"সামুদ্রিক কাঁকড়া কষিয়ে ভুনা রেসিপি"
নমস্কার
সামুদ্রিক কাঁকড়া কষিয়ে ভুনা রেসিপি:
বন্ধুরা,চলছে বর্ষাকাল।আর এই বর্ষাকালে বৃষ্টি হলেও কিন্তু গরম কমছে না।যাইহোক আমার এক্সামের চাপে অনেকদিন ধরেই রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করা হয় না।কারন রেসিপি মানেই সময়সাপেক্ষ,তারপরও আজ একটি রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েই গেলাম।আসলে কয়েকদিন আগে সামুদ্রিক কাঁকড়া কেনা হয়েছিল,যেগুলো বিভিন্ন রং -বেরঙের ছিল।বেশিরভাগ সময় দেশি বড় কাঁকড়া খাওয়া হয়।কিন্তু আজ সামুদ্রিক কাঁকড়া খাওয়া হয়েছিল,আর আমার মন চাইছিলো একটু কষিয়ে ঝাল করে খাওয়ার।যদিও আমার হালকা এলার্জির সমস্যা রয়েছে তবুও আমি কিন্তু এই মজাদার কাঁকড়া খাওয়া ছাড়ি না।কারন কাঁকড়া আমার অনেক প্রিয়, তাই আজ তৈরি করলাম সামুদ্রিক কাঁকড়া কষিয়ে ভুনা রেসিপি।এই রেসিপিটি তৈরির পর দেখতে যেমন সুন্দর লাগছিলো, খেতেও তেমনি সুন্দর হয়েছিল।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
2.আদা ও রসুন বাটা-1 টেবিল চামচ
3.পেঁয়াজ কুচি- 2 টি
4.শুকনো মরিচ বাটা- 1 টেবিল চামচ
5.কাঁচা মরিচ বাটা - 1 টেবিল চামচ
6.লবণ- 1 টেবিল চামচ
7.হলুদ-1/2 টেবিল চামচ
8.লাল মরিচ গুঁড়া-1 টেবিল চামচ
9.জিরে বাটা-1 টেবিল চামচ
10.পাঁচফোড়ন-1/3 টেবিল চামচ
11.সরিষার তেল- 4 টেবিল চামচ
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কিছু রঙিন সামুদ্রিক কাঁকড়া নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর কাকড়াগুলি কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিলাম।এছাড়া সকল মশলার উপকরণ বেঁটে রেডি করে নিলাম।
ধাপঃ 3
এখন একটি পরিষ্কার কড়াই বসিয়ে দিলাম চুলার মিডিয়াম আঁচে।তারপর কড়াইতে তেল দিয়ে তার মধ্যে কুচানো পেঁয়াজ দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 4
এরপর সামান্য পাঁচফোড়ন দিয়ে নেড়েচেড়ে পেঁয়াজগুলি ভেজে নিলাম।
ধাপঃ 5
এবারে কাঁচা মরিচ, জিরে,আদা ও রসুন সমস্ত উপকরণ আলাদা করে বেঁটে নিলাম মিহি করে।এরপর পেঁয়াজের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 6
এখন লবণ, হলুদসহ বিভিন্ন গুঁড়া মসলার সব উপকরণগুলি দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 7
এরপর সমস্ত উপকরণ একত্রে মিশিয়ে কষিয়ে নিলাম সামান্য জল দিয়ে।
ধাপঃ 8
এবারে কেটে রাখা কাঁকড়াগুলি মসলার মধ্যে দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 9
এখন কাঁকড়াগুলি নেড়েচেড়ে কিছু সময় কষিয়ে নিলাম ঢাকনা দিয়ে ঢেকে।
ধাপঃ 10
এরপর সামান্য জল দিয়ে দিলাম কষানো কাঁকড়ার মধ্যে।
ধাপঃ 11
এখন কিছু সময় কাঁকড়াগুলি নেড়েচেড়ে ফুটিয়ে নেব।
ধাপঃ 12
এবারে কাঁকড়ার ঝোল ঘন হয়ে আসলে নামিয়ে নিতে হবে।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে একটি পাত্রে নামিয়ে নিলাম ভুনা রেসিপিটি।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "সামুদ্রিক কাঁকড়া কষিয়ে ভুনা রেসিপি"।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে কিংবা এমনি পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে অসম্ভব মজার হয়েছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
সামুদ্রিক কাঁকড়া কষিয়ে ভুনা করার রেসিপিটি দেখতে সুন্দর হয়েছে, এবং খুবই লোভনীয় হয়েছে। খুব সুন্দর মসলাদার হয়েছে কাঁকড়া ভুনা রেসিপিটি আশা করি খেতেও খুব সুন্দর হয়েছিল। উপকরণ এবং ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা যেহেতু ভুনা রেসিপি তাই মসলার পরিমাণও বেশি আপু।আর খেতে দারুণ মজার হয়েছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ তাহলে তো বেশ চমৎকার খাওয়া-দাওয়া করলেন আপু আপনি। যেহেতু পরীক্ষার চাপে আছেন রেসিপি তৈরি করতে পারেননি। আজকে আপনার প্রিয় খাবারটি রান্না করে শেয়ার করলেন। সামুদ্রিক মাছ যে কোন খাবার খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি সামুদ্রিক কাঁকড়া কষিয়ে ভুনা রেসিপি তৈরি করলেন। রেসিপি দেখেই তো বুঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে।
হ্যাঁ আপু,আসলে খাওয়া-দাওয়া সবসময় ভালো করার চেষ্টা করি।ধন্যবাদ আপনাকে ও।
খাল বিলের কাঁকড়ার থেকে সামুদ্রিক কাঁকড়ার মধ্যে একটু বেশি মজা পাওয়া যায়। তবে আমি এখন পর্যন্ত কাঁকড়া খাইনি, কিন্তু আমার এক ভাইয়ের কাছে থেকে শুনেছিলাম। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সামুদ্রিক কাঁকড়া কষিয়ে ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।
খুবই মজাদার খাবার এটি,যদি কখনো সুযোগ পান অবশ্যই খেয়ে দেখবেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
সামুদ্রিক কাকড়া কখনো খাওয়া হয়নি। তবে বেশিরভাগ সময় দেখেছি বিভিন্ন জায়গায় কাঁকড়া ফ্রাই করা হয়। কাকড়া এভাবে ভুনা করে খাওয়া যায় এটা জানা ছিল না। ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটা গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁকড়া দিয়ে আসলে অনেক রেসিপি তৈরি করা যায় আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
সামদ্রিক কাকরা কষিয়ে চমৎকার একটি সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার করা রেসিপি টা খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ও।
সামুদ্রের কালারফুল কাঁকড়া কষা ভীষণ চমৎকার সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে। জিভে জল আসার মত একটি রেসিপি আজকে ভাগ করে নিয়েছেন দিদি । এই সামুদ্রিক কাকরা অনেক আগে খেয়েছিলাম ভীষণ সুস্বাদু। আপনার রেসিপিটি দেখে আবার খেতে মন চাচ্ছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর ও লোভনীয় করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই দিদি,সামুদ্রিক কাকড়াগুলি খুবই টেস্টি হয় খেতে যদিও শাস কম থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আজকে তো আপনি অনেক সুন্দর করে সামুদ্রিক কাঁকড়া মাছের ভুনার রেসিপি করেছেন। তবে সামুদ্রিক কাঁকড়া খেতে আমি নিজেও খুব পছন্দ করি। আর কাকড়া গুলোর মধ্যে পেঁয়াজ এবং মরিচ বাড়িয়ে দিলে খেতে বেশ মজা লাগে। যদিও এখন কাঁকড়া তেমন পাওয়া যায় না সব জায়গাতে। মজার সামুদ্রিক কাঁকড়া রেসিপি ভুনা করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপু,আপনি যে কাঁকড়া খান এটা জেনে ভালো লাগলো।আর এগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দিন দিন, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সামুদ্রিক কাঁকড়া কষিয়ে ভুনা রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে কাঁকড়া খাওয়ার মজা অন্যরকম হয়ে থাকে। কাঁকড়া কষা ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। সামুদ্রিক কাঁকড়া কষিয়ে ভুনা রেসিপি রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। আপনার রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে সুস্বাদু হয়েছে। এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া, আপনিও এই পদ্ধতি অবলম্বন করে রেসিপিটি তৈরি করে খেতে পারেন।খুবই সুস্বাদু, ধন্যবাদ আপনাকে।
দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। কখনো কাকড়া রেসিপি খাওয়া হয়নি। তাই আপনার রেসিপিটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া, শুধু দেখতে নয় খেতে ভরপুর সুস্বাদু।ধন্যবাদ আপনাকে।