রেসিপি: বেগুন দিয়ে পুঁটি মাছ চচ্চড়ি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার ,২১ নভেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করব। আজকে সন্ধ্যা বেলায় এই রেসিপিটা তৈরি করেছি। ছোট পুঁটি মাছ দিয়ে বেগুন রান্না করেছিলাম। পুঁটি মাছ আমার পরিবারের সবাই খেতে বেশ পছন্দ করে। আমারও ভীষণ ভালো লাগে তবে এলার্জির জন্য কিছুদিন যাবত খাইনি। তারপরেও পরিবারের সকলের পছন্দ তাই রেসিপিটা তৈরি করেছি। আর এটাই আপনাদের মাঝে আজকে উপস্থাপন করব। মাঝে মাঝে এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলো নিজের পছন্দ না হলেও পরিবারের পছন্দের জন্য তৈরি করতে হয়। যাইহোক আজকে কিভাবে আমি পুঁটি মাছ দিয়ে বেগুন রান্না রেসিপি টা তৈরি করেছি সেটা এখন শেয়ার করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | বেগুন |
২ | পুঁটি মাছ |
৩ | কাঁচা মরিচ |
৪ | পেঁয়াজ কুচি |
৫ | তেল |
৬ | লবণ |
৭ | হলুদ গুঁড়া |
৮ | ধনিয়া গুড়া |
৯ | পানি |
ধাপ-১
প্রথমে আমি চুলাই কড়া বসিয়ে এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ কুচি।
ধাপ-২
এরপর পেঁয়াজ ও মরিচ কুচি হালকা ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে আমি স্বাদমতো লবণ, হলুদ গুঁড়া ও ধনিয়া গুঁড়া দিয়ে দিলাম। তারপর হালকা নাড়াচাড়া করে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৩
পানি ফুটে উঠলে এর মধ্যে আমি আগে থেকে কেটে রাখা বেগুন গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর ভাজা পুঁটি মাছ গুলো দিয়ে দিলাম। আপনারা চাইলে না ভাজা পুঁটি মাছও দিতে পারেন। তবে গতকাল আগে আমি পুঁটি মাছ গুলো ভেজে রেখেছিলাম।
ধাপ-৪
এরপর আমি কিছুক্ষণ রান্না করে নিলাম। আমি একদমই ঝোল রাখিনি। এ ধরনের রেসিপি গুলোতে ঝোল না রাখলে বেশি ভালো লাগে। বলা যায় বেগুন দিয়ে পুঁটি মাছ চচ্চড়ি রেসিপি।
ধাপ-৫
এই রেসিপিটা তৈরি করতে আমার বেশি সময় লাগেনি। আশা করছি সহজ ভাবে এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আমার আজকের রেসিপি পোস্ট আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবার আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর রেসিপি হয়েছে কিন্তু। ছোট মাছ বেগুন দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। এই রেসিপিগুলো হালকা ঝোল ঝোল রাখলে পরে আরো বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। রান্নাটা দারুন হয়েছে কিন্তু।
আমি তো পুঁটি মাছ দিয়ে বেগুন চচ্চড়ি করেছি তাই ঝোল রাখিনি।
বেগুন দিয়ে পুঁটি মাছের চচ্চড়ি রান্না করি শেয়ার করেছেন। বেগুন দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে তার টেস্ট বেড়ে যায়। বেগুন দিয়ে পুঁটি মাছের চচ্চড়ি আমি খেয়েছি খেতে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে গরম গরম ভাতের সাথে এরকম চচ্চড়ি হলে আর কিছুই লাগেনা। রেসিপিটি ভালো লাগলো।
জ্বী আপু শীতের সকালে গরম ভাতের সাথে এরকম রেসিপি গুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ভালো লাগলো সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করতে দেখে। সবজির সমন্বয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। সে জায়গায় বেগুনের সমন্বয় রান্না।
বেগুন সবজিতে যেকোনো তরকারির মধ্যে দিলে ভীষণ মজা লাগে খেতে।
বেগুন দিয়ে এভাবে পুটি মাছের চচ্চড়ি হলে আর কি লাগে বলুন।
অনায়াসে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায় খাবারটি। যাইহোক আপনার রেসিপি দারুন লেগেছে, তবে কিছুটা পরামর্শ রয়েছে।
পরিবেশনের সময় আর একটু সুন্দর ছবি তুলতে পারলে পোস্টের মান বৃদ্ধি পাবে।
সুন্দর পরামর্শ দিয়েছেন ভাইয়া পরবর্তীতে চেষ্টা করব ধন্যবাদ।
বেগুন দিয়ে মাছ চচ্চড়ি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। এই সময় এই ধরনের খাবার গুলো আরো বেশি ভালো লাগে। শীতের সময় ছোট মাছের চচ্চড়ি আর গরম ভাত খেতে দারুন লাগে। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো আপু।
ঠিক বলেছেন আপু শীতের সকালে গরম ভাতের সাথে এরকম খাবার খুবই ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু ।
পুঁটি মাছ এবং বেগুন দুটো আমার খুব প্রিয় খাবার। আপনি দেখতেছি বেগুন দিয়ে পুঁটি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি করেছেন। তবে বেগুনের মধ্যে এলার্জি বেশি বেগুন খেতে মজাও বেশি। সত্যি আপনি মজার রেসিপি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া বেগুন খেতে ভীষণ মজা তাই এর এলার্জি ও বেশি।
বেগুন দিয়ে যে কোন ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে দারুণ লাগে।আপনি চমৎকার সুন্দর করে বেগুন দিয়ে পুঁঠিমাছের চচ্চড়ি করেছেন।খুব সুন্দর হয়েছে আপনার বেগুন দিয়ে পুঁঠিমাছের চচ্চড়িটি।খেতে অনেক লোভনীয় হয়েছে বুঝতে পারছি রেসিপিটি দেখে।ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
খেতে কেমন হয়েছিল জানিনা কেননা আমি তো খায়নি এলার্জির কারণে। তবে দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল।
বেগুন দিয়ে পুটি মাছের চচ্চড়ি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু রয়েছে। বেগুন খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমার পছন্দের একটি সবজি তবে অনেক দিনই খাওয়া হয় না কারণ বেগুনের মধ্যে প্রচুর এলার্জি। আপনার এই রেসিপিটা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার বেগুন ও পুটি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।