ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ভ্রমন:) পর্ব -২। || Our tour at Dream world park 🏞️
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমি আজকে আবারো একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। এখনকার সময়ে আমি একটু সময় পেলেই পরিবার নিয়ে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করি। আমি একটা জিনিস উপলব্ধি করতে পেরেছি জীবনে সময় খুব সীমিত তাই যতটুকু সময় পাওয়া যায় ততটাই পরিবার নিয়ে একটু আনন্দে থাকার চেষ্টা করতে হবে। আমার পরিবার একটু বিনোদন পেলেই আনন্দে একেবারে আধখানা হয়ে যায়।
যাইহোক বিগত কিছুদিন আগে আমি ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম, ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে সেই পার্কে প্রথম পর্ব উপস্থাপন করেছি আজ দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম।
আসলে পুরো পার্কটা ভীষণ সুন্দর। সব থেকে বড় ব্যাপার আমার ছেলে মেয়েরা এই জায়গাটাতে ভীষণ আনন্দ পেয়েছে। আর এখানে তেমন বেশি খরচ নেই এবং টিকিটের মূল্য একেবারেই কম।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ভেতরে প্রবেশ করে একটু সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই প্রথমে একটি পানির ফোয়ারা সহ বিশাল স্তম্ভ দেখতে পেলাম। আবার এখানটাতে কৃত্রিমভাবে কুমির, চিল সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে রাখা হয়েছে। সত্যি বলতে জায়গাটা এক কথায় অসাধারণ দেখতে। তবে যখন আমরা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেই সময়টাতে পানির ফোয়ারাটা বন্ধ ছিল। যদি পানির ফোয়ারা থাকতো তাহলে হয়তো আরো সুন্দর দেখা যেতো।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এখানকার অধিকাংশ রাইড একদমই উন্মুক্ত এবং বাচ্চারা মন খুলে খেলাধুলা করতে পারে। আমাদের ইয়ান একটু পাখির খেলনার উপর বসে বেশ আনন্দ করেছে অনেকটা সময়।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আমাদের ঠিক সামনেই ময়ূর এবং নৌকার আদলে একটি চমৎকার রাইড দেখতে পেলাম। তবে এই রাইডে উঠতে আমি নারাজ। কারণ আমাদের ইলমা এর আগের বার এই রাইরে উঠে বেশ ভয় পেয়েছিল। তাই এড়িয়ে চললাম।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আমাদের ইয়ানের সবথেকে পছন্দের রাইট হল স্লিপার এবং দোলনা। সে আয়াসকে সাথে নিয়ে দোলনা অনেকটা সময় উপভোগ করেছে। তাছাড়াও ফুলের একটি ভ্যানের আদলে স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। ইয়ান সেটি বেশ ভালোই উপভোগ করেছে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ইমা এবং তার দুই বান্ধবী পুরোটা সময় বেশ চমৎকার উপভোগ করেছে পুরো পরিবেশটা। তাদের তিনজনের একসাথে চমৎকার ছবি তুলে নিলাম।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
পার্কের ভিতরে বড় সরো আকারের একটি ফলের বাগান তৈরি করা হয়েছে, যা দেখে আমাদের ভীষণ ভালো লেগেছে। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন আশা করি সামনের পর্বটি নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের সামনে হাজির হবো। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://x.com/emranhasan1989/status/1807845526181929439?t=sT6-yapcMsT3hCYSvgh-1g&s=19
Congratulations, your post has been curated by @dsc-r2cornell. You can use the tag #R2cornell. Also, find us on Discord
Felicitaciones, su publicación ha sido votada por @ dsc-r2cornell. Puedes usar el tag #R2cornell. También, nos puedes encontrar en Discord
ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ভ্রমন:) পর্ব ১ দেখেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় পর্ব দেখে ভালো লাগলো। পার্কের ভিতরে গিয়ে সুন্দর সময় উপভোগ করতে ভীষণ ভালো লাগে। সময় পেলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হোন জেনে ভালো লাগলো। পরিবারের ছোটদের মাঝে মধ্যে ঘুরতে নিয়ে যাবেন তাহলে তাদের ভিতরে আনন্দ কাজ করবে। ছবিতে দেখে বোঝা যাচ্ছে ইলমা এবং ইয়ান বাবু বেশ আনন্দ উপভোগ করেছে। পার্কটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। সময় পেলে একদিন যাবো ইনশাআল্লাহ।
আপনি একটু সময় পেলেই পরিবার নিয়ে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ছুটে যান জেনে খুশি হলাম ভাই, ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক দেখতে অনেক সুন্দর। ইলমা ও ইয়ান অনেক আনন্দ উপভোগ করেছে। বিশেষ করে ইয়ান পাখির খেলনার উপর বসে খুবই আনন্দ করেছে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়াও আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন সব মিলিয়ে অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর একটি ভ্রমণ পোস্ট উপহার দেওয়া জন্য।
আপনি আপনাদের বাচ্চাদের নিয়ে ড্রিম ওয়াল্ড পার্কে ঘুরে বেড়ানোর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনি লিখেছেন এই পার্কে অনেক রাই ডে ফ্রিতে চড়া যায় এবং প্রবেশ টিকিট মূল্য অনেক কম এবং বাচ্চাদের চলার জন্য বেশ কিছু রাইড এখানে রয়েছে। আসলে বর্তমানে আমাদের দেশের যে অবস্থা তাতে করে একটু হিসাব করে না চললেই নয়। নৌকার আদলে তৈরি ময়ূর না উঠে ভালই করেছেন, কারণ বাচ্চারা যাতে ভয় পায় সেটা এড়িয়ে চলাই ভালো। ধন্যবাদ ভাইয়া দারুন কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।