"সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি:
ফটোগ্রাফি করাটাও একটি আর্ট।প্রথমত ফটোগ্রাফি করাটা পছন্দসই না হলেও এখন বেশ ভালো লাগে আমার ফটোগ্রাফি করতে।ততটা পারদর্শী না হলেও ফটোগ্রাফির প্রতি আলাদা একটা টান কিন্তু কাজ করেই থাকে আমার।তাছাড়া চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য।তাই আজ শেয়ার করবো-"সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি"।আশা করি ফটোগ্রাফিগুলো ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।যাইহোক তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন ফটোগ্রাফিগুলি দেখে নেওয়া যাক----
আলোকচিত্র: ০১
লোকেশন
এই ফটোগ্রাফিটি দুর্গাপূজা প্যান্ডেল থেকে ধারণ করা হয়েছিলো।কালো রঙের পেইন্টিংটির মাঝে নতুন ধরনের বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।পুলিশ লাইন আবাসিক বৃন্দ দুর্গোৎসব কমিটির উদ্যোগে এখানে প্রতিবছর পেইন্টিং দিয়ে প্যান্ডেল সাজানো হয়।এই বছরের থিমের নাম ছিল সহজ পাঠ।এখানে এক কাঠুরিয়ার পরিবারের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।যেখানে দুইজন পুরুষ কাঠুরিয়া কাঁধে কুঠার নিয়ে ও হাতে খাবারের বালতি ও থালা নিয়ে যাচ্ছে জঙ্গল পথে।তার সঙ্গে হেটে চলেছে দড়ি ও ঝাড়ু নিয়ে একজন মহিলা।হয়তো এইভাবেই কাঠ কেটে তারা জীবিকা নির্বাহ করে।
আলোকচিত্র: ০২
লোকেশন
এই ফটোগ্রাফিটিও কালো রঙের প্রতিচ্ছবি দ্বারা তৈরি।এখানে একটি জঙ্গলের দৃশ্য ফুটে উঠেছে।যেখানে একটি ডোরাকাটা চিতা বাঘ শুয়ে রয়েছে।আর জঙ্গলের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীতে রয়েছে অনেক মাছ।মাছগুলো এলোপাতাড়ি সাঁতার কেটে চলেছে।
আলোকচিত্র: ০৩
লোকেশন
এগুলি হচ্ছে পর্তুলিকা ফুল।আসলে গরমের সময় এগুলো প্রায় মারার উপক্রম হয়েছিল।অনেক কষ্টে প্রতিনিয়ত জল দিয়ে দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।আমার বাগানের এই ফুলগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে।একে অনেকেই অনেক নামে জেনে থাকেন,টাইম ফুল কিংবা ঘাস ফুল নামে।যাইহোক মজার বিষয় হচ্ছে,এই ফুলের একটি মাত্র ডাল মাটিতে হয়েছিল।আর সেই ডালটি এতটাই তরতাজা হয়ে বেড়ে উঠেছে যে ছবি দেখলেই আপনারা পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।
আলোকচিত্র: ০৪
লোকেশন
এটি হচ্ছে আমাদের পরিচিত ফল ডালিম।গতদিন এক প্রতিবেশী বৌদির বাড়ি গিয়েছিলাম সেখান থেকেই সংগ্রহ করা ছবিটি।একটি গাছে অনেক ডালিম ধরেছিল।কিন্তু ডালিমগুলি দেখতে সুন্দর হলেও ভিতরে পোকা।হয়তো অতিরিক্ত গরমের জন্য এই পোকার উপদ্রব বেড়েছে।যদিও বৌদি আমাকে দুটি ডালিম দিয়েছিল।
আলোকচিত্র: ০৫
লোকেশন
এগুলো হচ্ছে নাম না জানা ফুল।যখন লাস্ট স্যারের বাড়ি পড়তে গিয়েছিলাম তখন রাস্তার অপর প্রান্ত থেকে রানিং অবস্থায় তুলেছিলাম।আসলে ফুলগুলো অনেক সুন্দর লাগছিলো দেখতে।লাল রঙের ফুলগুলো কাগজ ফুলের মতো মনে হলেও এটি আলাদা ফুল,তবে থোকা থোকা ধরে থাকে।যদি কেউ নাম জেনে থাকেন এই ফুলের তবে নীচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন কিন্তু।
আলোকচিত্র: ০৬
লোকেশন
এটি হচ্ছে অপূর্ব সুন্দর দেখতে একটি ঝাড়বাতি।আর তার পাশে ছোট ছোট কয়েকটি ঝাড়বাতি রয়েছে।যেগুলো দেখতেও সুন্দর লাগছিলো।যদিও এগুলো আমি দিনের বেলা ধারণ করেছিলাম দুর্গাপূজা প্যান্ডেল থেকে।তবে রাতে এই আলোগুলি দেখতে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়।এই প্যান্ডেলের দূর্গা মন্ডপটিতে অনেকগুলো ঝাড়বাতির সমাহার দেখা গিয়েছিল।যেগুলো আমি ইতিপূর্বেই শেয়ার করে ফেলেছি আপনাদের সঙ্গে।
আলোকচিত্র: ০৭
লোকেশন
এটা হচ্ছে সেই চিরচেনা স্যারের বাড়ি যাওয়ার মাঝবরাবর রাস্তা।বর্ধমান স্টেশন থেকে গিয়ে আর স্যারের বাড়ি যাওয়ার মাঝবরাবর স্থানে এই রাস্তাটি পড়ে।আর এই রাস্তা থেকেই শুরু হয় মুসলিম গলিটা।আমি অবশ্য যখনই স্যারের বাড়ি পড়তে গিয়েছি তখনই এই রাস্তা ধরে, কারন আমার কাছে এটিই সহজবোধ্য লেগেছে।আর এতে আমার কিছু টাকা বেঁচেও যেত সঙ্গে কম সময়ও লাগতো।হয়তো এই চিরচেনা রাস্তা দিয়ে আর কখনোই যাওয়া হবে না।কারন এটা পুরোপুরি অন্য দিকের রাস্তা ছিল আমাদের কলেজে যাওয়ার রাস্তা থেকে।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 এবং redmi note 10 pro max |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান,পালসিট |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির মাঝে নতুনত্ব ছিল। চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
চেষ্টা করি আপু,নতুনভাবে কিছু তুলে ধরার জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভাল লাগল। তবে পর্তুলিকা ফুলগুলো দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে ।আমার বাগানের ফুলের গাছগুলো মারা গিয়েছিল। আবার দেখলাম একা একাই বেশ কিছু গাছ হয়েছে এবং অনেক ফুল ও ফুটেছে এবং ডালগুলো বেশ তরতাজা হয়েছে।আসলে এগুলো এরকমই হয়ে থাকে ।মারা যায় আবার সেখান থেকেই আবার জন্ম নেয় ।যাই হোক বেশ ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু,আসলে পর্তুলিকা ফুলগুলো বৃষ্টির জল পেলে বেশি তরতাজা হয়ে যায়।ধন্যবাদ আপনাকে ও।
আপনি আজ আমাদের মাঝে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকেটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। কোনটা থুয়ে কোনটার প্রশংসা করি বুঝে উঠতে পারছে না ধন্যবাদ।মন মাতানো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার প্রশংসামূলক মতামতের জন্য, ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর সুন্দর বেশ কিছু ফটো আজকের পোস্টের মাঝে আপনি উপস্থাপন করেছেন, তবে রেনডম ফটোগুলোর মধ্যে ডালিমের ফটোটা বেশ চমৎকার ছিল। বর্তমান ডালিম এর সময় আর এই ফলটা শরীরের জন্য বেশি উপকার। যাইহোক পাশাপাশি অন্যান্য ফটোগুলো দেখার মত। এত সুন্দর বর্ণনার সাথে ফটোগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই ডালিম খুবই উপকারী শরীরের জন্য, ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
দারুন সব রেনডম ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে।আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফির সাথে খুব সুন্দর ভাবে সব বিবরণ দিয়েছেন পড়ে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে অন্যরকম একটা সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে। আপনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লাগলো। যেগুলো আপনি দুর্গাপূজা মন্ডল থেকে করেছেন। এবং ঝাড়বাতি এর ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। এ ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো বারবার দেখতে মন চায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া, আসলে দুর্গাপূজা মন্ডপের ছবিগুলো সবই শেয়ার করা হয়ে গেছে।এই দুই তিনটিই ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
সাতটি ভিন্নধর্মীয় ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার উৎসাহমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ্ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।ফটোগ্রাফি গুলো যেন জীবন্ত লাগছে।আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা জাস্ট অসাধারণ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু,ফটোগ্রাফিগুলি আসলেই জীবন্ত প্রতিচ্ছবি দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।