আমার বাড়ির ছোট্ট সবজি বাগান- লাউয়ের গল্প
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। সময়ের সাথে সাথে নিজেকে আরো বেশী গতিশীল রাখার চেষ্টা করছি। যদিও শীতের সিজনটা আমার বেশ প্রিয় এবং কাংখিতভাবে নিজেকে চঞ্চল রাখতে পারি। এখন পর্যন্ত এ বছর সব কিছুই ভালো আছে এবং ভালোই যাচ্ছে। সুন্দর প্রকৃতির সাথে সুন্দর সময় ব্যয় করার চেষ্টা করছি। আর এই ক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা রাখছে আমার বাড়ির সবজি বাগান, যদিও এখন পর্যন্ত আপনাদের সাথে তেমনভাবে কিছুই শেয়ার করা হয় নাই, তবে এবার চিন্তা করছি একটু একটু শেয়ার করবো।
সত্যি বলতে আমার বাড়ির পিছনের দিকে বেশ কিছু জায়গা আছে, সেগুলোকে চারভাগে ভাগ করে সবজি চাষ করার চেষ্টা করছি। চাষ মানে শুধু নিজের পরিবারের জন্য কিছু করা। কারন এখন তো বাহিরের কিছু কিনে খাওয়া মানেই বিষ খাওয়া, যেভাবে বা যেহারে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে সুস্থ্যতা ধরে রাখাটা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আরো একটা বিষয় আছে আর সেটা হলো ক্যান্সার, এই অতিরিক্ত কিংবা অতিরঞ্জিত কেমিক্যাল ব্যবহারের কুফল এটা। সুতরাং অল্প পরিমান ফাঁকা জায়গা থাকলেও আমাদের উচিত কিছু না কিছু হলেও সেখানে সবজি চাষ করার চেষ্টা করা।
খুব বেশী পরিমান জায়গার প্রয়োজন হয় না কিন্তু তবে হ্যা, ইচ্ছাশক্তি কিংবা আগ্রহের প্রয়োজন হয় এখানে। আমি সাভারে বাড়ি করার পর হতেই প্রতি সিজনে কিছু না কিছু চাষ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং তার বেশ সুফলও কিন্তু পাচ্ছি। একটু চেষ্টা, একটু আগ্রহ এবং একটু যত্নশীল ভূমিকা অনেক ক্ষেত্রে সফলতার পথ তৈরী করে দেয়। যাইহোক, আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার সবজি বাগানের লাউ গাছের কিছু সুন্দর দৃশ্য শেয়ার করবো, বেশ বড় হয়েছে গাছগুলো। লাউ মাচার দুই পাশে দুটি লাউ গাছ হয়েছে এবং সেগুলো বেশ সুন্দরভাবে চারপাশে ছড়িয়েছে।
বেশ সুন্দর ও সবুজ দৃশ্যগুলো দারুণ আশার সঞ্চয় তৈরী করেছে এবার, কারন বেশ কিছু ছোট ছোট লাউ এর দৃশ্য এবং দ্রুত বেড়ে উঠা শাখা-প্রশাখাগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে এবার ভালো ফলন পাবো। যদিও গত বছর বেশ ভালো ফলন হয়েছিলো লাউ এর এবং আত্মীয় স্বজন সবাইকে নিয়েই সেটা দারুনভাবে উপভোগ করেছিলাম। দেখা যাক এবার কতটা প্রত্যাশা পূর্ণতা পায়। তবে যাইহোক, আমি কিন্তু নিরাশ নই কারন ইতিমধ্যে লাউ শাক খাওয়া শুরু করে দিয়েছি, হি হি হি।
তারিখঃ নভেম্বর ৩০, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ সাভার, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোট হলে ও নিজের হাতে করা সবজি বাগান নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এটা খুব সত্যি বাজারের বিষ সবজি না খেয়ে সামান্য জায়গা হলেও নিজ হাতে সবজি চাষ করে খাওয়া অনেক তৃপ্তির।আর আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে দিতে পারলেও মনে তৃপ্তি আসে।খুবই ভালো লাগলো সবুজের এই সমারোহ দেখে।ধন্যবাদ জানাচ্ছি চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যা, এটা সত্য ছোট হলেও নিজের হাতে নিজের বাড়িতে বাগান করার দারুণ একটা অনুভূতি কাজ করে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @hafizullah,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
নিজের বাসায় এতো সুন্দর একটি সবজি বাগান থাকলে বাজার খরচ অনেক টা কমে যায়। আপনার বাসায় এতো সুন্দর একটি লাউয়ের বাগান দেখে বেশ ভালো লাগলো। প্রতিটি লাউয়ের গাছের মধ্যে ফুল চলে এসেছে, দেখে বেশ ভালো লাগলো।সব গুলো ডগায় ফুল চলে আসলে একটি পুরো গ্ৰাম সহ এই লাউয়ের বাগান থেকে লাউ খাওয়া যাবে। আমার বাসায় ও এরকম একটি লাউয়ের বাগান রয়েছে।
ভাইয়া আপনার আজকের সবজি বাগান দেখে আমার মায়ের কথা মনে হয়ে গেল। মা বেশ সুন্দর করে এবং যত্ন নিয়ে সবজি বাগান করতো। যার কারনে আমরাও পুরো শীত জুড়ে মায়ের হাতে গড়া বাগানের সবজি খেতাম। যাই হোক আপনার লাউ গাছে দেখি লাউ এর ফুল ধরেছে। ভাবছি একদিন আসবো নাকি টাটকা সবজির সন্ধ্যানে দলবল নিয়ে।
আপনার তীব্র ইচ্ছাশক্তির কারণেই সবজি বাগান করতে পেরেছেন ভাই। এটা নিঃসন্দেহে খুব ভালো একটি কাজ। আমরা সবাই যদি নিজেদের পরিবারের চাহিদা এভাবে মেটাতে পারতাম,তাহলে অনেক ভালো হতো। আমাদের সবার উচিত বাসার আশেপাশের খালি জায়গা ফেলে না রেখে, সবজি চাষ করা। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মতো শীতকাল আমারও খুবই প্রিয় ভাইয়া।আপনার বাগানে দেখছি ভালোই লাউয়ের জালি পড়েছে।আসলে নিজ হাতে সবজি লাগিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা, এটা খুবই ভালো লাগার একটি বিষয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রচেষ্টা থাকলে সব কিছুই সম্ভব হয় এটা আপনি প্রমাণ করে দিয়েছেন ভাইয়া। এত সুন্দর করে সবজি চাষ করেছেন এটা দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। আসলে নিজেদের বাগানের সবজি খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর অন্য রকমের শান্তি পাওয়া যায়।