নাটক রিভিউঃ মেয়েটির নাম মায়া
আজ - সোমবার
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভালোবাসার সুন্দর গল্প এর নাটক শেয়ার করার চেষ্টা করব। তো সচরাচর আমি নাটক দেখতে খুব পছন্দ করি কারণ নাটকের মধ্যেও অনেক শিক্ষা লুকিয়ে থাকে এবং সেই সাথে যখন নাটকগুলো একটু রোমান্টিক হয় তাহলে তখন নাটকগুলো দেখতে অন্যরকম একটা ভালো করে কাজ করে। বিশেষ করে যদি সে ভালোবাসার কাহিনীটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মনোরম পরিবেশের মধ্যে উপস্থাপন করা হয় তাহলে সেটা দেখেও যেমন প্রশান্তি পাওয়া যায় তেমনি গল্পটা আরো বেশি মজাদার লাগে। তো ঠিক তেমনিভাবে আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে নাটকটা রিভিউ করবো এই নাটকটিতে একজন প্রতিবন্ধী মেয়ের ভালোবাসার কাহিনী আমাদের মাঝে তুলে ধরা হয়েছিল। তো ওই নাটকটা আমি কয়েকবার দেখেছি এবং দেখার পরে আমার ব্যক্তিগত এক্সপেরিয়েন্স এবং সব মিলিয়ে খুব সংক্ষেপে আপনাদের মাঝে এই নাটকটি শেয়ার করার চেষ্টা করব। যাতে আপনারা এই নাটকটি খুব সহজেই উপভোগ করতে পারেন।
নাটকের প্রথমেই আম আমরা দেখতে পাই যে নায়ক এবং তার আম্মু দুজন মিলে গল্প করছে এবং হঠাৎ করে নায়কের আম্মুর ফোনে একটা ফোন আসে এবং তাদেরকে একটা বিয়ের দাওয়াত দেওয়া হয়। আসলে ওনার আম্মুর দুঃসম্পর্কের একজন বন্ধু রয়েছে তো তাদের বাড়িতে তারা বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার উদ্দেশ্যে নদী পথে বের হয়। তো এক পর্যায়ে তারা আর নৌকা নিয়ে তাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছে যায় এবং সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠানে নায়ক যোগদান করে। তো এভাবেই মায়াবতীর ওই মেয়েটির সঙ্গে নায়কের পরিচয় হয়। তখন বিয়ের আনন্দে সবাই মেতে ছিল এবং সবাই সবাইকে গায়ের রং লাগাচ্ছিল ঠিক তখনই ভুল করে নায়িকা নায়ক এর গায়ে রং লাগিয়ে দেয় আর নায়কটি ওই জিনিসটা উপভোগ করার জন্য পুনরায় ওই মেয়েটির গায়ে রং লাগিয়ে দেয় তো এভাবে প্রথম কাহিনীটা শুরু হয়। আচ্ছা যাই হোক চলুন আমি এবার বিস্তারিত আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি।
✓শেয়ার করার পূর্বে আমি নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। (চলুন এগুলো এক নজরে দেখে আসা যাক....)
ডিরেক্টর | রিফাত আহমেদ রিংকু |
---|---|
প্রডাক্টর | তানভীর মাহমুদ |
অভিনয়ে | ইয়াস রোহান, তানজিম সাইরা তন্নি ছাড়া অনেকেই |
গান গেয়েছেন | জীবন সাথী |
নাটকের সময়সীমা | ৪৫.৫২ মিনিট |
ভাষা | বাংলা |
তো ঘটনা এপর্যায়ে যখন রং লাগানোর মাধ্যমে নায়িকার সঙ্গে নায়কের পরিচয় হয় তখন বুঝতে পারে না যে মেয়েটা প্রতিবন্ধী আসলে সত্যি বলতে মেয়েটা অন্ধ ছিল। তিনি জন্ম থেকেই দেখতে পায় না তবে ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠতে উঠতে আশেপাশের পরিবেশ গুলো এমনভাবে তার পরিচিত হয়ে গেছে যে না দেখেও সে যেন তার অন্তরের চোখ দিয়ে সবকিছু উপলব্ধি করতে পারে। তো এই বিষয়গুলো নায়ক লক্ষ্য করার পরে ধীরে ধীরে ওই মেয়েটার সঙ্গে গল্প করতে থাকে এবং একপর্যায়ে নায়কটা নায়িকার প্রেমে পড়ে যায়। এভাবে তাদের সুন্দর দিন কাটতে থাকে একে অপরের মনের কথাগুলো দুজন দুজনকে শেয়ার করে এবং ধীরে ধীরে তারা অন্তরের দিক থেকে কাছে আসতে থাকে। এক পর্যায়ে নায়ক বুঝতে পারে যে নায়িকা কে সে ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু এ কথাটা কাউকে বলতে পারছি না কারণ নায়িকা যেহেতু প্রতিবন্ধী ছিল তাই সে ভাবছিল যে তার ফ্যামিলি থেকে হয়তো বা এই মেয়েকে মেনে নেবে না। কিন্তু যখন নাম নায়করা বাড়িতে চলে যাবে তখন সাহস করে তার আম্মু কি সে এই কথাটি বলে দেয় যে ওই মেয়েটাকে সে ভালোবেসে ফেলেছে। তবে এদিকে একটা ভালো দিক হচ্ছে ছেলেটির মা তাদের ভালোবাসা মেনে নেয় এবং শেষ পর্যায়ে তারা বিয়ে করার মাধ্যমে সুখের সংসার করে। তো মোটামুটি এটাই ছিল বিস্তারিত মূল কাহিনী আসলে ইউটিউবে দেখলাম রিসেন্টলি এই নাটক পাবলিশ হয়েছে এবং ভিউ অনেক বেশি। তাই ভাবলাম যে নাটক হয়তো অনেক ভালো তাই একবার দেখি। তো মোটামুটি আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালোই লেগেছে আমার সাজেশন থাকবে আপনারা যারা ভালোবাসার নাটক গুলো দেখতে পছন্দ করেন তাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। এই নাটকটি আমি ব্যক্তিগতভাবে ১০/ ০৯ রেটিং দিচ্ছি। নাটক থেকে পাওয়া শিক্ষানাটক থেকে পাওয়া শিক্ষাটা কিন্তু আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা নাটক গুলো উপভোগ করার পরে যদি এখান থেকে আসল শিক্ষাটা না নিতে পারি তাহলে হয়তোবা আমাদের এই সময়টাই বৃথা। নাটক থেকে আমি যা বুঝতে পারলাম যে, সৃষ্টিকর্তা সবাইকে পরিপূর্ণভাবে সৃষ্টি করেন না প্রত্যেকটা মানুষের কোনো না কোনো একটা খুঁত থেকেই যায়। যেমন মেয়েটির ক্ষেত্রে মেয়েটি অন্ধ তো এমনিভাবে আমাদের মধ্যেও কোন না কোন খুঁত রয়েছে। তো যখন কাউকে ভালবাসতে হবে অবশ্যই তার সকল রকম ভালো দিক এবং খারাপ দিক সবগুলো নিয়েই ভালোবাসতে হবে।
|
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দারুন একটি নাটক আজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। নাটকের কাহিনী আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এই নাটকে আমার দেখা হয়েছে। নাটকে ইয়াশ এবং তটিনি দারুন অভিনয় করেছে। আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে নাটকের প্রতিটি কাহিনী তুলে ধরেছেন। নাটক রিভিউটি পড়ে ভালো লাগলো।সুন্দর নাটক রিভিউ করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মেয়েটির নাম মায়া নাটকটা বেশ দারুন। আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে নাটকটা রিভিউ করেছেন। নাটকের বিস্তারিত আলোচনা করেছেন দারুণ। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আপনার এই নাটকটা। অনেক সুন্দরভাবে আপনি নাটক রিভিউ করেছেন তাই ধন্যবাদ।
আজকে এই নাটকটি আমি দেখেছি। সেই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন। পড়ে ভালো লাগলো
সময়ের কারণে যদিও নাটক খুব একটা দেখা হয় না, তবে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য চেষ্টা করি। এই নাটকের কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাই আমি ভাবছি সময় পেলেই নাটকটা আমি দেখবো। আশা করছি আপনি প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাবেন। অনেক ধন্যবাদ এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করছেন। ইয়াশ রোহানের নাটক আমার কাছে সব সময় ভীষণ ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। সময় করে নাটক টি দেখে নিবো।ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
খুব মজার একটি নাটক রিভিউ করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। সময়ের কারণে তেমন একটা নাটক দেখা হয় না , তবে রিভিউর মাধ্যমে নাটক রিভিউ পোস্ট পড়ার চেষ্টা করি। এতো সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া নাটকের নামটায় ভুল আছে, আশা করি ঠিক করে নিবেন। যাইহোক অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত সবার মাঝে আপনি শেয়ার করে নিয়েছেন। বেশ কয়েকদিন আগে আমি এই নাটকটি দেখেছিলাম। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল এই নাটকটা। আসলে ভালোবাসা মন থেকে হয় কোনো কিছু দেখে নয়। নায়ক আবারো ফিরে এসেছিল তার ভালোবাসার মানুষের কাছে। নায়িকা অন্ধ জেনেও তাকে ভালোবেসেছে। ভালোবাসা সত্যি অনেক সুন্দর।
খুবই সুন্দর একটি নাটক এর রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে এত অসাধারণ একটি নাটক এর রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো৷ কিছুদিন আগে নাটকটি আমি দেখেছিলাম৷ আজকে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে এই নাটকটি সম্পর্কে আবারো জানতে পারলাম৷ আসলে নায়িকা অন্ধ হওয়ার পরেও নায়ক তার ভালোবাসায় পড়েছিল দেখে খুব ভালো লেগেছিল৷