প্রকৃতি ও বাস্তুসংস্থানের ক্ষতের যত প্রভাব || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি এবং আতংকমুক্ত আছি হি হি হি। এই মুহুর্তে প্রায় সবাই কম বেশী বেশ আতংকে আছে আর সেটার কারণ হলো রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ। যদিও সবাই রাসেলস ভাইপার নামেই বেশী চিনেন আর সেটাই নিয়েই খুব বেশী হাইপার হয়ে আছেন। শুধু আতংকিত হলেও এক কথা ছিলো কিন্তু তার সাথে সাথে চারপাশের সবাইকেও আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলছে উল্টা পাল্টা কিছু শেয়ার করে। আর আমরা যেহেতু হুজুগে বাঙালি সেহেতু যে কোন কিছুর ট্রল হলে সেটা নিয়ে একটু বেশীই চিন্তা করি।
এখন ঠিক তেমনটাই হচ্ছে, ট্রলের ঠেলায় আতঙ্ক যেন মনের কোনায় কোনায় বাসা বেঁধে বিশ্রাম করছে। তাই এখন রশি দেখলেও সাপ মনে হয় আর অন্ধকারে কিছু নড়ে উঠলেও রাসেল ভাইপার মনে হয়, কি একটা অদ্ভুত অবস্থা বিড়াজ করছে আমাদের চারদিকে। আবার কেউ কেউ তো সেটা অতি রসিকতা করতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণাও দিয়ে বসেছেন, ট্রল হওয়ার কিংবা করার সেটাই বোধহয় ছিলো সবচেয়ে সেরা উপায়, তাই সুযোগ মিস করতে কেউ রাজী ছিলো না। কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের বাড়িতে থাকা মা-বোনদের নিয়ে। ঐ যে একটা কথা বলে না একে তো নাচুনি বুড়ি তার উপর ঢোলের বাড়ি, ব্যস কাজ যা হওয়ার হয়ে গেলো। এখন কে তাদের থামায়?
কথাগুলো মজার হলেও বাস্তব সত্য এবং নির্মম কিছু, আমরা যা করি হুজুগে করি আগে পিছে কিছু চিন্তা করি। উল্টা পাল্টা কথা শেয়ার করেন খুব বেশী লাইক কিংবা শেয়ার করার বিষয়টি গুনে গুনে আত্মতৃপ্তিতে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু বাস্তবতা কিংবা সত্য বিষয়টিকে কখনো সামনে আনার চেষ্টা করি না, কখনো নিজের সুবিধার আশায়, কখনো অন্যের ক্ষতি করার নিয়তে আবার কখনো কখনো রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আমরা দারুণ উৎসাহ নিয়ে অপপ্রচারে সামিল হয়ে থাকি। কিন্তু প্রকৃতি বিষয় কিংবা আসল সমস্যা নিয়ে কখনো আলোকপাত করি না। আসলে আমরা যেখানে যা করা উচিত সেখানে সেটা না করে ভিন্ন কিছু নিয়ে সর্বদা মাতামাতি করি এটাই আমাদের মূল সমস্যা।
যাইহোক, এসব আবোল তাবোল কথা বলা আমার উদ্দেশ্য না যদি উদ্দেশ্য থাকতো তাহলে আবোল তাবোল সিরিজেই কথাগুলো বলতাম। মূল বিষয় হলো প্রকৃতি সর্বদা তার নিজস্ব গতিতে চলে এখানে আমাদের তেমন কিছুই করার থাকে না। এই তো কিছু দিন আগে একটা খবরে শুনেছিলাম বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারনে মাটিতে শামুক তৈরী হচ্ছে না আর শামুক তৈরী না হওয়ার কারনে ব্যাঙের বৃদ্ধি ঘটছে আর ব্যাঙের বৃদ্ধি না ঘটার কারনে মশার লাভা নষ্ট হচ্ছে না, যার কারনে মশার উপস্থিতি দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। এটা ছিলো দারুণ একটা উদাহরণ অনাবৃষ্টির নিদারুণ প্রভাব।
ঠিক তেমনি আমাদের চারপাশের সবুজ প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক জলাশয়সমূহ ধ্বংস করার কারনে প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থান দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার প্রভাবে অনাকাংখিতভাবে অনেক ক্ষতিকর জিনিষ বেড়ে গেছে। তেমন একটা হলো রাসেলস ভাইজান না থুক্কু রাসেলস ভাইপার। এখন হয়তো অতিমাত্রায় রাসেলস ভাইপার দেখা যাচ্ছে ভবিষ্যতে হয়তো এমন অন্য আরেকটি প্রাণীর আধিক্য দেখা যেতে পারে। আমাদের দুষ্টু মানসিকতার কারনেই আজকের এই অবস্থা, বাস্তুসংস্থানের বেহাল দশা।
তারিখঃ এপ্রিল ০৫, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া খুব সুন্দর কথা বলেছেন, বর্তমানে আতংকের নাম রাসেল ভাইপার । এই আতংক এমন ভাবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এখন কিছু দেখলেই ভয় লাগে। এরজন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ফেসবুক। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা ভিউ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কথা লিখে আরো বেশি আতংক ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমি তো একটি ছবি দেখলাম বাথরুমের ভিতরে সাপ বসে রয়েছে আর এরপর থেকে বাথরুমে গেলেই ভয় লাগে। আমরা হুজুগে বাঙালি বলেই অল্প সব কিছু বিশ্বাস করি। কিন্তু এসব কিছুর জন্য আমরাই দায়ী। প্রাকৃতিক পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাচ্ছে বলে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এভাবে যদি প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হতে থাকে তাহলে সামনে আরও বিষাক্ত জীবজন্তুর উপস্থিতি বেড়ে যেতে পারে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই এটা অনাকাংখিত একটা পরিস্থিতি তৈরী করেছে, শুধু আপনার নয় অনেকেরই এমনটা হচ্ছে। আপনাকেও ধন্যবাদ।
বর্তমানে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন রয়েছে। এর ফলে কমবেশি সবাই ফেসবুক এবং ইউটিউব ব্যবহার করছে। সেজন্য রাসেলস ভাইপার সাপের আতঙ্ক সবার মাঝেই বিরাজ করছে। রাসেলস ভাইপার সাপ নিঃসন্দেহে ভয়ংকর, তবে অনেক ভিডিওতে বলা হচ্ছে, এই সাপ তেড়ে এসে মানুষকে আক্রমণ করছে, এসব আসলে একেবারে ভিত্তিহীন খবর। যাইহোক গাছগাছালির পাশাপাশি বর্তমানে জলাশয়ের পরিমাণও একেবারে কমে গিয়েছে। আর সেজন্যই বিভিন্ন ধরনের সাপ আনাচে কানাচে বসবাস করার চেষ্টা করছে। দোষ কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সাপের না,বরং দোষ হচ্ছে আমাদের। সামনে হয়তোবা আমাদেরকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা, যেহেতু তাদের নিরাপদ আবাসস্থল আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি সেহেতু তারা এখন আমাদের আবাসস্থলে ছুটে আসছে, এটাই স্বাভাবিক। ধন্যবাদ
চন্দ্রবোড়াকে বেশি ভয় পাবেন না। নির্দ্বিধায় ছবি তুলে যান। গ্রামীণ ফটোগ্রাফিগুলো অসাধারণ হয়েছে। বারবার দেখতে ইচ্ছে করছে। আজকাল এমন সবুজ তো পাওয়াই যায়না। সেখানে একসাথে এত সবুজ ক্যামেরাবন্দী করে যেভাবে পোস্ট করে দিয়েছেন তা প্রশংসার দাবি রাখে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য এবং প্রশংসার জন্য।