চাচাতো বোনের বিয়ে পর্ব-১
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার ,২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনাদের সবাইকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই ভাল ও সুস্থ আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি তবে কয়েকদিন ধরে একটু ঠান্ডা লাগছে। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের কিছু মূহুর্ত শেয়ার করব। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন গায়ে হলুদের একটি অনুষ্ঠানে সুন্দর একটি কোণে বসে আছে। আজকে আমার চাচাতো বোনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছে। এতক্ষণ যেখানেই ছিলাম। এখন বাসায় এসে তার কিছু ফটোগ্রাফি দিয়ে আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট শেয়ার করছি। এই ফটোগ্রাফি গুলো আমি সন্ধ্যার সময় ধারণ করেছি। আমার চাচাতো বোনের নাম আমিনা। কয়েক মাস আগেই ওর বিয়ে হয়েছে। তবে বর তখন বিদেশে থাকতো তাই তেমন করে বিয়ের আয়োজন হয়নি। কিন্তু বিয়ে হবার পর থেকেই কথাবার্তা চলছিল যে বর বাড়িতে আসলে অনেক সুন্দর অনুষ্ঠান করে বিয়ের আয়োজন করা হবে। যেমন কথা তেমন কাজ গতকাল বর বিদেশ থেকে বাসায় এসেছে। বিদেশ থাকা অবস্থায় ডেট ফাইনাল করা হয়েছে বিয়ের। সামনের সোমবার বিয়ের তারিখ। তাই আজকে বউয়ের গায়ে হলুদ।
আমাদের এই গ্রামে বিয়ের অনেক নিয়ম কানুন আছে। বিয়ের দুই দিন আগে বউ নিজের বাড়ির ক্ষীর খাবে। এবং বিয়ের একদিন আগে সমাজের মানুষ তাকে ক্ষীর খাওয়াবে মানে সমাজের প্রতিটি মানুষ তাদের নিজেদের বাড়িতে মিষ্টি জাতীয় কিছু তৈরি করে বউকে খাওয়াবে। তো আমি গতকালকে কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলাম কিন্তু খুব একটা ভালো হয়নি তাই সেগুলো শেয়ার করিনি। আজকে সন্ধ্যায় যখন আমি মিষ্টি নিয়ে তাদের বাসায় গিয়েছিলাম তখনই ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছি। আমিনার সাথে আমার খুব ছোট থেকে সুন্দর সম্পর্ক। কেননা আমাদের বাড়ির একটা বাড়ি পরে ওর বাড়ি। ছোট থেকে একসাথে বড় হওয়া পড়াশুনা সবকিছু। তবে ও আমার থেকে এক বছরের ছোট। আমরা দুজনে একই স্কুলে পড়তাম এইজন্য বেশ ভালো মিল আমাদের মধ্যে। যাইহোক আজকে যখন ওকে গায়ে হলুদের এই সাজে দেখলাম আমার তো ভীষণ ভালো লাগলো। আমরা বিকেল বেলায় চলে গিয়েছিলাম ওদের বাড়িতে মিষ্টি দেওয়ার জন্য। গিয়ে দেখি সবাই সাজুগুজু করতেই ব্যস্ত ও একা একাই বসে আছি। তারপর আমি ওখানে গিয়ে আবু রায়হানকে বসিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ।
এরপর আমিনার পাশে বসে কয়েকটা ফটোগ্রাফি ধারণ করলাম। আমার ছেলে তো ভীষণ খুশি ছিল। আর ওখানে বক্স বাজছিল ওর আওয়াজ শুনে হয়তো একটু ভয় পাচ্ছিল। তবে সবাই অনেক নাচানাচি করছিল এটা দেখে অনেক খুশি ছিল। বাড়ির বোন সহ ছোট বড় সবাই অনেক সুন্দর ভাবে গায়ে হলুদের শাড়ি পড়ে সেজেছিল। সবাই অনেক সুন্দর ভাবে নাচ ছিল। আমরা অনেকক্ষণ সেখানে ছিলাম কিন্তু রাত হয়ে আসছিল তাই জন্য চলে আসি ওখান থেকে। তবে আমার পরিবারের সবাই ওখানে ছিল। রাতে সবাই অনেক নাচ গান করছিলো। যদিও আমি সবার নাচ দেখতে পারিনি তবে মোবাইলে অনেক ভিডিও করেছিল সেগুলো দেখে ভীষণ আনন্দ পেয়েছি।
গায়ে হলুদের সবার ফটোগ্রাফি আমি ধারণ করেছি কিন্তু শেয়ার করছে না তবে আরও একটি পর্ব এবং আরো কিছু মুহূর্ত দিয়ে আমি আপনাদের মাঝে আরেকটি পর্ব শেয়ার করব। আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের কাছে নতুন কোন পোস্টটি নিয়ে হাজির হব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। শুভ কামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার ছোট বোনকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে হলুদের সাথে। ছোট বাচ্চারা বক্সের আওয়াজ পেলে একটু ভয় পায়। আমার ছেলেও ছোটবেলায় বক্সের আওয়াজ শুনতেই পেত না। যাইহোক নতুন জীবন সুন্দর কাটুক এই প্রত্যাশাই করছি।
ধন্যবাদ আপু।
আপনার চাচাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষে আপনি দারুণ অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আমাদের দিকে অবশ্য নতুন বউকে ক্ষীর খাওয়ানোর তেমন কোন নিয়ম নেই। যাই হোক একেক দিকে একেক রকম নিয়ম। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার চাচাতো বোনকেও অনেক সুন্দর লাগছে মাশাল্লাহ। দোয়া করি উনার দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়। ধন্যবাদ।
আমাদের এলাকাতে দুই দিন ধরে ক্ষীর খাওয়ানো হয় ভাইয়া ধন্যবাদ।