রেসিপি: মজাদার বিস্কুট পিঠা তৈরি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার ,১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু আপনাদের সবাইকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। শুভ রাত্রি । কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ , আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে মজাদার একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করব। শীতকাল মানে পিঠা পুলি খাওয়ার ধুম। যখন ভীষণ শীত পড়ে তখন লেপের মধ্যে বসে বসে যেকোনো ধরনের পিঠা খেতে আবার ভীষণ ভালো লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লাগে শীতের সময় খেজুরের উপর দিয়ে তৈরি ভাপা অথবা চিতই পিঠা খেতে। তবে আজকে আমি অন্য একটি পিঠার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এই পিঠার নাম আমাদের অঞ্চলে বিস্কুট পিঠা বলে থাকে। এই পিঠা গুলো অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায় এবং খেতে অনেকটাই বিস্কুটের মত লাগে। তবে আপনাদের এলাকাতে এই পিঠা গুলোর নাম কি বলে সেটা অবশ্যই আমাকে জানাবেন। কিভাবে আমি পিঠা সম্পন্ন করলাম সেটা এখন শুরু করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | ময়দা |
২ | চিনি |
৩ | নারিকেল |
৪ | লবণ |
৫ | তেল |
৬ | এলাচ, দারচিনি |
৭ | কালো জিরা |
ধাপ-১
প্রথমে আমি কড়াই এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। পানি হালকা গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে আমি তিনটা এলাচ ও কিছুটা দারচিনি দিয়ে দিলাম।
ধাপ-২
এরপর স্বাদমতো লবণ ও পরিমাণ মতো কালোজিরা দিয়ে দিলাম। তারপর হালকা নাড়াচাড়া করে নিলাম।
ধাপ-৩
এরপর পানিটা খুব বেশি গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৪
চিনি গলে যাওয়ার পর এর মধ্যে আমি পরিমাণ মতো ময়দা দিয়ে দিলাম। এখানে আমি চা কাপের তিন কাপ ময়দা ব্যবহার করেছি। এরপর এক কাপ নারকেল কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৫
এরপর ভালোভাবে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। তারপর ময়দা গুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে হাত দিয়ে ভালোভাবে মথে একটি ডো তৈরি করে দিলাম।
ধাপ-৬
এরপর ডো থেকে অল্প অল্প করে ময়দা নিয়ে প্রথমে গোল করে নিলাম তারপর হাত দিয়ে চ্যাপ্টা করে দিলাম। এভাবে কিছু পিঠা তৈরি করলাম এবং পিঠা তৈরীর নকশা করা ছাঁচ দিয়ে কিছু পিঠা তৈরি করলাম। নকশা করা পিঠা গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল।
ধাপ-৭
পিঠা তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে আস্তে আস্তে পিঠা গুলো সম্পূর্ণ ভেজে নিলাম। এপাশ ওপাশ করে আস্তে আস্তে সুন্দর ভাবে ভাজতে হবে।
ধাপ-৮
পিঠা গুলো ভাজার পর খেতে ভীষণ মচমচে আর সুস্বাদু হয়েছিল। এরপর আমি তিনটে তিন রকমের ফুল দিয়ে পরিবেশন করলাম। আপনাদের কাছে আমার আজকের পিঠা গুলো কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আশা করবো শীতের সময় এই পিঠা গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবার আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বিস্কুট পিঠা রেসিপিটি অত্যন্ত লোভনীয় হয়েছে। তেলেভাজা যেকোনো পিঠা খেতে অনেক মজাদার হয়। বিস্কুট পিঠা তৈরির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার কাছে পিঠা রেসিপি টা ভালো লেগেছে যেন ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাঝেমধ্যে এমন সুন্দর সুন্দর পিঠা তৈরি করতে দেখলে ভালো লাগে। আর শীতের সময় মানেই তো পিঠা তৈরির উপযুক্ত সময়। যাহোক অসাধারণ পিঠা তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আশা করবো এই বিস্কুট পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।
ঠিক বলেছেন শীতকাল মানে পিঠাপুলি খাওয়ার সঠিক সময়।
ময়দা, চিনি, নারকেল, কালোজিরা দিয়ে খুব সুন্দর পিঠা বানিয়েছেন। বাসায় একন পিঠা বানানো যাবে খুব সহজেই। দেখতেও সুন্দর, খেতেও মজা! 😋 অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভীষণ ভালো লাগে আপু এই পিঠা । তবে সব থেকে ভালো লাগার বিষয় আছে এটি একদিন তৈরি করে আপনি প্রায় ১৫ দিনে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
বাহ খুব সহজে ঘরে বিস্কুট পিঠা বানিয়ে নিলেন। এগুলো দেখতে তো খুবই লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু বিস্কুট পিঠা রেসিপির প্রত্যেকটা ধাপ খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
ভীষণ সুস্বাদু মজা হয়েছিল আপু পিঠাগুলো।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে মজাদার বিস্কুট পিঠা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আসলে যেকোনো পিঠা তৈরি করলে খেতে সত্যি বেশ ভালো লাগে। আসলে তেলে ভাজা এ ধরনের পিঠাগুলো অনেক দিন বাড়িতে রেখে খাওয়া যায়। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
তেলে ভাজা পিঠা গুলো আমার তো ভীষণ ভালো লাগে ধন্যবাদ।
দারুণ বানিয়েছেন আপু বিস্কুট পিঠা গুলো।চমৎকার হয়েছে আপনার বানানো বিস্কুট পিঠা গুলো। এভাবে কখনো পিঠা বানিয়ে খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
তাহলে অবশ্য একদিন বাড়িতে রেসিপিটা তৈরি করার চেষ্টা করবেন আপু ভীষণ ভালো লাগবে।
ওয়াও আপু আপনি মজাদার বিস্কুট পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। এটা সত্যি যে এই বিস্কুট পিঠা রেসিপিগুলো অনেকদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরিবেশন টা একটু সুন্দর করে করার চেষ্টা করেছি ভাইয়া ধন্যবাদ।
আপনার তৈরি করা মজাদার বিস্কুট পিঠা দেখে আমার তো অনেক লোভ লেগে গিয়েছে। যদিও এই বিস্কুট পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি, কিন্তু দেখেই বুঝতে পারছি খেতে দারুণ ছিল। আজকে আপনার কাছ থেকে নতুন একটা পিঠা তৈরি শিখে নিলাম। কখনো যদি পারি, অবশ্যই আমি এই বিস্কুট পিঠা তৈরি করার চেষ্টা করবো।
আপনার কাছে আমার তৈরি করা এই পিঠা টি নতুন জেনে খুবই ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ।