আমি মুন্সি বাড়ির ছেলে। গ্রাম ভ্রমণ পর্ব-১
গ্রাম ভ্রমণ পর্ব-১
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন।
আমি ময়মনসিংহ এসেছি শেকড়ের টানে, সময়টা সত্যিই নিজের মতো করে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। গতকাল সকালে বেরিয়েছিলাম নানা বাড়ির উদ্দেশ্যে, পথটা অনেক দূর তবুও নানাকে একটাবার দেখার জন্য মন ছটফট করছিলো। ইতিমধ্যে নানা বাড়ির পুরো বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেছি। নানা বাড়িতে বেশিক্ষণ ছিলাম না, কারন আবার দাদা বাড়ি যেতে হবে। দুপুরের খাবার খেয়ে দাদা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
দাদা বাড়িতে এখন আর দাদা দাদু নেই। দুজনেই পরম শান্তিতে মাটিতে শুয়ে আছেন 🥺 আমি প্রথমেই দাদা দাদুর কবর জিয়ারত করলাম। দুই হাত তুলে উপর ওয়ালার কাছে তাদের জন্য দোয়া করলাম। বাড়িতে প্রবেশের ঠিক আগেই তাদের কবরস্থান। মনটা কষ্ট ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে। যখন দাদু ছিলেন তখন আমাদের আসার খবর শুনে দৌড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসতেন কিন্তু এখন আর সেই মানুষগুলো নেই। যাইহোক বাড়িতে প্রবেশ করতেই কাকিমা এগিয়ে এলেন, তাদের সালাম দিয়ে আমি মাগরিবের নামাজ পরতে চলে গেলাম।
নামাজ পরে আসছিলাম যখন তখন আমাদের গ্রামের মসজিদের উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাবা আর আমি মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলছিলাম, আমাদের নতুন মসজিদের কাজ এখনো অনেক বাকি। বাবা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যখন বাড়ি ফিরলাম তখন বেশ অন্ধকার হয়ে গেছে। আর ঠান্ডায় সবার অবস্থা খারাপ, দেখলাম আগুন জ্বালিয়ে সবাই আগুন পোহাতে বসে গেছে।
আমার কাকিমা হয়তো আমার মনের ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন মন ভালো নেই আমার। তিনি দ্রুত পিঠা বানাতে বসে গেলেন, কাকিমা জানেন আমি পিঠা খেতে ভীষণ পছন্দ করি।
গরম গরম গুলগুলি পিঠা দেখে হুট করে মনটা ভালো হয়ে গেছে। কাকিমা বিভিন্ন রান্না করলেও আমি পিঠা খেয়ে পেট ভরিয়ে ফেললাম। এবার ধীরে ধীরে সবার সাথে আগুন পোহাতে বসে গেলাম আর প্রান ভরে গল্প করলাম। এরপর সামান্য ভাত খেয়ে স্টিমিটে কাজ করতে বসে গেলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
প্রমোশন
https://x.com/emranhasan1989/status/1871243446989799760?t=m_Tcqa6wOp4-lF-hNay4mA&s=19
শেকড়ের টানে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খুব ভালো করেছেন। মাঝে মধ্যে এভাবে বাড়িতে যাবেন আশাকরি ভালো লাগবে। শীতকালে গ্রামের মানুষ আগুন জ্বালিয়ে এভাবে আগুনে হাত পা ছ্যাঁকা দেয় ভীষণ ভালো লাগে। গুলগুলি খেতে অনেক মজাদার লাগে। আশাকরি জমিয়ে খেয়েছেন। আপনার পরিবারের জন্য দোয়া রইল ভালো থাকবেন।
শেকড়ের টানে নিজের দাদা বাড়িতে যেতে হয় ই সবার।দাদা,দাদুর কবর, জিয়ারত করেছেন জেনে ভালো লাগলো। যে মানুষ গুলো আমাদের পরম আপন।সেই মানুষ গুলো যখন না থাকে তখন তাদের স্মৃতি মনে হলে মনটা খারপ হয় ই।আপনার কাকীমা আপনার পছন্দ পিঠা তা তৈরি করে দিলেন যা দেখে আরো ভালো লাগলো। সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে দাদু বাড়িতে গেলে হঠাৎ মন খুব খারাপ হয়ে যায়। কি আর করা, মানুষগুলো ওপারে ভালো থাকুক এই কামনা করি সবসময়ই।
আমার পোস্ট পড়ে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
শেকড় আছে বলেই শেকড়ের টানে গ্রামে যেতেই হয়।আর পৃথিবীতে কেউ চিরদিন থাকে না। শহর থেকে গ্রামে এলেই সবাই চেষ্টা করে পিঠা খাওয়ানোর জন্য। নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছুটিতে এসে আপনি শিকড়ের টানে নানা বাড়িতে ভ্রমণ করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। ঠান্ডার জন্য আগুন জ্বালিয়ে একসঙ্গে বসে থাকার মজাই আলাদা। তাছাড়া আপনার কাকিমা আপনার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে গুলগুলি পিঠা তৈরি করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। যাইহোক আপনার ভ্রমণ শুভ হোক এই কামনা করি ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন ভাই।