ট নিয়ে দেখেছিলাম যে এটা সত্যি কি পেমেন্ট করে কিনা। পেমেন্ট দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই দেখতে পেলাম যে আমার ওয়ালেটে ডলারটি চলে এসেছে। তখন তো আমি খুশিতে সর্বহারা হয়ে গেছিলাম হাহাহা, এখন যদি ১০০ ডলার পেমেন্টও পাই তবুও সেই খুশিটা পায়না যখন ওই খুশিটা পেয়েছিলাম। এখন আমি বুঝতে পারি যে আমাদের ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে এবং অনলাইন সম্পর্কে আরো বেশি জ্ঞান আহরণ করতে হবে কারণ শেখার কোন শেষ নেই যত বেশি জ্ঞান আমরা অর্জন করতে পারব আমাদের আর্নিং অপরচুনিটি আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে এতক্ষন পাশে দেখি উপভোগ করার জন্য।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একটি কথা ঠিক বলেছেন বাংলাদেশের যতগুলো সাইট রয়েছে বেশিরভাগ স্ক্যাম করে এবং কাজ করিয়ে নিয়ে পেমেন্ট দেয় না। তারপরও আপনি অনলাইনে অনেক আগে থেকেই এরকম কাজ করতেন জেনে অনেক আনন্দিত হলাম। সর্বপ্রথম 100 ডলারের পেমেন্ট পেয়েছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শেখার কোন শেষ নেই একদমই ঠিক বলেছেন। আমি আপনার টাইটেল পড়ে ভাবতেছি আপনি মনে হয় বেশ ভালো বিটকয়েন আরনিং করেছিলেন। নতুন কোন কিছুর প্রতি আগ্রহ তাকা ভালো। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই।