"ভিন্নস্বাদের কামরাঙ্গা ফলের জুস রেসিপি"
নমস্কার
ভিন্নস্বাদের কামরাঙ্গা ফলের জুস রেসিপি:
বন্ধুরা, রস আস্বাদনের জন্য আমরা অনেক ফলের রস পান করে থাকি।এছাড়া অতিরিক্ত তৃষ্ণায় গলা ভেজাতে বিভিন্ন ধরনের জুস পানীয় হিসেবে কাজ দেয়।কিন্তু আমাদের এখানে শীত পড়া শুরু করলেও এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে এখনো ভালোই গরম পড়ছে।তাই গরমের অন্যতম পানীয় হচ্ছে জুস,আমি কামরাঙ্গা দিয়ে এই প্রথম জুস তৈরি করলাম।কামরাঙ্গার রস খুবই ঝাঁঝালো ও টক স্বাদের হয়ে থাকে।তাই ঠিকমতো তৈরি করতে পারলে এটা খুবই স্বাদের ও উপকারী হয়ে থাকে।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো চলুন শুরু করা যাক ভিন্নধর্মী রেসিপিটি---
উপকরণসমূহ:
2.লবণ- 1/2 টেবিল চামচ
3.জিরা গুঁড়া- 1/2 টেবিল চামচ
4.লাল মরিচ গুঁড়া- 1/2 টেবিল চামচ
5.সুগার পাউডার-1/2 কাপ
6.লেবু-অর্ধেক
7.জল
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কিছু কামরাঙ্গা আমাদের গাছ থেকে সংগ্রহ করে নিলাম।এরপর সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম জল দিয়ে।
ধাপঃ 2
এখন প্রত্যেকটি কামরাঙ্গার পাশে থাকা শক্ত ডাটি কেটে বাদ দিয়ে নেব,এরপর গ্রেটারের সাহায্যে গ্রেট করে নেব।
ধাপঃ 3
তো আমি সবগুলো কামরাঙ্গা গ্রেট করে নিয়েছি মিহি করে।এখন এটা থেকে রস আলাদা করতে হবে।
ধাপঃ 4
এবারে আমি কামরাঙ্গার ঠিটাগুলি চেপে বাদ দিয়ে দেব এবং রসগুলি একটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নেব।
ধাপঃ 5
তো আমি এখানে কামরাঙ্গার ফ্রেস রস নিয়ে নিলাম।এটা খুবই ঝাঁঝালো ও টক টাইপের হয়ে থাকে।
ধাপঃ 6
এখন এতে বেশি করে পরিষ্কার ঠান্ডা জল মেশাতে হবে।এরপর একটি লেবু নিয়ে কাঁচের গ্লাসের মুখে লাগিয়ে নিতে হবে।
ধাপঃ 7
এবারে গ্লাসের মুখে লাল মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে নিলাম ভালো স্বাদের জন্য।
ধাপঃ 8
তো গ্লাসটির মুখটি খুবই আকর্ষণীয় দেখতে লাগছিলো লাল মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে নেওয়ার পর।
ধাপঃ 9
এখন লেবুর রস ও পরিমাণ মতো সুগার পাউডার মিশিয়ে নেব কামরাঙ্গার রসের মধ্যে।
ধাপঃ 10
এরপর লবণ,জিরা গুঁড়া,লাল মরিচ গুঁড়া ইত্যাদি মিশিয়ে নেব পরিমাণ মতো চামচের সাহায্যে।
ধাপঃ 11
এবারে গ্লাসের মধ্যে ঢেলে নেব জুসের মিশ্রণটি।
শেষ ধাপঃ
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "ভিন্নস্বাদের কামরাঙ্গা ফলের জুস রেসিপি"।
পরিবেশন:
এখন এটি পরিবেশন করতে হবে।চাইলে এতে কয়েক টুকরো বরফও যুক্ত করা যেতে পারে।এছাড়া এটি খুবই ঝাঁঝালোযুক্ত ও ভিন্ন স্বাদের মজাদার খেতে হয়েছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টুইটার লিংক
টাস্ক প্রুফ:
আমাদের এলাকায় ঠান্ডা পড়েছে। আপনার ওখানে গরম আর গরমের দিবে জুস শরীরও মনকে জুড়িয়ে দেয়। দারুণ বানিয়েছেন কামরাঙ্গার জুস। অসাধারণ সুন্দর হয়েছে আপনার বানানো রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় সুস্বাদু জুস রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
কামরাঙ্গা ফলের জুস তৈরি দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। কামরাঙ্গা ফলের জুস আমি
কখনো খাইনি। আপনি কত সুন্দরভাবে কামরাঙ্গা ফলে জুস তৈরি করে ফেললেন। প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার রেসিপি অনুযায়ী আমিও তৈরি করে ফেলতে পারব কামরাঙ্গা ফলের জুস।সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কামরাঙ্গার জুস আমি কখনো খাইনি বোন। কি সুন্দর করে তুমি জুসটি বানালে। আপনাকে আকর্ষণীয় লাগলো ক্লাসের গায়ে মরিচের গুঁড়ো লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়টা। দারুন সুন্দর দেখতে হয়েছে জুস। যদি সামনে থাকতো আর চুমুক খেয়ে দেখতাম কেমন হয়েছে।
কামরাঙ্গার জুস কখনো খাইনি। তবে তুমি ওপরটা অত লঙ্কা গুঁড়ো দিয়েছো! আমার তো দেখেই ঝাল লাগছে। লেবুর রস দিয়ে গ্লাসের মুখটা মেখে নিয়েছো ওখানে আমার মনে একটু মধু দিলেও ভালো লাগতো। কামরাঙা তো খুবই উপকারী ফল। তাই জুসটাও খেলে বেশ উপকার হবে।
কামরাঙ্গা ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। কামরাঙ্গা ফলের জুস কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাছে রেসিপিটা দেখে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে জুসটা ডেকোরেশন করেছেন। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে।
কামরাঙ্গা ফল দিয়ে যে জুস করা যায় এটা জানা ছিল না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম দিদি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
কামরাঙ্গা ফলের জুস এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে ভিন্নস্বাদের কামরাঙ্গা ফলের জুস রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার হাতে তৈরি করা কামরাঙ্গা ফলের জুসের রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে রেসিপি টি তৈরি সম্পন্ন করেছেন।
আগে কখনো কামরাঙ্গার জুস খাওয়া হয়নি। এমনকি দেখিওনি। আপনার কাছে এই প্রথম দেখলাম। যদিও জুসটা দেখে মনে হচ্ছে বেশ ঝাঁঝালো ফ্লেভার হবে। কারণ এর সাথে যেহেতু মরিচ ব্যবহার করেছেন সেজন্য। যাই হোক সুন্দর একটা ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।