আজ - বুধবার
১১ আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জুন ২৬, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
🌺 চলুন শুরু করি 🌺
হিন্দু ভাইদের নমস্কার এবং মুসলমান ভাইদের কে সালাম জানিয়ে আজকের নতুন আরেকটি ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি..! আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন |
বর্তমানে যে অস্থির গরম পড়েছি আমার মনে হয় একটু ঘোরাঘুরি না করলে মন এবং শরীর দুটো যেন একঘেয়ে হয়ে। তাই এই দুটোকে রিফ্রেশ ফিল করানোর করার জন্য অবশ্যই নতুন, নতুন জায়গায় একটু ঘোরাফেরা করা দরকার। আর এমনিতেই আমি ভ্রমন করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে বড়াল নদীর তীরে ঘুরতে গিয়ে সেখানে গিয়ে যে ফটোগ্রাফি করেছি ওই ফটোগ্রাফি গুলো ধাপে, ধাপে শেয়ার করব। আমার মনে হয় আপনারা যদি আমার পোস্টটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেন তাহলে আপনারা আমার মত এভাবে এই নদীর আসল সৌন্দর্য এবং কিছু মিষ্টি মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে যাবেন। তাই যারা ঘোরাঘুরি অনেক পছন্দ করেন এবং ফটোগ্রাফি অনেক ভালোবাসেন তাদের জন্য আজকের পোস্টটা একটু স্পেশাল হতে যাচ্ছে। এই বড়াল নদীটা আমাদের এখান থেকে তেমন একটা দূরে না এই তো ৫ থেকে ১০ মিনিট হাঁটলেই চলে যাওয়া যায় বড়াল নদীর তীরে ঘোরাফেরা করতে।
এখন বর্তমানে বর্ষার কারণে পানি অনেক বেড়েছে।যার কারণে এই এই নদীর সৌন্দর্যটা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেদিন আমাদের হোস্টেলের ছাদ থেকে দেখতেছি যে দূর থেকে এই জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর লাগছে আর এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছে। তাই আমি ভাবলাম যে ওরা যখন এসেছে আমার ওখানে যাওয়া উচিত কারণ এই সৌন্দর্যটা হয়তো বা কয়েক মাসের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই যতদিন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে তত দিন মাঝে মধ্যে উপভোগ করা উচিত। তাই আমার যে ফ্রেন্ড সার্কেলগুলো রয়েছে ওদের নিয়ে গিয়েছিলাম সেদিন এই বড় নদীর তীরে একটু ঘোরাঘুরি করতে। এবং আপনাদের জন্য ফটোগ্রাফি করতে। আজকে আমি এই পোস্টের মাধ্যমে সাত থেকে আটটা ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার মনে হয় আপনারা জায়গাটি অনেক বেশি উপভোগ করবেন।তবে চলুন দেখে আসি আজকে আমি কি, কি ফটোগ্রাফি গুলো করলাম...।
ফটোগ্রাফিঃ-০১
এখানে দেখলাম অনেক বেশি বালির বস্তা রেখে দেওয়া হয়েছে। জানিনা এই বস্তা গুলো কিসের কাজে লাগবে তবে কাছ থেকে এর উপরে উঠে এবং ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগছিল। অনেকক্ষণ আমি এই বালির বস্তার উপরে হাঁটাহাঁটি করছিলাম তখন এই ফটোগ্রাফিটা করেছি।
ফটোগ্রাফিঃ-০২
নদীর দিকে নেমে যাওয়া এই ছোট, ছোট সিমেন্টের আয়তকার যে এই বস্তুগুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো দেখতে ছোট হলেও বাস্তবে সাইজে অনেক বড় ছিল। হয়তোবা এই বাঁধটি শক্তভাবে ধরে রাখার জন্য এই জিনিসগুলো ব্যবহার করা হয়েছে তবে দেখতে এটি বেশ দারুন দেখাচ্ছিল।
ফটোগ্রাফিঃ-০৩
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বেরিবাধটাতে অনেক লোক আসা যাওয়া করছে তবে জায়গা স্বল্পতার কারণে মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে তবুও মানুষের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য অনেক দূর দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছে।
ফটোগ্রাফিঃ-০৪
ডুবন্ত সূর্যটা দেখে মনের ভিতরে যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করল। আজকে এই জায়গাটা থেকে অনুভব করতে পারলাম যে সূর্য ডোবার সময় নদীর পাড়ের দৃশ্যগুলো সত্যি অনেক অসাধারণ হয়ে থাকে। তাই ভাবলাম যে এই ফটোগ্রাফিটা করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যায়।
ফটোগ্রাফিঃ-০৫
কয়েক মাস আগে এই নদীতে ঘুরতে যাওয়ার একটা পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম সেই পোস্টটি হয়তোবা আপনারা দেখেছিলেন যে এই নদীতে তেমন একটা পানি ছিল না কিন্তু বর্তমানে পানি যেন একদম টই টুম্বুর করছে। আর এই দৃশ্যটা দেখে অনেক প্রশান্তি লাগছিল।
ফটোগ্রাফিঃ-০৬
নদীর পাড়ে দেখলাম মাছ ধরার জাল দিয়ে অনেক জেলে মাছ ধরছে। এই জাল অনেক সময় খাল বিলে ব্যবহার করতে দেখা যায় তবে এই জালগুলো দিয়ে হয়তো বা ছোট মাছ এবং মাঝারি সাইজের মাছ ধরা হয়।
ফটোগ্রাফিঃ-০৭
অনেকে দেখছিলাম যে এই নদীতে নেমে গোসল করছিল। আবার অনেকে দেখলাম যে নৌকায় উঠে নদী ভ্রমণ করছিল, তবে আমরা আজকে নদীর ভ্রমণ না করে এগুলো দেখছিলাম এবং উপভোগ করছিলাম।
ব্লগার | @emonv |
ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
🔚 সমাপ্তি
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
|
---|
|
---|
|
---|
|
---|
|
---|
|
---|
|
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বড়াল নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো এক কথায় অসাধারণ। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি এত সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করেছেন যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি কত সুন্দর। সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি গুলো বড়াবরই মন মুগ্ধকর। দুদিন আগেও যে পানির পরিমাণ কম ছিল আজ নদীর পানি ভরে আশেপাশের জায়গাগুলোতেও
ডুবো ডুবো অবস্থা। অনেক ধন্যবাদ ভাই দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বড়াল নদীর পাড়ে গিয়ে সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যের চমৎকার সব ফটোগ্রাফি করেছেন। ঠিক বলেছেন ভাই যে গরম পরেছে। এমন জায়গায় ঘুরতে গেলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্ষাকালে পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীর সৌন্দর্য বেড়ে যায়। আর এই সময় নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন ভাইয়া। দারুন হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো। নদীর পাড়ের দৃশ্যগুলো দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।
বাড়ি থেকে নদী কাছে হলে ব্যাপার টা সত্যি অন্যরকম হয়। বর্ষার সময় পানি বাড়লে নদীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। চমৎকার লাগল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। সত্যি অসাধারণ একটা প্রকৃতি। বড়াল নদীর ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর করেছেন। এবং সময় টা দারুণ অতিবাহিত করেছেন এখানে।
আসলে কিছুদিন যাবত ধরে খুবই গরম।আর গরমে মানুষ অস্থির হয়ে যাচ্ছে। আপনি ঠিকই বলছেন নিজের শরীর এবং মনকে ভালো রাখার জন্য বাইরে ঘুরাঘুরি করা প্রয়োজন।তবে আপনার প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম ভাই।ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফোনে ক্যাপচার করছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।