আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ ফ্রাইডে স্পেশাল ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি এবং বেশ শীতল আছি কারন আজ ভোর রাত হতেই বেশ বৃষ্টি হচ্ছে, শীতলতায় হৃদয় একদম ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। তবে শীতলতায় জমে যাওয়ার আগেই ঘুম হতে উঠে গিয়েছি। আজকাল তো মানুষের মাঝে ভালো অভ্যেস বলে কিছুই দেখা যায় না, মুরব্বী কিংবা ডাক্তারগণ যা বলেন সবাই সেটার বিপরীত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি সেই বুঝ হওয়ার পর হতেই দ্রুত ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করি এবং খুব সকালে ঘুম হতে উঠার চেষ্টা করি, যদি আপনিও এটা করতে পারেন তাহলে দেখবেন পুরো দিনজুড়ে আপনার মন চঞ্চল থাকবে। চিল চিল থাকার গোপন রসহ্য কিন্তু আজ বলে দিলাম হি হি হি।
আজকে তো শুক্রবার, এর আগে বলেছিলাম শুক্রবার স্পেশাল হলিডে আবোল তাবোল কিছু কথা বলবো, কিছু হাসির মাঝে অনুভূতি প্রকাশ করবো। আজকাল তো মানুষের মাঝ হতে রস কস হারিয়ে যাচ্ছে, খুব একটা রসিকতা করা যায় না কারো সাথে কিংবা করলেও সেটার রিএ্যাক্ট এমনভাবে হয় যে, আপনি ফাঁসির আসামী হয়ে যাবেন সাথে সাথে। আরে ভাই পরিবারের মানুষগুলোর সাথেই যেখানে রসিকতা করা যায় না সেখানে বাহিরের মানুষের সাথে কিভাবে করবেন? প্রশ্নই আসে না, আর করলেও হামলা মামলার ভয়ে আপনি নিখোঁজ হয়ে যেতে পারেন, সেই সম্ভাবনাও কিন্তু এখানে প্রবল দেখতে পাচ্ছি আমি, হি হি হি।
যাইহোক, গতকাল স্যারের সাথে বাড়িতে ফেরাম সময়, থামেন থামেন আবার ভুল কিছু ভাবিয়েন না স্যারের সাথে মানে স্যারের গাড়িতে করে উত্তর দক্ষিণ ঘুরে তারপর বাড়িতে ফিরেছি, ঐ যে বাংলা ব্লকেড চলছিলো তো এ ছাড়া আর উপায় ছিলো না। না হলে তো ট্রাফিক সিগন্যালের যন্ত্রণায় হৃদয় চুপসে যায়। তো গাড়িতে বসে স্যারের সাথে আলাপ চারিতার এক পর্যায়ে বলে দিলাম স্যারকে আজকাল আমিও কবিতা লিখছি এবং সেটা ১০০র উপরে হয়ে গেছে, স্যার যেভাবে আমার দিকে তাকালের, তাতে মনে মনে আমি ঢোক গেলার চেষ্টা করলাম। মনে হলো কবিতার কথা শুনে, আমার সেটা আমি লিখছি শুনে আকাশ হতে ধপাস্ করে পড়ে গেলেন।
মনে মনে আগে চিন্তা করেছিলাম, স্যারকে একটা কবিতা পাঠ করে শুনাবো, সেটা বের করেও রেখেছিলাম কিন্তু স্যারের রিএ্যাক্ট দেখে আর সাহস পেলাম না, পরে না আবার মাইর দিয়ে বসেন। মাইরের ভয়তো সবার মাঝেই থাকে নাকি? কি বলেন আপনারা, আমিও সেই ভয়ে ভীত হয়ে গিয়েছিলাম। তাই সাহস নিয়ে আর সামনে না গিয়ে পেছনের দিকে ফিরে আসলাম। মানে সেখানেই থেমে গেলাম, আর কবিতার জায়গায় কবিতা আটকে গেলো মানে আবার চার দেয়ালের জেলখানায় বন্দি হয়ে গেলো। থাক হৃদয়ের অনুভুতি বন্দিই থাক তবুও পরিবেশটা সুন্দর ও সতেজ থাক, হি হি হি।
মনে মনে চিন্তা করছি, আমি কবিতা লিখি এর রিএ্যাকশন যদি এতোটা সুন্দর হয় তাহলে আমার বাংলা ব্লগের কিছু কিছু ইউজার কবিতার নাম দিয়ে যে গদ্য জাতীয় কিছু লিখে দেয় সেটা দেখলে রিএ্যাকশনটা কতোটা উজ্জ্বল হতো! সত্যি যদি স্যার সেগুলো দেখেন তাহলে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন কয়েক দিনের জন্য হি হি হি। পরে না আবার বলে ফেলেন যে আমার বাংলা ব্লগের কবিতার উৎসব বন্ধ করা হোক, ডিসেন্ট্রাইলজড তো যে কোন দাবী যে কেউ করতে পারেন। যেমন গদ্য জাতীয় কিছু লিখে আমার বাংলা ব্লগের অনেক ইউজার নিজেদের কবি দাবী করছেন, তারাও তো ডিসেন্ট্রালাইজড এর সুবিধা নিচ্ছে নাকি? যাক পরিস্থিতি যেহেতু ঘোলাটে হয়ে গেছে সেহেতু আমি ডুব দিয়ে আজকের মতো বিদায় নেই, হি হি হি।
Image taken from Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সত্যি কিন্তু ভাইয়া আপনার আজকের ফ্রাইডে স্পেশাল পোস্টটি সত্যি সত্যি স্পেশাল। বেশ মজা পেলাম। আপনি যে কি মজা করতে পারেন। থাক থাক দরকার নেই আপনার বস কে আমাদের গদ্য মার্কা কবিতা দেখানোর। তাহলে তিনি তো এবার শুধু রিয়াকশন দিয়েছেন, আমাদের গদ্য মার্কা কবিতা দেখলে জ্ঞানটাই না হারিয়ে যায়। হি হি হি।
স্পেশাল কিছু বলেছি সুতরাং ভেতরে কিছু স্পেশাল তো থাকা উচিত তাই না, হি হি হি। মজা পেয়েছে শুনে খুশি হলাম আমিও। ধন্যবাদ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
লাস্ট প্যারাগ্রাফ! 😅😅😅
বর্তমানে প্রতিটি মানুষের ভলো অভ্যাসের থেকে বদ অভ্যাসই বেশি লক্ষ্য করা যায়। আসলে ভাই হৃদয়ের অনুভূতিগুলো এখন মানুষের কাছে সশরীরে শেয়ার করা যায় না, শুধুমাত্র আমার বাংলা ব্লগেই শেয়ার করা যায়। আপনি কবিতা লেখেন এটা শুনেই যদি স্যারের এই অবস্থা হয় তাহলে আমার বাংলা ব্লগের গদ্য কবিতা গুলো দেখলে স্যার সত্যি অজ্ঞান হয়ে যাবে। ভাগ্যিস স্যার আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত নেই। তবে আপনার অনুভূতির কবিতা যদি আবার স্যারের শোনানো যেত তাহলে স্যার জ্ঞান ফিরে পেতো। যাইহোক আজকে ফ্রাইডে স্পেশাল জীবনের গল্প পড়তে পড়তে অনেকে হেসেছি। আপনার লেখার সজীবতা সত্যিই মুগ্ধ করে।
হুম, বাঙালি বলে কথা বৈশিষ্ট্যটা ঠিক রাখতে হবে তো নাকি? হি হি হি। হাসি কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অনেক ধন্যবাদ
হুম ভাই। অবশ্যই ভাই হাসি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আর আমরা হাসতেই পছন্দ করি।
বেশ মজা পেলাম আপনার আজকের ফ্রাইডে স্পেশাল পোস্টটি পড়ে। আপনি কবিতা লিখেন শুনে আপনার স্যার নেগেটিভ রিএ্যাকশন দিয়েছেন বলে আপনার মনে হলো,তা মুহুর্তেই পজেটিভ হয়ে যেতো আপনার অনুভুতির কবিতে শুনে।তখন বলতেন কেনো যে আগে শুনলাম না। আর আমার বাংলা ব্লগের সদস্যদের গদ্য কবিতে লিখা দেখে স্যারেরও কবিতা লিখার স্বাদ হতো। এক সময় নামকরা কবি হয়ে যেতেন হিহি।ধন্যবাদ কিছুক্ষন যাতে হাঁসতে পারি পোস্টের মধ্যে সে উপাদান দেয়ার জন্য।
ফ্রাইডে স্পেশাল দারুন লিখেছেন আপনি অনেক মজা পেলাম। আসলে মাঝে মাঝে এরকম যদি আবোল তাবোল জীবনের গল্পগুলো শেয়ার করেন বেশ ভালো হয়। ঠিক বলছেন যেখানে পরিবারের মানুষের সাথে রসিকতা করা যায় না বাইরে মানুষের সাথে প্রশ্নই আসে না। আর আপনার স্যার যেভাবেই তাকালেন আপনার দিকে কিরকম করে তাকালেন সেটা তো বুঝতে পারছি না। যার কারণে আপনার কবিতা বলার সাহস একেবারে থেমে গেল হি হি হি। অনেক ভালো লেগেছে আপনার লেখাগুলো পড়ে অনুপ্রাণিত হলাম।
না ভাই আপনি এতোটাও খারাপ কবিতা লেখেন না যে আপনাকে মাইর দিয়ে বসবেন। তবে একটা কবিতা শোনাতে পারতেন। তবে এই গদ্য কবিতার ব্যাপার টা বেশ হাস্যকর লেগেছে আমার কাছে। হাজার হলেও ডিসেন্ট্রাইজড প্লাটফর্ম সবাই স্বাধীন হা হা।
শেষ পর্যন্ত গোপন রহস্য ফাঁস করে দিলেন ভাই 😂। যাইহোক আপনার স্যারকে কিন্তু কবিতা আবৃত্তি করে শোনানোর দরকার ছিলো ভাই। নয়তো আমার আবৃত্তি শুনিয়ে দিতেন। তাহলে উনি বুঝতে পারতেন আপনি আসলেই খুব ভালো কবিতা লিখেন। খুব তাড়াতাড়ি কবিতার বই বের করবেন এবং স্যারকে আপনার লেখা কবিতার বই গিফট করবেন। তাহলে স্যারও আমাদের মতো আপনার কবিতার ভক্ত হয়ে যাবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
হাফিজ ভাই, ভালো লিখলেন। বেশ সুন্দর একটি বিষয়ের অবতারণা। মানুষ সত্যিই এখন বড় যান্ত্রিক। মজা বা রসিকতা করার বড় অভাব। সাধারণ আনন্দগুলোও যেন এখন আর নেই মানুষের জীবনে। মানুষ এখন একে ওপরকে দোষারোপ করতেই ব্যস্ত। কে কাকে কিভাবে ফাঁসায়। এই ভয়েই দিন কাটে সবার। আসলে আমরা বড় স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি। কেউ আর কারো মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভাবি না। নিজের সুখটুকুই যদি ভালোথাকার সংজ্ঞা হয়ে যায় তবে পৃথিবী এভাবেই বিপন্ন হয়ে পড়ে।