আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ ফ্রাইডে স্পেশাল ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ থাকার চেষ্টা করছি। যদিও শীত একটু একটু করে বাড়ছে এবং হৃদয়ের শীতলতা দারুণভাবে চঞ্চল থাকার সুযোগ করে দিচ্ছে। প্রকৃতির এমন সুন্দর ও সতেজ রূপ দারুণভাবে নিজেকে ফিরে পেতে সহযোগিতা করছে। সত্যি বলছি, সকালে উঠেই শীতের উষ্ণতা মাখিয়ে কিছুটা সময় নিজের সবজি বাগানে কাটানোর চেষ্টা করি, শীতের উষ্ণ মিষ্টি রোদের পরশে নিজেকে একটু চাঙ্গা করে নেয়ার চেষ্টা করি। যদিও আজকের মুহুর্তগুলো তেমন একটা চাঙ্গা ভাব তৈরী করতে পারে নি।
কারন লাউ গাছের মাচার নিচে গিয়েই মনটা খারাপ হয়ে গেলো, এইতো কয়েক দিন আগেই আপনাদের সাথে লাউ গাছের দৃশ্যগুলো শেয়ার করেছিলাম। বেশ কিছু ছোট ছোট লাউও এসেছিলো আজকে দেখি সেগুলো সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে, বাড়ির সবাই বলছে ভোমরা আঘাতে নাকি এমনটা হয়েছে। অবশ্য এর সাথে আগেও পরিচিত হয়েছিলাম। গতবারও বেশ কিছু চাল কুমড়া নষ্ট হয়েছিলো এই ভোমরার বিমল ভালোবাসায় হি হি হি। ভালোবাসাটাই হলো মুল কথা, তাতে ভালো কিছু হোক কিংবা খারাপ কিছু হোক তাতে কি আসে যায়? হি হি হি।
এই সবজি বাগান করার পর অনেক কিছুর সাথেই ধীরে ধীরে পরিচিত হচ্ছি এবং সেগুলো সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য জানতে পারছি। হ্যা, ভালো মন্দের বিষয়টি হয়তো সর্বক্ষেত্রেই থাকে, তবুও এগুলো প্রকৃতির একটা চিরাচরিত নিয়ম বলে খুব একটা হতাশ হইনা। শুরুর দিকে বেশ কিছু এমন নষ্ট হয় তারপর কিন্তু ঠিক সুন্দরভাবে ফলন আসে। শেষের দিকে বেশ কিছু চালকুমড়া উপভোগ করেছিলাম গতবার। সুতরাং এবারও আশা করছি তেমন কিছু হবে, আর না হলেও সমস্যা নেই লাউ শাক তো ঠিকই উপভোগ করছি। আজকে অবশ্য চিন্তায় আছে শোল মাছ দিয়ে লাউ শাকের ঝোল রেসিপি করার, দারুণ স্বাদের এবং পছন্দের একটা রেসিপি এটা আমার।
আমি সচারচর ঝোল খুব একটা পছন্দ করি না এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি এটাও সত্য যে শীতের সবজির সাদা ঝোল আমি ভীষণ পছন্দ করি। আমার ঝোলগুলো অনেকটা মসলা কিংবা ঝাল ছাড়া একটু সাদা সাদা হয়ে থাকে। যার কারনে বাড়ির কেউই সেটা খেতে পারে না বা খেতে চায় না। সবাই একটু বেশী মসলা এবং ঝাল খেতে চায় কিন্তু আমি শুধুমাত্র সবার উল্টো। মাঝে মাঝে রাগ করে বলে আমাকে প্যাকেট থাইল্যান্ড কিংবা চায়নাতে পাঠিয়ে দিবে হি হি হি। আমিও হাসি মুখে বলি পাঠিয়ে দাও, আমার ভিসা ও বিমানের খরচ বেঁচে যাবে হা হা হা।
যাইহোক, আজকে আরো একটা রেসিপির প্লান আছে কিন্তু আর সেটা হলো রাজহাঁসের মাংস। এটা গত সপ্তাহে কিনে এনেছিলাম কিন্তু হঠাৎ করে ঢাকার বাহিরে ছোট একটা ট্যুর এর কারনে আর খেতে পারিনি। আজকে সেটাও প্লান আছে মুলো দিয়ে রাজহাঁস, আহ কি দারুণ একটা রেসিপি। মোটামুটি দুটো রেসিপির প্লান আছে আজকে, দেখা যাক কোনটা স্বাদ নেয়ার সুযোগ পাই। কারন আজ শুক্রবার, আর শুক্রবার মানেই বাড়িতে হৈ চৈ করার সুযোগ, হি হি হি। সাতদিন বাড়িতে না থাকার মজা একদিনেই আমি আবার উসুল করে থাকি হা হা হা।
Image Taken from Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গতবারের চালকুমড়োর মত এবারো লাউ খেতে পারবেন ভাইয়া। ভামরার বিমল ভালোবাসা সব নিতে পারবে না! যে রেসিপি দুটোর কথা উল্লেখ করেছেন, তাতে আমার লোভ ধরিয়ে দিলেন এবংকাজ বাড়িয়ে দিলেন!! মুলা দিয়ে রাজহাসের মাংস আহা!! আপনার আজকের ফ্রাইডে স্পেশাল দারুন লেগেছে । আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আশা করছি গতবারের চালকুমড়ার মতোন এবারও নিজেদের গাছের লাউও খেতে পারবেন। আজ শুক্রবার হিসেবে বাড়িতে বেশ জম্পেশ খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করছেন তবে৷ মূলা দিয়ে হাসের মাংসের রেসিপি শেয়ার করবেন কিন্তু। আর খাওয়া দাওয়া এমন হালকা ঝাল, মসলা কম দিয়ে খাওয়াই আসলে উপোকারী। আমরা সেটা না বুঝে জীভের স্বাদ টাকে প্রাধান্য দেই বারবার আর পরে গাদা গাদা ওষুধ খাই!
দাদা, আমার তো লাউ গাছটাই বেরোচ্ছে না৷ কি যে করি৷ রোজ গিয়ে দেখি। কিন্তু সে আর বেরয় না৷ আপনার লাউমাচা কিন্তু দারুণ। ফলও হবে৷ মাঝে মাঝে একটু কীটনাশক দিয়ে রাখবেন৷
আর কি কি সবজি লাগালেন দাদা? দেখাবেন না আমাদের? আমিও আপনার মতো সাদা ঝোল খেতে বেশি পছন্দ করি৷ যেটা বাকিদের আবার খুব একটা পছন্দ হয় না৷ তাও নিজের মতো একটু করে নিই৷ কিন্তু জানেন ভারতের পশ্চিমে লাউ শাক কুমড়ো শাক কিছুই পাওয়া যায় না৷ 😔
আপনার পুরো সবজি বাগান দেখার আশায় রইলাম।
আমার এখানে আবার লাউ এবং কুমড়ো গাছ দুটোই বেশ ভালো হয়, আমি প্রতি বছরই লাগাই। তবে আমি সত্যি কীটনাশক ব্যবহার করতে রাজী নই, যা হয় তাতেই খুশি। হুম, গত সপ্তাহে লাউ গাছ শেয়ার করেছি, এই সপ্তাহে শিম এবং ডাটাশাক শেয়ার করার চেষ্টা করবো, আমার সবজি বাগানের।
কথা কিন্তু মন্দ বলেনি ভাই, চাইনিজ লোকজনেরা কিন্তু মসলা ছাড়া সাদা সাদা খাবার বেশি খায়। তবে কোনো স্বাদ-ই পাওয়া যায় না। ২০১৩ সালে যখন চীনে গেলাম প্রথম বারের মতো, খাবার খেয়ে তো আমি অবাক। একেবারে সাদা খাবার মসলা ছাড়া, ঝাল না,মিষ্টি না,মানে খেয়ে কোনো স্বাদ পেলাম না। যাইহোক ভোমরার আঘাতে লাউগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও, লাউশাক খেতে পারছেন এটাই বা কম কিসের।