শেষ বিকেলের প্রকৃতির সান্নিধ্যে || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। শীতের শীতল প্রকৃতির উষ্ণতায় নিজেকে আরো বেশী চঞ্চল রাখার চেষ্টা করছি। সত্যি বলতে মাঝে মধ্যে আমিও একটু ভিন্নভাবে সময়ের সুযোগ নিয়ে অনুভূতিগুলোকে চঞ্চল রাখার চেষ্টা করি। বিশেষ করে শীতের বিকালের সময়টা আমার কাছে বেশী প্রিয় এবং সেটাকে ভিন্নভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করি। যেহেতু দুই দিন অফিস ছুটি থাকছে সপ্তাহে, সেহেতু সময়টা একটু বেশী পাচ্ছি এবং অনুভূতিগুলোকে একটু বেশী চাঙ্গা রাখছি।
গত শনিবার তেমন একটা বিকেল এবং তার সাথে সন্ধ্যাটা দারুনভাবে উপভোগ করেছিলাম। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটু দূরে, প্রকৃতির সজীবতার খোঁজে এবং নিরিবিলি পরিবেশে কিছুটা সময় ভিন্নভাবে উপভোগের চেষ্টা করেছিলাম। যদিও মাঝে মাঝে এমন সময় ব্যয় করাটা আমাদের জন্য খুবই দরকারী, কারন পরিবারের সদস্যদের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক ঠিক রাখা, তাদের সাথে একটু বাড়তি সময় ব্যয় করা এবং ভিন্নভাবে কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা, এই সবই কিন্তু আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এই বিষয়গুলোকে খুব সুন্দরভাবে মানা হতো।
কিন্তু এখন আর তেমনটা হয় না, কারন ঐ একটাই আর সেটা হলো স্মার্টফোন। এখন আমরা যেখানেই যাইনা কেন সেখানে গিয়েই বুঁদ হয়ে থাকি মোবাইলে। তাই বাহিরের সময়গুলো আর তেমন একটা সুন্দর কিংবা উষ্ণ হয় না এবং পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সেগুলো খুব একটা ভালো প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। পাশাপাশি বসে থেকেও মনে হয় কত শত মাইল দূরে একেক জনের অবস্থান। যেহেতু আমি মোবাইলে তেমন অভ্যস্থ নই, সেহেতু আমার তেমন কোন সমস্যা হয় না। বরং বাহিরে গেলে মোবাইল ফোনে ফটো ক্যাপচার ছাড়া আর কিছুই করতে পছন্দ করি না এবং পাশে যারা থাকেন তাদেরকেও মোবাইলে ডুবে থাকতে দেই না।
সেহেতু আমার এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে হয় না। বেশ কিছুটা সময় আমরা চারপাশের প্রকৃতি উপভোগ করার চেষ্টা করেছি তারপর হাঁটাহাটি যদিও বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা খুব একটা হাঁটতে চান না। বাসা হতে বের হলেই রিক্সা বা অটো লাগে তাদের। তারপরও আমি চেষ্টা করি যতটা সম্ভব তাদের নিয়ে হাঁটাহাটি করার। তখন সূর্য নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো আর আমরা নিজেদের অবস্থান হতে সেই দৃশ্যগুলোকে ভিন্নভাবে ক্যাপচার করার। জাস্ট আমরা ফুড কর্ণারে প্রবেশ করছি আর সূর্য তার বাড়িতে। দৃশ্যটা ক্যাপচার করতে আর দেরী করি নাই, হি হি হি।
আমাদের এই দিকটায় প্রচুর কৃষি জমি ছিলো কিন্তু এখন আর সেটা নেই অধিকাংশই বিক্রয় হয়ে গেছে বড় বড় আবাসন কোম্পানীগুলোর নিকট। আর তাই এগুলো এখন প্রায় ফাঁকা বললেই চলে। মানে তারা সবাই সুযোগের অপেক্ষায় আছেন, কখন কৌশলে ব্যাংক হতে বড় অংকের লোন নিবেন আর নিচু জমি বরাট করে আবাসন প্রকল্প শুরু করবেন। তাই প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগগুলোও এখন ছোট হয়ে আসছে। যাইহোক, তারপর আমরা ফুড কর্ণারে বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করলাম, সাথে পছন্দের আর স্বাদের কিছু খাবারও উপভোগ করলাম।
তারিখঃ ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ সাভার, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @hafizullah,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় তাই ফটোগ্রাফি করার সুবর্ণ সময়। তাই বিকেলের দিকে ফটোগ্রাফি করলে বেশ ভালই আসে ছবিগুলো। একটা কথা ঠিক বলেছেন আপনি আজকাল স্মার্টফোন আসার কারণে পাশাপাশি মানুষ বসেও কেউ কাউকে অনেকটা বেশি সময় দিতে পারে না যে যার ফোনে ব্যস্ত হয়ে যায়। সবই যুগের পরিবর্তন দাদা আরো কত কি দেখব কে জানে।
সত্যি যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা এবং আমাদের মন-মানসিকতা সবই পরিবর্তন হয়ে গেছে। আর সামনে যে কি অপেক্ষা করছে কে জানে? অনেক ধন্যবাদ
প্রকৃতির শেষ বিকেলের দৃশ্যটা আমার কাছে দারুন লাগে। যখন সূর্য অস্ত যায় সেই সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে প্রকৃতি ও রাঙ্গিয়ে উঠে। আর বিশেষ করে শীতকালের প্রকৃতি খুবই সুন্দর হয়। আপনি পোস্টের সাথে পোস্ট রিলেটেড কিছু লেখার সাথে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখা লিখে থাকেন সবসময়। আজকাল কিন্তু মোবাইলের কারণে মানুষ পরিবারকে সময় দেয় না সব সময় মোবাইলে ডুবে থাকেন। তবে আপনার বিষয়টা আমার কাছে আলাদাভাবে সব সময় ভালো লাগে। যাক প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর কিছুসময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। এটা সত্যি ই বলেছেন এখনকার বাচ্চারা হাঁটতে চায় না।ঘর থেকে বের হলেই রিকশা কিংবা গাড়ির খোঁজ করে। সন্ধ্যার গোধুলীর আলোতে ফটোগ্রাফিগুলো দারুন লাগলো। ঘোরাঘুরি আর খাওয়া-দাওয়া করে সময়টাকে চঞ্চল রাখার চেষ্টা করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পরিবারের সদস্যদের সময় দেওয়া উচিত সবারই। এখন যেহেতু সপ্তাহে ২ দিন ছুটি পাচ্ছেন,তাহলে পরিবার নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করতে পারবেন। যাইহোক পরিবার নিয়ে বিকেল বেলা সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম সময়গুলো খুবই উপভোগ্য।পরিবার নিয়ে যদি এভাবে নিরিবিলি সময় কাটানো যায় তাহলে খুব ভালো লাগে। মন মানসিকতা অনেক চঞ্চল থাকে।বাইরের পরিবেশে হাটাহাটি করতে পারলেও ভালো লাগে।আপনার তো সেই সুযোগ হয় কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ আমি পাইনা।আপনাদের আনন্দময় মুহূর্তের কথাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।