"কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি"

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago (edited)

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।আজ আমি একটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।আশা করি রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।

কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি:

IMG_20241223_153316.jpg

বেশ অনেকদিন ধরেই জমিয়ে শীত পড়ছে।তার উপরে সকাল হতেই ঘন কুয়াশার দেখা পাওয়া যায়, যতই বেলা বাড়ে ততই যেন কুয়াশা সাদা গাড় রঙের আকার ধারণ করে।আর এই শীতে শুধু ভাজাপোড়া জাতীয় জিনিস খেতে মন চায়।শীতে চায়ের সঙ্গে ভাজাপোড়া খেয়ে যেন আলাদা একটা তৃপ্তি অনুভূত হয়।আসলে এই কলার থোরের পকোড়া আগে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি।এই প্রথমবারের মতো তাই পকোড়া রেসিপি তৈরি করলাম।আমি এখানে আমাদের বাড়ির বিচিকলা গাছের থোর নিয়েছি।যাইহোক এটি তৈরির পর দেখতে যেমন অনেক সুন্দর ও লোভনীয় লাগছিলো তেমনি খেতেও দারুণ মজার হয়েছিল।যদিও এর স্বাদ অনেকটাই টক জাতীয়।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----

IMG_20241223_153300.jpg

উপকরণসমূহ:

1.কলার থোর- 2 হাত পরিমাণ
2.গরম মসলা গুঁড়া- 1/3 টেবিল চামচ
3.বেসন - 1 কাপ
4.লবণ- 1 টেবিল চামচ
5.হলুদ-1/2 টেবিল চামচ
6.শুকনো মরিচ গুঁড়া-1/2 টেবিল চামচ
7.জিরা গুঁড়া- 1 টেবিল চামচ
8.পাঁচফোড়ন-1/3 টেবিল চামচ
9.পেঁয়াজ কুচি-2 টি
10.কাঁচা মরিচ কুচি-4 টি
11.সাদা তেল-1/2 বাটি

IMG_20241223_144444.jpg

IMG_20241223_144600.jpg

প্রস্তুত-প্রণালী:

ধাপঃ 1

IMG_20241223_144433.jpg
প্রথমে আমি কলার থোর নিয়ে নিলাম।যেটা দেখতে অনেকটা লম্বা বাল্বের মতো মনে হচ্ছিলো।

ধাপঃ 2

IMG_20241223_144509.jpg
এরপর কলার থোরের গা থেকে আশ ছাড়িয়ে ধুয়ে নিলাম ভালোভাবে।তারপর কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ নিয়ে সবগুলো উপকরণ একে একে কুচি করে নিলাম।

ধাপঃ 3

IMG_20241223_144521.jpg
তো আমি এইভাবে কুচি করে নিয়েছি বটির সাহায্যে হাত দিয়ে।

ধাপঃ 4

IMG_20241223_145125.jpg
এখন অল্প পরিমান লবন ও হলুদ কুচি করা থোরের উপর দিয়ে দিলাম।

ধাপঃ 5

IMG_20241223_144824.jpg
এরপর থোরগুলি ভালোভাবে হাত দিয়ে চটকে নেব,যাতে থোরগুলো নরম হয়ে যায়।

ধাপঃ 6

IMG_20241223_144837.jpg
তো আমি থোরগুলি চটকে নিয়েছি এভাবে করে।

ধাপঃ 7

IMG_20241223_144853.jpg
এখন থোরের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।

ধাপঃ 8

IMG_20241223_145137.jpg
এরপর বেসন নিয়ে নিলাম এবং সঙ্গে সমস্ত গুঁড়া মসলার উপকরন নিয়ে মিশিয়ে নিলাম।

ধাপঃ 9

IMG_20241223_145009.jpg
তো আমার থোরের বেটার তৈরি করে নেওয়া হয়ে গেল।

ধাপঃ 10

IMG_20241223_145029.jpg
এখন একটি পরিস্কার কড়াইতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে গরম করে নিলাম।

ধাপঃ 11

IMG_20241223_145051.jpg
এখন অল্প অল্প বেটার নিয়ে গরম তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম।

ধাপঃ 12

IMG_20241223_145108.jpg
এবারে পকোড়াগুলি নেড়েচেড়ে বাদামি রঙের করে ভেজে নিলাম।

শেষ ধাপঃ

IMG_20241223_153400.jpg
সবশেষে একটি পাত্রে তুলে নিলাম পকোড়াগুলো।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি"

পরিবেশন:

IMG_20241223_153339.jpg

IMG_20241223_153316.jpg

IMG_20241223_153300.jpg
এখন এটি গরম গরম পরিবেশ করতে হবে টমেটোর সস দিয়ে কিংবা এমনি।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও টেস্টি হয়েছিল।


আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসpoco m2
অভিবাদন্তে@green015
লোকেশনবর্ধমান

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি বর্ধমান ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি,ইতিহাস বিষয় নিয়ে।বর্তমানে আমি ওখানেই অধ্যয়নরত আছি।এখানে বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।এছাড়া আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।

IMG_20240429_201646.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।

Sort:  
 yesterday 

টাস্ক প্রুফ:

GridArt_20241224_062653364.jpg

IMG_20241224_062723.jpg

 yesterday 

কলার থোর দিয়ে অসাধারণ রেসিপি তৈরি করেছেন। এর আগে কখনো আমি কলার থোরের পকোড়া খাইনি। আপনার কাছ থেকে এই প্রথমে রেসিপি টা দেখতে পেলাম। অনেক ভালো লেগেছে রেসিপিটা ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 7 hours ago 

ভাইয়া, এইবার অবশ্যই ট্রাই করবেন কেমন!ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।

 2 days ago 

আহারে দিদি, দুদিন আগে রেসিপি টা দিলে তো আমিও আপনার রেসিপি দেখে বানিয়ে ফেলতে পারতাম। আমাদের তো নিজের গাছ নেই, থোর খাওয়াও হয় নি আগে। বাজারে পেয়ে কদিন আগে কিনে এনেছিলাম। যাই হোক, আজ ভালো করে শিখে রাখলাম, নেক্সট টাইম থোর পেলে এভাবেই পাকোড়া করে খাবো!মাস্ট!

 yesterday 

দিদি,শিখে নিলেন।পরের বার অবশ্যই ট্রাই করবেন কেমন!মাংসের মতো স্বাদ পাবেন এমন নিরামিষ রেসিপিতে,ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 days ago 

এটা একটা ইউনিক রেসিপি আমার কাছে।
বেশ ভালো লাগলো আপনার চমৎকার এই রেসিপি দেখে, আশাকরি খেতে সুস্বাদু ছিল। এবার কলার থোর পেলে অবশ্যই এটা তৈরি করে খাবো।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপি উপহার দেয়ার জন্য।

 yesterday 

অবশ্যই তৈরি করবেন ভাইয়া, মাংসের মতো স্বাদ পাবেন এমন নিরামিষ রেসিপিতে।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 days ago 

কলার থোর দিয়ে কখনও কোন রেসিপি খাওয়া হয়নি। কলার থোর দেখে মনে হচ্ছে একদম কচি ছোট কলা গাছের মাঝখানের অংশ নিয়েছেন। তবে আপনার পাকোড়া দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। একদিন অবশ্যই এই রেসিপি তৈরি করে দেখবো। ধন্যবাদ দিদি মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 9 hours ago 

একদম কচি ছোট কলা গাছের মাঝখানের অংশ নিয়েছেন।

না আপু,এটা বড় কলা গাছের থোর।সাধারণত যে গাছে কলার কাধী হয়ে থাকে সেই গাছেই থোর হয়।তেমনি এই গাছেও বিচিকলার কাধী ছিল আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 yesterday 

কলা তোর কি সাধারণত আদাবাটা ও ঘি দিয়ে তরকারি রান্না করি। কিন্তু কলা থোড়েও যে এত সুন্দর পকোড়া বানানো যায় এটা আগে কখনো ভাবিনি। বেশ সুন্দর হয়েছে তোমার রেসিপিটা। আশা করি খেতে খুব ভালো হয়েছিল।

 yesterday 

অসম্ভব টেস্টি হয়েছিল দিদি,একবার খেয়ে তো পোষায় নি।আবার বানাবো ভাবছি,তুমিও এভাবে বানিয়ে দেখো,ধন্যবাদ।

 yesterday 

আজকে আপনি আমাদের মাঝে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে সত্যি বলতে আমার ও ইউনিক কিছু খেতে এবং তৈরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার পাকোড়া রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজার হয়েছিল।

 9 hours ago 

আসলেই ইউনিক কিছু তৈরি করার মজাই আলাদা ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনার সুন্দর অনুভূতির জন্য।

 yesterday 

খুবই ইউনিক ভাবে আপনি এই পকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা পকোড়া দেখে আমার তো অনেক লোভ লেগে গিয়েছে। দেখেই বুঝতে পারছি এই পকোড়া খেতে দারুন লেগেছিল। বিকেল বেলায় গরম গরম পকোড়া খাওয়ার মজাটাই আলাদা হয়।

 9 hours ago 

ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, এটা দুর্দান্ত স্বাদের খেতে হয়েছিল।সকাল কিংবা বিকেলের জলখাবার হিসেবে দারুণ জমবে,ধন্যবাদ আপনাকে।

 yesterday 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে কলার থোরের মুচমুচে পকোড়া রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে আপু। এমনিতেই ইউনিক কোন কিছু তৈরি করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

 9 hours ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ইউনিক কিছু তৈরি করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি খেতেও।ধন্যবাদ, আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।