হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আমি বেশ আছি, না না না গরম কমে যায় নাই বরং অন্য কারনে মানসিকভাবে বেশ ভালো আছি। আসলে আমাদের ভালো থাকা কিংবা মন্দ থাকা দুটোই নির্ভর করে আমাদের মানসিক সুস্থ্যতার উপর। দেখুন আমরা যত অন্যায় কিংবা ভালো কাজ করি সবগুলোর পিছনেই কিন্তু আমাদের মানসিকতা কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই গরমে অস্থির হলেও আমি মানসিকভাবে বেশ ভালো আছি এই মুহুর্তে। ভালো আছি এটাই হলো বড় কথা, কি বলেন আপনারা? কারন এই সময়ে ভালো থাকতে পারাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ, যে চ্যালেঞ্জে প্রতিযোগী আমরা সবাই।
আচ্ছা মূল কথায় ফিরে আসি। এর আগে ধনিয়া পাতার ভর্তা শেয়ার করেছিলাম নিশ্চয় মনে আছে আপনাদের। হ্যা, সেটা শেয়ার করেছিলাম জলপাই দিয়ে যা একটু টক ঝাল ছিলো। সেই ভর্তাটা সত্যি বেশ দারুণ হয়েছিলো খেতে। শুধু ধনিয়া পাতা না আমি প্রায় সকল ধরনের ভর্তা খেতে পছন্দ করি, যেমন মিষ্টি কুমড়ার ছোকলার ভর্তা, রসুনের ভর্তা, শিমের ভর্তা, পটল ভর্তা, কাকরোল ভর্তা, ধনিয়া পাতার ভর্তা, শুটকি ভর্তা, আলুর ভর্তা, ডিমের ভর্তা, মাছের ভর্তা আর আর কিছু এখন মনে পড়ছে না হা হা হা। মনে পড়লে আরেক পোষ্টের মাঝি লিখে দিবো নে, মনে করে পড়ে নিয়েন হি হি হি।
যাইহোক, আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, রসুন দিয়ে ধনিয়া পাতার ভর্তা। আসলে রসুনকে বলা হয় গরীবের অ্যান্টিবায়োটিক, এটাও নিশ্চিত আপনারা জানেন। এই কারনে আমি চেষ্টা করি সকল প্রকার ভর্তায় রসুনের উপস্থিতি নিশ্চিত করার। তাছাড়া রসুন ছাড়া ভর্তা অতোটা স্বাদের হয় না, যেমন বাগার ছাড়া ডাল মজা হয় না। তবে হ্যা, আমি ভর্তার সব সময় একটু কম ঝাল খাই, তাতে একটা সুবিধা আছে আর সেটা হলো ভাগে বেশী পাই। কারন অন্যরা ঝাল ছাড়া ভর্তা খুব একটা পছন্দ করেন না। চলুন তাহলে আজকের রেসিপিটি দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- ধনিয়া পাতা
- রসুন
- কাঁচা মরিচ
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে একটা প্যান চুলায় বসিয়ে কিছু তেল দিয়ে তা গরম করবো, তারপর কাঁচা মরিচ এবং রসুন দিয়ে দিবো।
তারপর একটু পানি ঢালবো এবং কাঁচা মরিচ ও রসুনগুলোকে সিদ্ধ করার চেষ্টা করবো।
তারপর পরিস্কার করে ধনিয়া পাতাগুলো দিয়ে দিবো এবং সেগুলোর সাথে মিক্স করে নিবো।
একটা ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিবো যেন দ্রুত সিদ্ধ হয়ে যায় উপকরণগুলো।
এরপর বাটাবাটির কাজ, যা যত্ন সহকারে করে থাকে আপনাদের ভাবী। আসলে এই বাটার কারনেই ভর্তাগুলো খেতে বেশী স্বাদের হয়ে থাকে।
সত্যি বলতে বাটাবাটি সবাই পারে না, যার কারনে সকলের হাতের ভর্তা স্বাদের হয় না। দেখুন কতটা সুন্দর বাটা হয়েছে।
ব্যস হয়ে গেলো আজকের রসুন দিয়ে ধনিয়া পাতার স্বাদের ভর্তা, এরপর গরম ভাতের সাথে স্বাদ নেয়ার পালা। আসলে শুধু আমার কাছে না আমাদের পরিবারের সকলের নিকট ভর্তা দারুণ পছন্দের একটা আইটেম। শীতকালে ভর্তা বেশী খাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। আশা করছি আজকের ভর্তাটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
আমি সম্পূর্ণ একমত ভাই। কারণ আমি বিশ্বাস করি এই সব কিছু মাইন্ড সেটআপ এর খেলা। আপনি আপনার মাইন্ডকে যেইরকম রাখবেন আপনার চিন্তা ভাবনা সে রকম থাকবে।
সর্বোপরি আপনি যেই রেসিপি তৈরি করেছেন আমাদের এদিকে ধনিয়া পাতার চাটনি বলা হয় যা খেতে খুবই সুস্বাদু।।।
জ্বী ভাই এটা আপনি ঠিক বলেছেন, কিন্তু সমস্যা অন্যখানে যেভাবে খুশি সেভাবে পেটকে মানাতে পারি না, বড্ড বেশী লোভী সে হা হা হা।
ভাই আপনার আজকে মানসিক ভাবে অনেক ভালো আছেন সেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। আপনি যতগুলো ভর্তার নাম বলেছেন সত্যিই আমার এতগুলো ভর্তা এখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার এই ভর্তা গুলোর নাম শুনে সত্যি আমার খুবই ভালো লেগেছে, কারণ এত রকমের ভর্তা হয় সেগুলো খুবই সুন্দর ভাবে আজকে আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনি যে ভর্তা প্রেমী মানুষ সেটা বোঝা যাচ্ছে। আসলেই আপনার ভর্তা রেসিপি আজকেরটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সত্যিই এত সুন্দর ভাবে আপনি ভর্তা করেছেন দেখে খেতে ইচ্ছা করছে এবং আপনার রেসিপির উপস্থাপন আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমিও এই রেসিপি তৈরি করব। ধনিয়া পাতা স্পেশাল ভর্তা রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে । শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
হে হে হে, আমি কিন্তু প্রচুর পরিমানে ভর্তা খাই ভাই, যতটা সুযোগ পাই। কারন আমার শ্বাশুড়ী বেশ দারুণ ভর্তা বানায়।
ভাইয়া এতো কিছুর ভর্তা খেয়েছেন অথচ একটি জিনিস মিস করে গেছেন। যেটা আমি খেয়েছি। এটা হচ্ছে মুলা ভর্তা😋😋😋। আমি কিন্তু আপনার থেকেও একধাপ এগিয়ে। কারন আমি একজন ভর্তা প্রেমী মানুষ। বিভিন্ন প্রকারের ভর্তা খেতে আমার ভালো লাগে। আপনিও মুলা ভর্তা একদিন খেয়ে দেখবেন। আশা করছি ভালো লাগবে। মাছ দিয়ে মুলা ভর্তা করতে পারেন বা শুটকি মাছ দিয়ে মুলা ভর্তা করতে পারেন। খেতে দারুন লাগে। তবে যাই হোক আজকে আপনি ধনিয়া পাতা ও রসুনের দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবে ভর্তা করলে খেতে অবশ্যই দারুন লাগবে। আমি অবশ্যই এই রেসিপিটি তৈরি করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ঠিক ঠিক, আসলে মুলো নিয়ে এবার এতো বেশী ব্যস্ত ছিলাম যে মুলোর ভর্তার কথা ভুলেই গেছি। স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
যখন মানসিক শান্তি থাকে তখন সবকিছুই ভালো লাগে। আসলে মানসিক শান্তি সবচেয়ে বড় বিষয়। তবে যাইহোক ভাইয়া আপনি ভালো আছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। বরাবরের মতো আজকেও আপনি অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে বিভিন্ন প্রকারের ভর্তা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। নতুন নতুন ভর্তার রেসিপি দেখলে আমার ভালো লাগে। আপনি এত সুন্দর ভাবে রসুন দিয়ে ধনিয়া পাতার ভর্তা রেসিপি উপস্থাপন করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমি অবশ্যই এই রেসিপি তৈরি করে খাবো। আশা করি ভালো লাগবে। অনেক মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেইসাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।💗💗💗
একদম, অন্যরকম একটা ভাব থাকে তখন। যেমন রসুন দিয়ে ধনিয়া পাতার ভর্তা হা হা হা।
আসলেই ভাই আমিও আপনার সাথে একমত যে মানুষ যদি মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে আর ভালো থাকতে পারে তবে তার সব কিছু ভালো কাটে। আসলে ভালো থাকাটা একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার এটাও ঠিক বলেছেন। আজকে আপনি খুবই মজার একটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধনিয়া পাতা ভর্তা আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি আজকে রসুন দিয়ে ধনিয়া পাতার রেসিপি শেয়ার করেছেন। ভর্তা খেতে খুবই মজা হয়েছিল সেটা কিন্তু আমি বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ আপনাকে মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য
ধনিয়া পাতা বরাবরের মত আমার অনেক প্রিয়। এটি যে কোন তরকারি রান্না করা হলে সেটি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে আমি রসুন ও ধনিয়া পাতা দিয়ে এভাবে ভর্তা কখনো খাইনি। শুধুমাত্র ধনিয়া পাতার ভর্তা খেয়েছি অসাধারণ খেতে লাগে। আপনার তৈরি করা রেসিপিটি একদম ইউনিক লাগতেছে। সময় পেলে কোন একদিন অবশ্যই ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভর্তার ক্ষেত্রে ধনিয়া পাতা অনেকের কাছেই বেশ পন্দনীয়। আর শীতের তরকারি তো ধনিয়া পাতা ছাড়া অচল।
ভাইয়া আপনার জলপাই দিয়ে ধনে পাতা ভর্তাটি দেখেছিলাম। সেরকম ছিল। মনে পড়েই মুখে পানি চলে আসছে। আপনার আজকের ভর্তাটিও খুবই চমৎকার হয়েছে। ধনিয়া পাতা ভর্তা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে খিচুড়ি দিয়ে খেতে তো অসাধারণ লাগে। দেখে মনে হচ্ছে যে এখনই খিচুড়ি রান্না করে এই ভর্তা দিয়ে খেয়ে ফেলি।
যাক আজ তাহলে পানি আসে নাই মুখে, রোজা রমযানের দিন পানি না আসাই ভালো হা হা হা।
হাফিজ ভাই মানেই হলো নিত্যনতুন সব রেসিপির উদ্ভাবন। এই রেসিপিটা আমার অনেক ইউনিক লেগেছে খুবই পুষ্টিকর আর সুস্বদু মনে হচ্ছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
হুম, স্বাদের কথা আর রেসিপির মাঝে সেতু বন্ধনটা ঠিক রাখতে হবে তো ।
ভাই রসুন আর ধনিয়া পাতার ভর্তা টি আসলেই চমৎকার হয়েছে। ভর্তা আমার খুবই প্রিয়। নতুন নতুন আইটেমের ভর্তা তৈরি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।আপনার ভর্তার কালার খুবই চমৎকার হয়েছে ইচ্ছে করছে এখনই খাই। তবে ধনিয়া পাতা আর রসুন দিয়ে কখনও খাওয়া হয়নি।
আমিও চেষ্টা করি, মাঝে মাঝে শ্বশুড় বাড়ীতে যাওয়ার আগে বলেই দেই যত রকমের ভর্তা করা যায় সবগুলো যেন করা হয় হি হি হি।
তাহলে তো ভাইয়া শশুর বাড়ির ভর্তা প্রেমি জামাই হা হা হা😆😆
ধনিয়া পাতা ভর্তা আমার খুবই পছন্দের একটি ভর্তা ভাইয়া। বিশেষ করে ধনিয়া ভর্তা থাকলে আমার আর কোন তরকারির প্রয়োজন হয় না।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া রসুন ছাড়া আসলেই ভর্তার স্বাদ সঠিকভাবে আমরা পাবো না। তাই আমিও সবসময় ভর্তায় রসুন খাওয়ার চেষ্টা করি। যাইহোক ভাইয়া আপনার তৈরি করা ধনিয়া পাতা ভর্তা গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছে। আমারতো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে ভাইয়া।
আপনি পুরো লোভ লাগিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি ভর্তার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
জ্বী ভাই, শুধু ধনিয়া পাতা না যে কোন ভর্তা হলেই আমার চলে যায়, তরকারির দিকে ভুলেও সেদিন তাকাই না।