আমাদের বাড়ির বাজরিগার পাখি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার ,২২ নভেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনাদের সবাইকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট দিয়ে হাজির হয়েছি। তবে আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমাদের বাড়িতে থাকা কিছু বাজরিগার পাখিদের নিয়ে। আমার জানামতে আপনারা সবাই জানেন যে আমাদের বাড়িতে কিছু পাখি রয়েছে। আপনাদের ভাইয়া মুস্তাফিজুর রহমান উনি পাখি পুষতে অনেক ভালোবাসেন। আর পাখি দেখতে খাবার দিতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। একদম প্রথমে উনি চারটি পাখি কিনেছিলেন। আর আজকে সেখান থেকে আমাদের অনেকগুলো পাখি হয়ে গেছে। তবে দুঃখের বিষয় আজকের সকালে যখন উনি খাবার দিতে যাচ্ছিলেন তখন গিয়ে দেখে একটি পাখি মারা গেছে। কথাটি শুনে আমারও বেশ খারাপ লাগলো। আমিও সাথে সাথে গিয়ে দেখলাম সত্যি একটি পাখি মারা গেছে। পাখিটি দেখতে সাদা ও নীল রঙের। পাখিটি যেহেতু মারা গিয়েছিল তাই আমি কোন ফটোগ্রাফি ধারণ করিনি।
আমি যখন আপনাদের ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম যে পাখিটা কেন বলেছে জানো। তখন উনি বললেন শীতের কারণে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে তাই। বর্তমান আবহাওয়াটা সবার জন্য অনেক খারাপ। সকালে বিকেলে শীত পড়ছে দুপুরে গরম এর মাঝে আবার হালকা বাতাস তারপরে আবার মাঝে মাঝে গরম লাগছে। আর এই সময়টাতে ই ছোট বড় সবাই খুব বেশি অসুস্থ হচ্ছে। আর এই প্রভাবটাই পাখিদের ওপরও করেছে। হয়তোবা পাখিটা অনেক অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল তাই মারা গিয়েছে। প্রতিদিন সকালে আমি যখন আবু রায়হানকে খাওয়ায় তখন পাখিদের কাছে দিয়ে যায়। পাখিগুলো কিচিরমিচির করে আবু রায়হান সেটা খুবই আনান্দের সাথে দেখে আর খাই। দুপুরেও একই ভাবে ওকে খাওয়ানো হয়। এখন তো আবু রায়হান পাখিগুলোর কাছে গেলে আরও বেশি কিচিরমিচির করে। আর এটা দেখে আবার খুবই ভালো লাগে। তাছাড়াও এই পাখিগুলোর বিভিন্ন রঙের হয়। এর জন্য পাখিগুলোর সৌন্দর্য আরো বেশি। আমাদের বাসায় অনেক মানুষ আসে শুধুমাত্র এই পাখিগুলো দেখতে।
গরমের আবহাওয়াটা চলে যাবার পর যখন থেকে শীতল আবহাওয়াটা আসতে শুরু করেছে তখন থেকেই পাখিগুলো যেন কেমন একটা করে। পাখিগুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এদের পর্যাপ্ত পরিচর্যা করতে হয়। যদি পাখিদের একটু স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না দেওয়া হয় তাহলে এই শীতে অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই পাখিদের বিভিন্ন ধরনের খাবার দেয়া হয়। তার সাথে আপনাদের ভাইয়া পাখিদের বিভিন্ন ধরনের গাছের পাতা এনে দেয় এগুলো ওরা খায়। এবং প্রতিটি খাঁচার মধ্যে একটি করে পানির পর একটি করে খাবারের পট ও একটি সুন্দর মাটির হাড়ি দেওয়া আছে। হাঁড়ি গুলোর মধ্যে পাখিগুলো ডিম দেয় বাচ্চা তোলে। এবং রাত্রি বেলায় হাঁড়ি গুলোর মধ্যে ঘুমায়। সব মিলিয়ে পাখির খাওয়া দাওয়া ডাকাডাকি সবকিছুই আমার ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও এর পাশাপাশি আমাদের বাসায় রয়েছে রঙিন মাছের চাষ। যদি আগের তুলনায় এখন মাছ অনেকটাই কম। তারপরেও এ বিষয়ে আপনাদের মাঝে অবশ্যই একদিন একটি পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করব। তবে বাজরিগার পাখি আপনাদের কেমন লাগে সেটা অবশ্যই জানাবেন । আশা করছি ভালো লাগবে। আজকে এখানে শেষ করছি।পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন, শুভকামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই পাখিগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি শুনেছি তোমাদের বাড়িতে পাখি রয়েছে। আজকে কিছুটা দেখতে পারলাম। জানিনা কোনদিন এইসব পূরণ করতে পারব কিনা। ইচ্ছে রয়েছে এই পাখি আমি পুষবো।
চেষ্টা করলে অবশ্যই হবে আপু। আশা করছি খুব দ্রুত আপনার ইচ্ছা পূরণ হবে।
ঘরের মধ্যে পাখি পালন করা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে সেগুলো গ্রামের পরিবেশে হলে একটু ভালো হয়। যেহেতু জায়গা খুব বড়সড় থাকে গ্রামে তাই পাখির জন্য ঘর তৈরি করা যায়। কিন্তু শহরে থাকি বলে পাখি পালন করা খুবই কঠিন তাই শখ থাকার সত্বেও করি না। আপনাদের বাড়ির পালন করা পাখি গুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর অনুভূতি পড়ে।
ঠিক বলেছেন আপু শহরের থেকে গ্রামে পাখি পালন করা সত্যি অনেক সহজ। ধন্যবাদ আপু।
এই বিভিন্ন রংয়ের বাজরিকা পাখিগুলো আমারও অনেক পছন্দ। ঠিক বলেছেন আপু এই শীতের আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে মানুষের যেমন রোগ ব্যাধি হচ্ছে পশু পাখিরাও ঠিক তেমনি নানা রোগ আক্রান্ত হচ্ছে হচ্ছে। আপনার একটা পাখি মারা গেছে শুনে খুবই খারাপ লাগলো
হুম আপু পাখিটি মারা যাওয়া দেখে আমারও খুবই খারাপ লাগছিল। আমি পাখিটির নাম বাজরিগার। আপনার লেখা ভুল হয়েছে।
আমাদের এখানে বাজরিকা বলে আপু।
কমিউনিটির বাধ্যতামুলক টাস্কগুলোর স্ক্রিনশট প্রতিটি পোষ্টের নিচে শেয়ার করতে হবে, না হলে পোষ্ট কিউরেশন যাবে না। ধন্যবাদ
ভাইয়া আমি কালকেই টাস্কগুলো স্কিনশট দিয়ে এখানে পোস্ট করেছিলাম কিন্তু পোস্ট হয়নি এখন দেখতে পাচ্ছি। হয়তোবা নেটওয়ার্কের জন্য হয়নি। সারাদিন ব্যস্ততার কারণে পোস্টের ভেতর ঢুকতে পারিনি। তবে এখন আবারো পোস্ট করে দিলাম।
আসলে আপু বাড়িতে অনেকে পাখি লালন পালন করে। আপনারা দেখতেছি চারটি পাখি কিনলেন এখন অনেকগুলো পাখি হয়ে গেছে। তবে এটি ঠিক গরমের এবং ঠান্ডার কারণে যে কোন কিছু অসুস্থ হয়ে পড়তেছে। যেমন আপনাদের একটি পাখি মারা গেল। আর কিছু লালন পালন করলে সেগুলোর মধ্যে আলাদা একটা মায়া জন্ম নেয়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
জি আপু কোন কিছু লালন-পালন করলে তার প্রতি একটি আলাদা মায়া জন্মে যাই। ধন্যবাদ আপু।
এই আবওহাওয়াটা সত্যি একটু কঠিন। বিশেষ করে প্রাণীদের জন্য। কখনও শীত কখনও গরম এই অবস্থায় ওদের টিকে থাকা বেশ কঠিন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ওদের দিকে একটু বেশি খেয়াল রাখতে হয় এই সময় টা।
ভাইয়া শীত আশা এবং যাওয়া এই দুই সময়টা বড় ছোট পশু,পাখি ,মানুষ সবার জন্য ভীষণ খারাপ।