গল্প:) ধনকুবের হেথাং এবং তার জীবদ্দশা। (একাদশ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago (edited)
গল্প:) ধনকুবের হেথাং এবং তার জীবদ্দশা

ছবিটি আনস্প্লেস থেকে নিয়ে কেনভা দিয়ে তৈরি

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
চতুর্থ পর্ব
পঞ্চম পর্ব
ষষ্ঠ পর্ব
সপ্তম পর্ব
অষ্টম পর্ব
নবম পর্ব
দশম পর্ব

সাল: ৬৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।
শিবলিং শহর, সকাল সম্মুখভাগ


হেথাংয়ের গতকাল রাতটা ভীষণ ভালো কেটেছে, একদিকে ছুরবালার সান্নিধ্য আর অপর দিকে রাজা হিসেবে নিজেকে ভীষণ সুখি মানুষ মনে হতে লাগলো। এদিকে গতকাল রাতে অতিরিক্ত সুপান পানীয় পান করে, ছুরবালাকে কি বলতে কি বলেছে, সেটার জন্য নিজের কিছুটা আফসোস হতে লাগলো। তবে এই সময়টাতে ছুরবালাকে সে কিছুটা বিশ্বাস করতেই পারে। যাইহোক ছুরবালা গতকাল রাতে জেনে গেছে রাজা জিংহন মারা গেছেন, মাতাল হেথাংয়ের কাছ থেকে তার নিজের কিছুটা পরিচয় পাওয়া গেছে। আর হেথাং বারবার নীলকন্ঠ পাথরের নাম নিচ্ছিল। ছুরবালা মনে মনে রাজা জিংহনকে পছন্দ করতো, কারন সে ছিল তার প্রথম প্রেমিক। তার এমন করুন মৃত্যু সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। ভেতরে ভেতরে হেথাংয়ের প্রতি ঘৃণা জন্মাতে শুরু করে।

হেথাং নারী লোভী এবং মদ্যপ, সে ধীরে ধীরে রাজ দরবারকে বাইজি খানায় পরিনত করতে থাকে। সব সভাসদগন তার উপর দিন দিন অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করে। সবাই তার অনিষ্ট চিন্তা করতে থাকে। এদিকে ছুরবালার সবকিছু সহ্যের বাইরে মনে হতে লাগলো এবং কার্লো নিজের চুল নিজে ছিঁড়তে চাইতো। হঠাৎ ছুরবালা মদ্যপ হেথাংকে ঘুম পারিয়ে কার্লোর সাথে দেখা করে, হেথাংয়ের ঠিকানা দিয়ে দেয় এবং খোঁজ নিতে বলে। যথারীতি কার্লো মিথপটাং শহরে যায় এবং হেথাংয়ের পিতা-মাতাকে খুঁজে বের করে। হেথাংয়ের সবকিছু শুনে তার পিতা-মাতা ছি ছি করতে থাকে। হেথাংয়ের বাবা কার্লোকে সেই রত্ন পাথরের রহস্য বলে দেয়। কার্লো জানায় তাকে তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করতেই হবে কারন সে সীমা অতিক্রম করেছে। হেথাংয়ের পিতা-মাতার তাদের সন্তানের কাজের জন্য লজ্জিত হতে হলো।

এদিকে কার্লো বুদ্ধি করে মিথপটাং রাজা নিকোবিসের নিকট ছুটে যায়, সবকিছু খুলে বলে এবং সাহায্য প্রার্থনা করে। নিকোবিস সবকিছু শুনে ক্রোধে ফেটে পড়ে এবং দ্রুত শিবলিং শহর আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন। তাছাড়াও তার পিতাকে রাজদরবারে তলব করা হয়। তার পিতা সাফ জানিয়ে দেয়, এরকম সন্তান তার প্রয়োজন নেই। কারন সে লোম এবং অশ্লীলতার সীমা অতিক্রম করেছে।
এদিকে কার্লো জানায় সে শিবলিং শহর গিয়ে পরিস্থিতি বুঝে সংকেত পাঠালেই যেন রাজা নিকোবিস শিবলিং শহরে আক্রমণ করেন। এদিকে কার্লো শিবলিং শহর ফিরে প্রথমেই ছুরবালার সাথে দেখা করে সব জানায়।ছুরবালা সব শুনে একদমই হতভম্ব হয়ে যায়। একটি মানুষ কিভাবে বৃদ্ধ পিতামাতাকে ঠকাতে পারে আর এতোটা চরিত্রহীন কিভাবে হতে পারে। ছুরবালা এবং কার্লো খুব জটিল একটি পরিকল্পনার ছক কষতে থাকে। এদিকে সভাসদগনের সাথে কার্লো একটি গোপন বৈঠক করে। সবাই মিলে সম্মত হয় হেথাংকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য। তার হয়তো দিন‌ ফুরিয়ে এসেছে।।।।

"চলবে"



Black and White Modern Company Presentation (1).gif

banner-abbVD.png

ছোট্ট পরিসরে পরিচিতি

আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 6 days ago 

ধনকুবের হেথাং এবং তার জীবদ্দশা দেখতে দেখতে একাদশ পর্ব পেয়ে গেলাম। এই গল্পটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। বেশ কিছু চরিত্র ফুটে উঠেছে। সবাই যে ভাবে এক হয়েছে। মনে হচ্ছে সামনের পর্বে ধনকুবের হেথাং এর বারাটো বাজাবে বোঝা যাচ্ছে। ধনকুবের হেথাং কে শিক্ষা দেওয়া উচিৎ। নতুন পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 5 days ago 

ধনকুবের হেথাং এবং তার জীবদ্দশার একাদশ পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো। যত পড়ছি ততোই ভালো লাগছে ও আকর্ষণ বাড়ছে। ছুরবালা মনে মনে রাজা জিংহনকে পছন্দ করতো তাই রাজা জিংহনের মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিল না। অপর দিকে কার্লো মিথপটাং শহরে গিয়ে হেথাংয়ের পিতা-মাতাকে খুঁজে বের করেন। সমস্ত ঘটনা শুনে ধনকুবের হেথাং এর প্রতি তার বাবা-মা লজ্জিত হয়। যাইহোক সামনে হেথাং এর মহা বিপদ আসছে। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম । ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপনা করার জন্য।