অরিগ্যামি: নারিকেল পাতার চশমা তৈরি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার,২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। তবে আজকে সকাল থেকে ঠান্ডা লেগেছে। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব নারিকেল পাতার চশমার অরিগ্যামি। পাতা দিয়ে এই ধরনের জিনিসগুলো তৈরি করতে এবং দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। কিছুদিন আগে আমি ঘড়ি তৈরি করেছিলাম। তবে এই পাতার জিনিস তৈরি করা যতটা সহজ তার থেকে বেশি কঠিন বর্ননা দেওয়া হা হা। যাইহোক আপনাদের কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই জানাবেন তার সাথে এই অরিগ্যামি তৈরি দেখে কার কার ছোট বেলার কথা মনে পড়েছে সেটা জানাবেন। এখন আমি ধাপ গুলো শুরু করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | নারিকেলের পাতা |
২ | কাঠি বা,খিল |
৩ | কাঁইচি |
ধাপ-১
আমি প্রথমে লম্বা দেখে বড় একটি এবং দুই ইঞ্চি সাইজের একটি নারিকেলের পাতা কেটে নিলাম। এরপর বড় পাতার যেকোনো এক মাথার দিকে ছোট পাতাটি রাখতে হবে ঠিক মাঝখানে। এরপর ছোট পাতার যেকোনো এক পাশ থেকে পাতা ভাঁজ করে উপরের দিকে দিতে হবে।
ধাপ-২
উপরের দিকের পাতা অবশিষ্ট থাকলে আবার উল্টো করে ভাঁজ দিতে হবে হবে। এরপর অন্য পাশের পাতা একই রকম করে ভাঁজ দিয়ে দিতে হবে। তবে এবার অবশিষ্ট পাতা সোজা করে ভাঁজের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-৩
ভাঁজ দেওয়া হয়ে গেলে সুন্দর একটি গিট তৈরি হয়ে যাবে। এরপর ইচ্ছে মতো চশমার গোল রাউন্ড তৈরি করে নিলাম। তারপর বাকি পাতা কেটে ফেলে দিলাম।
ধাপ-৪
এরপর একই সমানের দুইটি খিল বা কাঠি নিয়ে চশমার ডান্টি তৈরি করে নিলাম।
ধাপ-৫
চশমা তৈরি করা হয়ে গেলে আবু রায়হানের চোখে দিয়ে কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু বাবু চোখে রাখছিল না।তাই ছবি ভালো হয়নি।যাই হোক আপনাদের কাছে আমার আজকের পোস্ট কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই জানাবেন। আশা করছি ভালো লাগবে। আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তিতে আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
নারকেল পাতা দিয়ে তো পুরো গান্ধীজীর চশমা তৈরি হয়ে গেছে।। বেশ মজার লাগছে দেখতে। ছোটবেলায় আমরাও এরকম ধরনের নানান খেলনা বানাতাম নরম নরম নারকেল পাতা দিয়ে। আপনার ধাপে ধাপে তৈরি করা নারকেল পাতার চশমার পোস্ট পড়তে গিয়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ল।
আপু আপনি তো দারুন মতামত দিলেন ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হয়তো আজ থেকে ২০ বছর আগে নারিকেল পাতা দিয়ে এই জাতীয় চশমা ঘড়ি বাঁশি তৈরি করতাম আর খেলা করতাম। বেশ অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি মনে করতে পারলাম এই চশমা তৈরি করা দেখে।
আমিও জানতাম আপনাদের এই ধরনের স্মৃতি গুলো মনে পড়বে কেননা গ্রাম অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা এই ধরনের খেলা অনেক খেলেছে।
নারকেল পাতার ঘড়ি, নারকেল পাতার চশমা শৈশবের স্মৃতির পাতায় এখনো পড়ে আছে। চশমা কতটা দামি ছিল আমাদের কাছে তাইনা আপু? আপনার পোস্ট দেখে ছোটবেলার সুন্দর স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল। এ চশমা গুলো কোন কাজের না কিন্তু এটাই ছিল আমাদের কাছে অনেক দামী একটা জিনিস। ছোটবেলার এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো কতইনা সুন্দর ছিল। ছোটবেলার দামি একটা জিনিস বানানোর পদ্ধতি আজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। খুব ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট দেখে।
সত্যি আপু তখন এভাবে চশমা তৈরি করে কত আনন্দের সাথে বেড়াতাম কিন্তু এখন ইচ্ছা করে না চশমা পড়তে।
ছোটবেলায় এরকম চশমা বানিয়ে কত খেলাধুলা করতাম আপু।সেই স্মৃতি আজও মনে পড়লে কত ভালো লাগে!আপনার বাবুকে চশমাটি পড়ে অনেক কিউট লাগছে।আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে আবার যদি ফিরে যেতে পারতাম সেই শৈশবে।
বাবুকে তো চশমা পরিয়ে ছবি তুলতে পারিনি ও চশমা চোখে দিচ্ছিল না শুধু ওর হাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমি তো জোর করে ছবি তুলেছি। ধন্যবাদ আপু।
ছোটবেলায় নারিকেলের পাতা দিয়ে এভাবে চশমা তৈরি করে খেলতাম।কতই না মজা করতাম এ চশমা নিয়ে।আজকে আপনার এই পোস্টটা দেখে আমার ছোটবেলার কথা ভীষণভাবে মনে পড়ে গেল।ভুলেই গেছিলাম কিভাবে এই চশমা তৈরি করতে হয় আজকে আপনার পোস্ট দেখে আবারও মনে পড়ে গেল।শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পোস্ট দেখে আপনি অবশ্যই ঘড়ি তৈরি শিখতে পারবেন আশা করছি।
ছোট বেলায় এই রকম চশমা বানিয়ে কত খেলা করতাম। আমিও এই গত কয়েকদিন ধরে ভাবছি যে চশমা নিয়ে একটা পোস্ট করবো তাঁর আগেই দেখতেছি আপনি পোস্ট করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধাপে ধাপে বর্ণনাও দিয়েছেন দেখছি সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে।
তা বেশ ভালই হলো এবার আপনিও একটা পোস্ট করে ফেলুন আমরা দেখব।
এখনকার দিনের রঙিন কাগজ দিয়ে আমরা অরিগামি তৈরি করি আগে এগুলো নারিকেল পাতা দিয়ে তৈরি করা হতো। আপনার চশমাটি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় এরকম নারিকেল পাতা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানাতাম। বাচ্চার চোখে দেওয়ার কারনে খুব কিউট লাগছিল দেখতে।
আপু বাচ্চা তো চোখে দিতে চাইছিল না জোর করে দিয়ে এই ছবিগুলো তুলেছি।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার ভাবে নারিকেল পাতার চশমা তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা পোস্ট দেখে আবারও সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় এরকমভাবে অনেক খেলা করেছি আমরা। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
নারকেল পাতা দিয়ে চশমা তৈরি এটা সবারই ছোটবেলার একটা স্মৃতি। সবাই দেখছি ছোটবেলার স্মৃতি অনেক সুন্দর ভাবে মনে করেছে।