হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো থাকার চেষ্টা করছি। কারন চারদিকে যে রকম পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে তাতে ভালো থাকাটা বেশ কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিক বিষয়গুলো যখন অস্বাভাবিক হয়ে উঠে, তখন মেনে নেয়াটা যতটা কষ্টকর হয়ে উঠে ভালো থাকাটা তারচেয়ে বেশী কষ্ট হয়ে যায়। আর এই বাস্তবতাটা আমরা বার বার টের পাচ্ছি। কারন আমাদের এখানে প্রতিনিয়ত নানা অসিলায় দাম বৃদ্ধির একটা অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা চলমান আছে, তাই যখন যেখানে যেভাবে সুযোগ পাচ্ছে তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করছে। আর ফলাফল স্বরূপ নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর উপর ব্যাপক চাপ পড়ছে।
তবে বিষয়টি এখন আর নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই বরং মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো দারুণভাবে সেটার উপস্থিতি টের পাচ্ছে। এই তো সেদিন ডিমের হালি ৩২/৩৮ টাকা ছিলো কিন্তু তেলের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে সেটা অস্বাভাবিক গতিতে ৬০ টাকায় উন্নীত হয়ে গেলো, তাহলে বুঝে নিন পরিস্থিতির অবনতি কতটা দ্রুত হয়েছে কিংবা সুযোগের সঠিক ব্যবহার সবাই কতটা নিখুঁতভাবে করেছে। কিন্তু আমরাও হুজুগে বাঙালী, তাড়াতাড়ি বেশী দামে বেশী বেশী ডিম কেনা শুরু করে দিলাম আর তাদের মুনাফার হার বৃদ্ধি করে দিলাম। কিন্তু যদি আমরা ডিম না ক্রয় করতাম, তাহলে দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফার বিষয়টি বুমেরাং হয়ে যেতো।
যাক সে সব বিষয় নিয়ে কথা কম বলাই উত্তম। তবে এবারের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পটলের বাহারি রেসিপি দেখে পটলের প্রতি আকর্ষণটা একটু বেড়ে গেছে। ভাবছি পটলের আরো কিছু ইউনিক রেসিপি শেয়ার করবো এবং পটলের প্রতি আপনাদের লোভটাও বৃদ্ধি করে দিবো। তবে আজকে পুরনো একটা রেসিপি ভাগ করে নিবো, এটা অসুস্থ্য থাকার সময় তৈরী করা হয়েছিলো কিন্তু সিরিয়ালে অনেক পিছনে পড়ে গেছে তাই দেরী হয়ে গেলো। এটা হলো পটলের ভর্তা রেসিপি, যদিও একটু ভিন্নভাবে চিংড়ি মাছ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পটল
- চিংড়ি
- পেঁয়াজ
- রসুন
- কাঁচা মরিচ
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে একটা প্যান চুলায় বসিয়ে তেল দিয়ে গরম করেছি তারপর পটলগুলো স্লাইস করে তাতে দিয়েছি।
তারপর হলুদ, মরিচ গুড়া ও লবন দিয়েছি সেগুলোর উপর এবং ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি পটল স্লাইসগুলো।
তারপর কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি যেন পটল স্লাইসগুলো সিদ্ধ হয়ে ভাজা ভাজা হয়ে আসে।
তারপর পুনরায় কিছু তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ, রসুন ও কাঁচা মরিচ দিয়েছি এবং পূর্বের ন্যায় ঢেকে দিয়ে ভেজে নিয়েছি।
এরপর সেই তেলে পরিস্কার করে চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।
তারপর সেই আদি নিয়মে সবগুলো উপকরণ পাটার উপর নিয়ে বেটে নিয়েছি, না না না আমি না এটা আপনাদের ভাবি করে দিয়েছে।
ব্যস তৈরী হয়ে গেছে আমাদের স্বাদের পটলের ভর্তা, চিংড়ি মাছের কারনে এর স্বাদটা একটু ভিন্নরকম হয়েছিলো। সত্যি চিংড়ি মাছ দিয়ে ভর্তাটি করার কারনে খেতে একটু বেশী ভালো লেগেছিলো। এমনিতেও পটলের ভর্তা খেতে দারুণ লাগে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
এই কথাটি আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মজার মজার রেসিপি শিখেছি। সত্যি ভাইয়া পটলের যে এত মজার মজার রেসিপি হয় তা আগে জানা ছিল না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আমাদের মত সাধারণ মানুষরা আরও বেশি বিপাকে পড়েছে। তবে সবকিছুই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। জানিনা এই পরিস্থিতি থেকে কবে আমরা মুক্তি পাবো ভাইয়া। চিংড়ি মাছ ও পটলের ভর্তা রেসিপি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। সত্যি ভাইয়া চিংড়ি মাছ ও পটলের এই ভর্তা রেসিপি একেবারে ইউনিক ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ভাইয়া গত সপ্তাহে পটলের অনেক রেসিপি দেখেছি ৷আজকে আবারও আপনার করা পটলের ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন ৷বেশ চমৎকার আপনার স্বাদের পটলের ভর্তার রেসিপি টা
পটলের ভর্তা দেখে জিভে জল চলে আসলো। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে পটলের ভর্তা খেতে। আমি মাঝে মাঝে বাসায় তৈরি করে থাকি পটলের ভর্তা। আমার সবচাইতে পছন্দের খাবার। আমাদের বাড়ির সবাই পটলের ভর্তি খেতে অনেক পছন্দ করে। আপনার ভর্তাগুলো মনে হয়েছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বর্তমান যে পরিস্থিতি নিম্ন আয়ের মানুষ তো কষ্টে আছেই বরঞ্চ এখন মধ্যবিত্তদেরকেও অনেক প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে।। কিছু করার নেই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা থাকবে তিনি যেন আমাদের এই গজব থেকে রক্ষা করেন।।
পটলের ভর্তাটা খুবই সুন্দর ছিল দেখেই লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।।
ওয়াও শেষ পর্যন্ত পটল দিয়েছে ভর্তাও তৈরি করতে পারে তা আপনি না দেখালে কখনো জানাই হতো না। কেননা আমি কখনোই পটল দিয়ে ভর্তা পেটে কাউকে খেতে দেখি নি। যেহেতু আপনি চমৎকার রেসিপি তৈরি করেছেন আমার মনে হয় খেতে নিশ্চয়ই খুবই মজা লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ একসময় আপনার মতো করে খেয়ে দেখতে হবে।
সত্যি ভাই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ধাপে ধাপে যেভাবে বাড়ছে বেঁচে থাকা যেন মুশকিল হয়ে যাবে। পটলের কনটেস্ট তো শেষ তবু আপনি এখনো পটল প্রেমে পড়ে আছেন। যাইহোক পটলের ভর্তাটা বেশ দারুণ হয়েছে ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
১ হালি এখন সোনার ডিম ৬০ টাকা হালি করে। যে অবস্থা বাজারের কয়েকদিন পরে আমাদের মতো পাবলিকরা না খেয়ে থাকতে হবে। বিশেষকরে ব্যাচেলরদের শেষ সম্ভল হলো ডিম। এটাও বেড়ে গেল। যায়হোক, পটলের রেসিপি এবার অনেকগুলো দেখেছি। সবগুলো একদম দেখার মতো ছিল। আপনি পটলের ভর্তা মজাদার করে তৈরি করেছেন 😊
দাদা আপনি আর পটলের আস্ত রাখবেন না মনে হচ্ছে!😂
যাইহোক আবারো একটি নতুন রেসিপি দেখতে পেলাম আপনার হাত থেকে। খুবই ভালো লাগলো। পদ্ধতি , উপস্থাপনা সবই চমৎকার!🤍
স্বাদের পটলের ভর্তা রেসিপি আমি কখনোই খাইনি। আজকে ইউনিক রেসিপি শিখে নিলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।