২য় ম্যাচেও জয় বাংলার!
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আপনারা যারা খেলাধুলার খবর রাখেন তারা নিশ্চয় জানেন বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হলো। আমি ইতোপূর্বে ১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম আপনাদের সাথে। তে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে ২য় টি-টোয়েন্টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা বাংলাদেশ জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য সিরিজ জয়ের ম্যাচ ছিল আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সমতায় ফেরার ম্যাচ ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স ভালো ছিল না বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবার টি-টোয়েন্টি ভালো খেলে। তবে ১ম টি-টোয়েন্টি তে জিতে বাংলাদেশ টিম কনফিডেন্স ফিরে পেয়েছিল। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে জিতে প্রথমেই বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিং নিয়েছিল। শুরুতেই ব্যাটিং করতে আসে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। লিটন দাস এখন পর্যন্ত নিজেকে মেলে ধরতে পারছে না। সৌম্য সরকার আগের ম্যাচে আশানুরূপ পারফর্মেন্স করতে পারেনি। বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালে হয়নি। দলীয় সংগ্রহ যখন ১১ রান তখনই দুই উইকেট পরে যায়। তারপর সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ খেলাটাকে আগানোর চেষ্টা করে।
দলীয় সংগ্রহ যখন ৩৯ রান তখন সৌম্য সরকার আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে জাকের আলী। জাকের আলী নামার পর মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হয়ে যায় আলাজরি জোসেপের বলে! ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন চাপে পরে যায়। আমার কাছে তখন মনে হচ্ছিল হয়তো ১০০ ক্রস করতে পারবে না! কারণ একের পর এক উইকেটের পতন ঘটছিল। শেষের দিকে এসে জাকের আলী ২১ রান করপ আউট হয়ে যায়। তারপর শামীম মাঠে নামে। শামীম শেষ অবধি একাই লড়াই করে যায়। শামীমের ব্যক্তিগত ৩৫ রানের সুবাধে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১২৯ রান চেইস করা ইজি। সে হিসেবে ভেবেই নিয়েছিলাম বাংলাদেশ হয়তো আজ জিততে পারবে না।
১৩০ রানের টার্গেট সামনে রেখে ব্যাটিং এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্র্যান্ডং কিং ও চার্লস! দুজনই পাওয়ার হিটার। যত তাড়াতাড়ি আউট করা যায় তত তাড়াতাড়ি বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে। প্রথম দুই ওভার মোটেও ভালো করেনি বাংলাদেশের বোলাররা। তারপর তৃতীয় ওভারে যখন তাসকিন বোলিং করতে আসে তখন তাসকিনের বোলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে কিং। তারপর মাঠে আসে ফ্লেটচার। ঘুরে দাড়াঁনোর আগেই ফ্লেটচার শূন্য রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। কিছুটা প্রসার ক্রিয়েট করতে পারে বাংলাদেশ। তারপর মাঠে আসে নিকোলাস পুরান! নিকোলাস পুরান মাঠে আসার পর চার্লস মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরে। চার্লসকে আউট করার পর খেলার দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকে। মাঠে আসে রসটন চেইস। এদিকে নিকোলাস পুরান আউট হয়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় সংগ্রহ তখন ৩২ রানে ৪ উইকেট। তারপর গলার কাটাঁ হয়ে দাড়ায়ঁ রসটন চেইস। কিন্তু ইনিংস বড় করার আগেই আউট করে রসটন চেইসকে রিশাদ হোসেন। শেষ অবধি সবকটি উইকেট হারিয়ে ১০২ রান করতে সমর্থ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজে ২-০ এগিয়ে থেকে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছিল শামীম হোসেন।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
Puss tweet
একটা সময় আমি অনেক অনেক ক্রিকেট খেলা দেখতাম। এখন তেমন একটা দেখা হয় না। তবে এখনো খোঁজ রাখার চেষ্টা করি। কারণ এই খেলা গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। জেনে ভালো লাগলো আমাদের দেশের আবারো জয় হয়েছে। খেলাটা রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ।
এটা জেনে ভালো লাগলো যে আপনি একটা সময় ক্রিকেট খেলা দেখতেন।