দায়িত্ববোধ এবং আমি || জীবনের গল্প
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। আমি আমার মতো আছি, বেশ ব্যস্ততার সাথে জীবনের সব কিছু উপভোগ করার চেষ্টা করছি। ব্যস্ততা আর আমি বলতে পারেন মুদ্রার এপিট-ওপিট। খুব কম সময়ই আমি ব্যস্ততা বিহীন কাটানোর সুযোগ পেয়েছি, আসলে জীবনের বিষয়গুলো আমার সাথে এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে, ইচ্ছে করলেও একটু অবসর পাই না বা হতে পারি না। তবে হ্যা, হতে পারে এটা আমার জন্য ভালো কিছু আবার হতে পারে এটা আমার জন্য খারাপ কিছু। কিন্তু বিশ্বাস করেন আমি কখনোই এটা নিয়ে চিন্তা বা আফসোস করি নাই, বরং স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টিকে মেনে নিয়েছি।
আজকে জীবনের গল্পে নতুন করে কিছু অনুভূতি শেয়ার করার চেষ্টা করবো, অনেক দিন হয়ে গেলো জীবনের গল্প নিয়ে কিছু লিখতে পারছি না। আবোল তাবোল জীবনের গল্প নিয়েও কিছু লেখা হচ্ছে না। সত্যিই ব্যস্ততার দরুণ লিখতে পারছি না কিছুই, অনেক দিন হয়ে গেলো নতুন কবিতাও লিখতে পারছি না। যা একটু সময় পাই সেটা হলো শুক্রবার, সাপ্তাহিক হ্যাংআউট রিপোর্ট লিখতে লিখতেই সময় শেষ হয়ে যায়। তারপর বাড়িরও সাপ্তাহিক কিছু কাজ থাকে, আবার মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়িতেও যাই আম্মুর সাথে সাক্ষাত করতে। আর আপনাদের ভাবি তো সুযোগ পেলেই টাইট করে ধরে, কারন অনেক দিন হয়ে গেলো তাকে নিয়েও কোথায় বেড়াতে যেতে পারছি না।
জীবন এবং জীবনের সময়গুলো সব সময়ই গতিশীল থাকে, হয়তো কখনো কখনো সেটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি আবার কখনো কখনো আমরা সেটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকি। বিষয়টি যার যার ব্যক্তিত্ব এবং মানিসকতার উপর নির্ভর করে। কিন্তু আমার বিষয়টি একটু ভিন্ন, বলতে পারেন অনেকটাই দ্বায়িত্ববোধ হতে ব্যস্ততা থাকা, কারন কোন কিছুতে আমি আবার ফাঁকি দিতে পারি না। হ্যা, নতুন অবস্থায় নতুন কিছুতে একটু বেশী আগ্রহ থাকে, কিন্তু তবুও আমি দায়িত্ব নিয়ে অবহেলা কিংবা ফাঁকি দেয়ার বিষয়টি একদমই সমর্থন করি না। আমি একটা বিষয় খুবই সচেতনতার সাথে পালন করি আর সেটা হলো যে দায়িত্ব পালনের জন্য আমি কোন না কোনভাবে সামান্য হলেও সুবিধা নিচ্ছি সেটা কি আমার জন্য হালার হচ্ছে?
দায়িত্ব পালন এবং এই হালাল এর বিষয়টি আমাকে প্রতিনিয়ত খোঁচা দেয়, নিজের কাছে নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, যার কারনে ইচ্ছে থাকলেও যেমন অবসর হতে পারি না ঠিক তেমনি নিজের দায়িত্ববোধ এবং কাজে ফাঁকি দিতে পারি না। আমি জানি না, মানুষ আমাকে কি ভাবে বা কি হিসেবে বিবেচনা করে কিন্তু বিশ্বাস করেন যত জায়গায় আমি জব করেছি, প্রতিটি জায়গায় আমাকে ইন্টারভিউ কিংবা ভাইবা সেভাবে দিতে হয় নাই, কেন জানি আমাকে দেখেই তারা পছন্দ করে ফেলেছেন, যে পদের জন্য আবেদন করেছি সেটা না দিয়ে অন্য দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিটি জবের ক্ষেত্রে। আর আমি কখনো তাদের সিদ্ধান্তের অমর্যাদা করি নাই।
কারন আমার মাঝে দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে বাড়তি একটা বিষয়ে চিন্তা কাজ করতো, কখনো যেন তারা এটা না ভাবে যে হাফিজকে এই দায়িত্ব দিয়ে ভুল করেছি। যার কারনে আমি দায়িত্ব নিয়ে যেমন সচেতন থেকেছি ঠিক তেমনি সেটার চেয়ে বেশী কিছু করার চেষ্টা করেছি। দায়বদ্ধতা থেকে নয় বরং ভালোবাসা দিয়ে সেটা সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যোগ্যতা কিংবা দক্ষতা, কোনটার ব্যাপারে আমি কখনোই উপযুক্ত বা সেরা ছিলাম না। বরং একটু ডানপিঠে, বেশী জেদি কিংবা একরোখা টাইপের ছেলে ছিলাম আমি, বিশ্বাস করেন আমার বোনরা আমাকে সব সময় বলতো ভাইয়া তুমি যেমন তোমাকে কেউ চাকুরী দিবে না। সেই আমি কিভাবে যেন নিজেকে মানিয়ে নিয়ে ২০ বছর যাবত সার্ভিস লাইনে টিকে আছি। জানিনা কতটা সময় নিজেকে এভাবে ধরে রাখতে পারবো?
তবে হ্যা, আমি আরো একটা বিষয় খুব সুন্দরভাবে মানার চেষ্টা করি, সেটা হলো সম্পর্কগুলো ঠিক থাকা অবস্থায় সেগুলো হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। যখন আমি বুঝতে পারি যে, আমি সেরাটা দিতে পারছি না, কিংবা আমার দায়িত্ববোধ কাউকে কাউকে সুখী বা সন্তুষ্ট করতে পারছে না সেটা যখন বুঝতে পারি তখন আস্তে আস্তে সেখান হতে নিজেকে গুটিয়ে নেই এবং যতটা দ্রুত সম্ভব সরে যাই। তিক্ততা নিয়ে কিংবা ভিন্ন অনুভূতি নিয়ে সম্পর্কগুলো কখনোই নষ্ট করার পক্ষ পাতিত্ব করি না আমি। এখনো অতীতে খুব কাছে থাকা মানুষগুলো দেখলে বুকে জড়িয়ে নেয় আমাকে, এই প্রাপ্তি এবং ভালোবাসাটা সব সময় ধরে রাখতে চাই। ভালোবাসা অর্জন করতে পারাটা খুব সহজ কিছু না, কোন কোন সময় সেটাও জীবনের সেরা অর্জন হয়ে যায়। আজ এই পর্যন্ত, অন্য কোন দিন সুযোগ পেলে অন্য কিছু অনুভূতি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
Image taken from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি মনে করি ব্যস্ততার মধ্যে থাকলেই সময় খুব ভালোভাবে কাটে এবং জীবন খুব সুন্দর হয়। কারণ অবসর সময় সহজে কাটতে চায় না। তখন বোরিং লাগে অবসর সময়। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও ভাবীকে নিয়ে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন ভাই। ভাই আপনার মতো আমিও সবসময় যেকোনো দায়িত্ব মন দিয়ে পালন করার চেষ্টা করি এবং কখনো কোনো কাজে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করি না। যাইহোক আপনি আসলেই একজন সৎ মানুষ। তাইতো সবসময় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে থাকেন এবং নিজের উপার্জন একেবারে হালাল করে নিচ্ছেন। আসলে হালাল উপার্জনের মধ্যে অন্য রকম শান্তি আছে। আশা করি সারাজীবন সৎভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করবেন। যাইহোক আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভাই।
একজন আলোকিত মানুষ কখনই দায়িত্ব কে এড়িয়ে চলে না সব সময় দায়িত্বকে গুরুত্ব দেয়।আমার বাংলা ব্লগ এ আসার পর থেকে আপনাকে যতটুকু জানি তাতে করে মনে হয় আপনি সবদিক থেকেই একজন পারফেক্ট মানুষ।আপনার কাজ আপনার চিন্তাধারা সবকিছুই একজন দায়িত্বশীল মানুষের মধ্যে পড়ে।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া,জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যেনো আপনার প্রতিটি দায়িত্ব নিষ্ঠার সহিত পালন করতে পারেন সেই প্রার্থনা করি।🙏🙏
জীবনের এই যাত্রায় কেউ অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে পার করছে আবার কেউ অত্যাধ িক ফ্রী সময় পার করছে। আপনি যে দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজগুলো করে যাচ্ছেন এটা আপনার কাছে কঠিন হলেও যেটা আপনার অনেক বড় একটি দায়িত্ব। সততার সাথে নিজেকে অটুট রেখে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন । যেটা কমিউনিটির শুরু থেকে দেখে চলেছি। একজন ভালো মানুষ বলেই আজকের এই সফলতা । যেখানে ভাইবা দিয়েছেন আপনাকে পছন্দ করেছে এই দায়িত্ববোধ থাকার কারণে নিজের সততার জন্য সবাই আপনাকে গুরুত্ব দিয়েছে। আপনার বাস্তবিক জীবনের কিছু প্রেক্ষাপট পড়ে ভালো লাগলো।
আসলেই ভাই ঠিক কথা নিয়ে সম্পর্ক তিক্ত করার আগেই সেখান থেক সরে পড়া ভালো। তবে ভাই আপনার চেহারা কিন্তু বেশ ভালো তাই আর কি ভাইবা দিতে হয় না 😍 চেহারার ভিতরে দায়িত্বশীলতার একটা ভাব আছে। আসলে আমি মনে করি জীবনে ভালো কিছু করার জন্য জেদের প্রয়োজন আছে। আপনি ২০ বছর ধরে সার্ভিস লাইনে টিকে আছেন আশা করি আরো অনেক দিন টিকে থাকবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।
আপনার লেখাগুলো যতই পড়ি ততই ভালো লাগে। কারণ বাস্তব জীবনের খুব সুন্দর সুন্দর অনুভূতি আপনার লেখার মাধ্যমে খুঁজে পাই। তাছাড়া আপনার লেখা গুলোর মাধ্যমে অনেক কিছু জীবনে শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব। আপনি ঠিক বলছেন মাঝে মাঝে এত ব্যস্ততা বেড়ে যাই আসলে দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো আমরা করার সুযোগ পাই না। যেহেতু আপনি ভাবিকে ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছেন না এটা আসলে মারাত্মক একটি কাজ হয়ে যাচ্ছে ভাইয়া। যদি সময় সুযোগ পান তাহলে ঘুরে আসবেন। আপনার তো দেখছি সব দিকে দায়িত্ব আর দায়িত্ব। আসলে দায়িত্ববোধ মনের মধ্যে লালন করা সুন্দর মানসিকতার কাজ। সেজন্য আপনাকে সব সময় শ্রদ্ধা করি এবং অনুসরণ করি।
ভাইয়া আপনার লেখা গুলো আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। আসলে বাস্তবতা বড়ই কঠিন আমরা কজনে বা এই বাস্তবতাকে মেনে নেই। সত্যি আপনি অনেক ভাগ্যবান, আসলে আপনাকে দেখেই চাকরি দিয়েছে।হয়তো বা আপনার পছন্দ মতো না হলেও আপনি চাকরির অমর্যদা করেননি।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জীবনের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
দায়িত্বশীল মানুষ কখনও দায়িত্ব এড়িয়ে যায় না।দায়িত্ব পালন করে যায় যেকোনো অবস্থায়। আপনি একজন দায়িত্ববান মানুষ।দায়িত্ব পালন করেন বলেই আপনার এতো এতো অভিজ্ঞতা। যা আমাদের মাঝে শেয়ার করেন।আর আমরাও খুব বেশী অনুপ্রানিত হই।এই কমিউনিটিতে আমার সূচনা লগ্ন থেকে আপনাকে একই ধারায় দেখে আসছি।নিষ্ঠার সাথে কর্তব্য পালনে আপনি সচল সর্বদা।সব সময় একই ধারায় থেকে বাকিটা জীবন কাটবে এমনটাই আশা রাখি।প্রতিনিয়ত আপনার জীবনের কথাগুলো অভিজ্ঞতারই কথা বলে যায়।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।