"ক্রিসমাস ডে কাটানোর আরো কিছু মুহূর্ত"
নমস্কার
ক্রিসমাস ডে কাটানোর আরো কিছু মুহূর্ত:
ক্রিসমাস একটি বাৎসরিক খ্রিস্টীয় উৎসব। ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়।এই দিনে যীশুখ্রিস্টের জন্ম হয়েছিল একটি মেষ পালক বা গোয়ালঘরে।যেখানে সে মাতা মরিয়ম ও পিতা জোসেফের সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন।ঈশ্বরের দূতেরাও এখানে যীশুকে দেখতে আসেন।তো এই দিনে আমি গিয়েছিলাম বর্ধমান শহরের চার্চগুলি দেখতে।আর দুটি ঐতিহ্যবাহী চার্চ দেখিও বটে।
আসলে এখানে যীশুর জন্মের মূর্তিকে দেখানো হয়েছে।যেখানে যীশুর পাশে তার মা ও বাবা বসে রয়েছে আর উপরে একটি উড়ন্ত পরীর পরীর দৃশ্য রয়েছে।আসলে বর্ধমান স্টেশন থেকে পায়ে হেঁটে আমরা গিয়েছিলাম চার্চটি দেখতে, যেটা স্টেশন থেকে 1 কিলোমিটার দূরে ছিল।আর যখন আমরা যাই তখন দুপুরের সময় ছিল তাই চার্চের ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখলাম অনুষ্ঠান হচ্ছে।কিছু মেয়েরা গানের তালে তালে দলবদ্ধভাবে নাচ করছে।একটুখানি দেখতেই অনুষ্ঠানটি শেষ হয়ে যায়।
যখন আমরা আমাদের স্টেশন থেকে ট্রেন ধরবো বলে গিয়েছিলাম, তখন একটি ট্রেন মিস করি।ফলে পরের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করি,তখন আমাদের পাশে এক কাকুও অপেক্ষা করছিলো।আমি প্রথমে তার সঙ্গে থাকা সরঞ্জাম দেখে ভেবেছিলাম হয়তো ঝাল মুড়িওয়ালা।কিন্তু গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই বললো,এটা ঘটি গরম।ঘটি গরম সেটা আবার কি খাবার!আমি তো কখনো খায়নি ট্রেনে এটা,যাইহোক তাই নিয়ে নিলাম 10 টাকা দিয়ে।খুবই অল্প পরিমাণ, মূলত এটা চানাচুরের মধ্যে পেঁয়াজ,কাঁচা মরিচ কুচি ও মসলা মিশিয়ে তৈরি করা হয়।খেতে ভালোই লাগে, কিন্তু কোথায় গরম কোথায় কি!যাইহোক এরপর ট্রেন চলে আসলেই আমরা ট্রেন ধরি।
সবাই ওই স্থানে ছবি তুলেছিলো তাই আমিও একটি তুলে নিলাম।তাছাড়া ভালোই ভিড় ছিল গির্জার মধ্যে।পুরো রুমটি সাজানো ছিল বেলুন ,স্টার ও রঙিন প্লাস্টিকের তৈরি চিকিমিকি ফুল দিয়ে।এছাড়া গির্জার বাইরে গোলাপ ফুলের দোকান ছিল, অনেকেই গোলাপ ফুল কিনে এনে গির্জার ভিতরে দিয়ে প্রে করছিলো।ফুলে ফুলে একাকার ছিল জায়গাগুলো।তবে দেওয়ালে যীশুর জীবনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু ছবির দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পেইন্টিং এর মাধ্যমে।আর উপরেও অনেক ছবি ছিল যেগুলো যীশুর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পুরো জীবন কাহিনী-ই তুলে ধরে।
যাইহোক ছবিগুলো যেহেতু উপরে ছিল আর তার নিচে এতটাই সজ্জিতভাবে বেলুন ও রঙিন প্লাস্টিকের তৈরি চিকিমিকি ছিল যে ছবিগুলো অর্ধেক ঢাকা পড়ে গিয়েছিল।তাছাড়া এতটা নিচ থেকে উপরের ছবিগুলো স্পষ্টভাবে ক্যাপচার করাও বেশ মুশকিল।প্রত্যেকটি পেইন্টিং বাধায় করা ছিল ছোট ছোট ফ্রেমে আর তার নিচে বাংলা ভাষায় ঘটনাগুলির উল্লেখ করা ছিল।যেহেতু দুপুরের সময় ছিল তাই ফাদার বললেন, আমরা খেতে যাবো দরজা দিয়ে।যারা বাইরে থেকে আগত তাদের বাইরে যেতে, এই গির্জাটি খুবই বড়।
যদিও পাশেই মূল গির্জার রুমটি ছিল।যেটাতে আমাদের ভিতরে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ ছিল।আর তার পাশেই ছোট ছোট রুম ছিল যেখানে খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী অনেকেই থাকে।প্রে করার একটি স্থানও ছিল সেখানে, যাইহোক আমরাও তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলামদরজা দিয়ে দেওয়া হবে বলে।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টাস্ক প্রুফ:
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যিশুখ্রিস্টের জন্ম মৃত্যু দিনকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গাতে বেশি সুন্দর দিন উদযাপন করা হয়। ক্রিসমাস ডে অনেক জায়গাতেই উদযাপন করতে দেখি। তবে আমাদের এখানে তেমন একটা এই দিনটা উদযাপনের কোন নিয়ম নীতি লক্ষ্য করি না। তবে যাই হোক আপনার আজকের পোস্ট দেখে অনেক কিছুটা ধারণা পেলাম। বেশ ভালো লাগলো সুন্দর একটি পোস্ট দেখে বেশ কিছু ধারনা পেয়ে।
ভাইয়া, বড়দিন মানেই যিশুখ্রীষ্টের জন্মদিন।আর আমার জানা মতে সব দেশেই কমবেশি এটি পালন করা হয়, ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই বলি ২৫ ডিসেম্বর কিন্তু শুধুমাত্র যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে পালন হয় তা নয় এই দিনটি যিশুখ্রিস্টের মৃত্যুদিনও। আগে এতো উদযাপন ছিল না তবে আজকাল সর্বত্রই অনেক রমরম করে সেজে ওঠে। ভারতবর্ষের নানান জায়গায় বড় বড় চার্জ গুলো তো দেখার মত হয় এবং অনেক অনুষ্ঠানও হয়।
তোমার প্রথমবার ঘটি গরম খাওয়ার অভিজ্ঞতা পড়লাম ভালো লাগলো।
এছাড়াও চারটি ঘুরে বেড়ানোর সমস্ত ছবিও সুন্দর হয়েছে।
হুম দিদি, প্রথমবার আমি তো ঝালমুড়ি খাবো বলে ছুটে গিয়েছিলাম।যাইহোক আরো কিছু ছবি এখনো রয়েছে, ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ক্রিসমাস ডে উপলক্ষে আপনি খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ডেকোরেশন টা খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। ভালো লাগলো দেখে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
আসলেই দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম দিদি,ধন্যবাদ আপনাকে।