সম্মান দিলেই সম্মান পাওয়া যায়- হিংসা ছড়ালে শত্রুতা
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। সুন্দর প্রকৃতির সাথে সুন্দর কিছু সময় উপভোগ করার জন্য, শীতের প্রকৃতির সাথে ভালো কিছু মুহুর্ত স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য ঢাকার বাহিরে যাচ্ছি। প্রকৃতি আমাদের কত সুন্দর শিক্ষা দেয়, প্রকৃতির যত্ন নিলে এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করলে, প্রকৃতি তার দ্বিগুন ভালোবাসা আমাদের ফেরত দেয়, প্রয়োজনের অধীক আমাদের জন্য করে এবং সর্বোপরি আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। সম্মান দিলেই সম্মান ফিরে আসে, ভালোবাসা দিলেই ভালোবাসা পাওয়া যায়।
শুধু প্রকৃতি কেন? এমন অজস্র এবং অসংখ্য উদাহরণ আমাদের সম্মুখে আছে, আমাদের ইতিহাসও তাই বলে। কিন্তু আদতে আমরা কি কখনো এই বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেছি? আমরা কি ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যমে ভালোবাসা অর্জন করার চেষ্টা করেছি? সত্যি বলতে আমরা মানুষ এবং সবচেয়ে অদ্ভুত প্রাণীও বটে। তাই অজস্র শিক্ষা যেমন আমাদের পরিবর্তন করতে পারে না ঠিক তেমনি অসংখ্য ধ্বংসলিলাও আমাদের থামাতে পারে না। কারন আমরা শ্রেষ্ঠ এবং সৃষ্টির সেরা জীব, তাই সর্বক্ষেত্রে আমাদের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে, চাই সেটা হিংসার মাধ্যমে হোক চাই সেটা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে হোক।
আমাদের শিক্ষা এবং সংস্কৃতি রক্ষায় আমরা কখনো বদ্ধপরিকর হতে পারি না কারন আমাদের মাঝে হিংসার আবরণ কখনো আমরা উপড়ে ফেলতে পারি না, তাই সুযোগ এবং সময় মতো আমরা ঠিকই নিজেদের প্রকৃত চেহারা প্রকাশ করে দেই। হিংসার আগুনে আমাদের ধর্ম এবং সংস্কৃতির সাথে ঐতিহ্যগুলোকেও পুড়িয়ে ছাই করে দেই। এক অদ্ভুত চরিত্রের অধিকারী আমরা, বড্ড বেশী বিচিত্র আমাদের চরিত্র এবং প্রতিহিংসার মানসিকতায় ভরা হৃদয়। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কখনো আত্মসম্মান হ্রাস করে না বরং সেটাকে বহুগুনে বৃদ্ধি করে, ভালোবাসার প্রকাশ কখনো হৃদয়কে ছোট করে না বরং তা আরো বেশী নিখুঁত ও খাঁটি করে।
সুতরাং আমরা যদি হিংসার আবেগ লালন করি তাহলে অন্যরা কিভাবে আমাদের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করবেন। হিংসার আগুন শুধু নিজেদের হৃদয় পুড়ে না বরং নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও ধ্বংস করে দেয়। অন্য দিকে ভালোবাসার উষ্ণতা শুধু দুটো হৃদয়কে এক করে না বরং একটা সুন্দর ভবিষ্যতকে নিশ্চিত ও নিরাপদ করে। সম্পর্ক শুধু গায়ের রং কিংবা ধর্ম দেখে হয় না, ধনী-দরিদ্র কিংবা জাত-পাত দেখে হয় না বরং হৃদয়ের উষ্ণতা ও আবেগ এর সংমিশ্রণে হয়। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোদ, সম্মান এবং ভালোবাসার মাধ্যমেই সুন্দর একটা সম্পর্ক তৈরী হয়, যার প্রভাব কিংবা উষ্ণতার রেশ থেকে যায় যুগের পর যুগ।
সবশেষে, একটা পতাকা মানেই একটা প্রতীক, আত্মপরিচয় এবং সম্মান, যা প্রতিটি দেশ, প্রতিটি সীমানা এবং প্রতিটি জাতি নিজেদের জান-মাল নিঃশেষ করে হলেও রক্ষা করে। প্রয়োজনে আজীবন সংগ্রাম করে যায় কিন্তু তবুও নিজের আত্মপরিচয়, প্রতীক এবং সীমানাকে মুছে যেতে দেয় না, কারন পতাকা মানেই নিজের দেশ আর দেশ মানেই নিজের পরিচয়। নিজের পতাকা-নিজের দেশ মানেই শুধু নিজের পরিচয় নয় বরং নিজের অহংকার এবং নিজের গর্ব। তাই আসুন হিংসার আগুন না জ্বালিয়ে ভালোবাসার পরশ ছড়াই এবং পারস্পরিক সম্মান রক্ষার্থে আরো বেশী সচেতন ও যত্নশীল হই। প্রতিহিংসার আগুন নিভে যাক এবং ভালোবাসার বিজয় হোক, এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হিংসা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়, তাই পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও একত্ববোধ আমাদের স্থাপন করা উচিত। কোথায় আছে, সবাই মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। হিংসার আগুন না জ্বালিয়ে ভালোবাসার মিল বন্ধন স্থাপন করা প্রতি মানুষের ধর্ম। ধনী-দরিদ্র কিংবা জাত-পাত দেখে কোনো লাভ হয় না, বরং হৃদয়ের ভালোবাসা অনুভব করতে হবে। এত সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
আমরা মানুষেরা মাঝে মাঝে নিজের বিবেক হারিয়ে ফেলি,কি করতে কি করে ফেলি তা নিজেরাও জানি না।আসলে হিংসা বিদ্বেষ না ছরিয়ে আমাদের উচিত বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক বজায় রাখা।অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না,অতিরিক্ত সবার জন্য খারাপ কিছু বয়ে আনে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
কি বলব দাদা? অসহিষ্ণুতা যে আমাদের শেষ করে দিচ্ছে এটা আর কবে বুঝবে? জানেন প্রবাসে থাকার কারণে দশ বছর আগে সবার মুখে শুনতাম, বাঙালি! বাপরে সংস্কৃতি শিক্ষা সবেই এগিয়ে। এখন আর সেসব শুনি না। কিভাবে অধঃপতন ঘটছে একটা জাতির ভাবলেই বুক ভেঙে আসে।
প্রতিহিংসা সব সময় খারাপ কিছুই বয়ে আনে। আসলে প্রতিহিংসা খুবই খারাপ। আমার মনে হয় যাদের মানসিকতার সমস্যা আছে তারাই পতাকার প্রতি অসম্মান করছে। এদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।
হিংসা কখনোই মানুষের জীবনে ভালো কিছু নিয়ে আসে না। প্রতিহিংসা সব সময় খারাপ কিছু নিয়ে আসে আমাদের মাঝে। ওই জন্য এই প্রতিহিংসার থেকে দূরে থাকতে হবে। আমি নিজেও সব সময় মনে করি সম্মান দিলেই সম্মান পাওয়া যায়। তার জন্য অবশ্যই সম্মান দিতে হবে। দেশের পতাকা প্রত্যেকটা মানুষের অহংকার আর গর্ব। তাই জন্য অবশ্যই এটার প্রতি সম্মান থাকতে হবে অনেক বেশি।
হিংসা কখনো কোন ভালো কিছু বয়ে আনে না।একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব। সম্মান করলে সেও নিজে সম্মান পায়।এটাই রীতি।আমাদের সবার উচিত সবাইকে সম্মান করা।
আসলেই সম্মান দিলেই সম্মান পাওয়া যায়। এটা একেবারে সত্যি কথা। কিন্তু বর্তমানে উভয় দেশের মধ্যে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, সেটা মোটেই কাম্য নয়। ভারত এবং বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখাটা খুবই জরুরী। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হিংসা অহংকার বিদ্বেষ সবকিছু খারাপ বয়ে আনে।আসলে কখন কি করতে কি করে ফেলি আমরা নিজেরাও বুঝিনা। হিংসা অহংকার না করে ভালোবাসার সুসম্পর্কে আবদ্ধ হোক দু দেশ এটাই আমাদের চাওয়া।সত্যিই সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায় হিংসা ছড়ালে শত্রুতা।অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে ধন্যবাদ।
পতাকা একটা দেশের গৌরব সার্বভৌমত্বের প্রতিক। পতাকা একটা দেশের মানুষের আবেগ ভালোবাসার প্রতিক। হিংসা বিদ্বেষের বশে পড়ে ঐ পতাকা অবমাননা করা কখনোই উচিত না। কিন্তু এটা বোঝে কতজন ভাই। আশাকরি এরা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে শিখবে সব বুঝবে।