নাটক রিভিউঃ- " End Counter "
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে চলে এলাম আপনাদের সাথে একটি নাটক শেয়ার করার জন্য। আমি নাটক দেখেই থাকি মূলত আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আজকে যে নাটকটি শেয়ার করবো সেটার নাম হচ্ছে End Counter। আশা করছি ভালো লাগবে।
নাম | End Counter |
---|---|
পরিচালনা | নাহিদ হাসনাত। |
প্রযোজক | খালেদ সজীব। |
অভিনয়ে | মির রাব্বি, সাদিয়া আফরিন মাহি, ভিকন নূর, সাফওয়ান মাহমুদ, শারমিন ইজা, জামান রহমান সহ আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | রাহাত আহমেদ পিয়াস। |
দৈর্ঘ্য | ৪৭ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ২০ই ডিসেম্বর , ২০২৪ ইং |
ধরন | সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
রিয়াদঃ
মীর রাব্বি।ইরাঃ
সাদিয়া আফরিন মাহি।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায় রিয়াদ তার বন্ধু ন্যান্সিকে বাইকে করে নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পুলিশ তাদের দাড়ঁ করায় এবং চেক করতে বলে। রিয়াদ পুলিশের এস আই। তারপরেও এতো রাতে একটা মেয়ের সাথে রিয়াদ! পুলিশ কিছুটা সন্দেহ করে। রিয়াদ প্রথমে বলে তাকে চেক করতে। রিয়াদকে চেক করে কিছু পায়নি পুলিশ। তারপর ন্যান্সিকে চেক করে তার ব্যাগে স্মাগলার পেয়ে যায়। তারপর পুলিশ রিয়াদকে ও ন্যান্সিকে হাজতে নিয়ে চলে যায়। থানার ওসি মনিরকে দেয়া হয় কেইসটাকে হ্যান্ডেল করার জন্য। কিন্তু মনির সাহেবের শর্ত হলো সে একাই কেইসটা ইনভেস্টিগেট করবে, তবে বাহির থেকে যেন কোনো প্রেসার না আসে। তারপর মনির সাহেব চলে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিয়াদ সাহেবের কাছে। স্মাগলার দেখে মনির সাহেবের সন্দেহ হয়। কারণ হচ্ছে রিয়াদ সাহেব পুলিশের চাকরি করার পরেও কেন স্মাগলারের সাথে সম্পৃক্ত।
রিয়াদ সাহেবের সহজ স্বীকারোক্তি! সে এ বিষয়ে কোনো কিছুই জানে না। ন্যান্সি তার ফ্রেন্ড। দুই বছর আগে শেষ ন্যান্সির সাথে দেখা হয়েছিল। গতরাতে ন্যান্সির সাথে দেখা হয়। সে বিপদে পরেছিল তাই সাহায্য করেছিল রিয়াদ। কিন্তু ন্যান্সির সাথে যে স্মাগলার ছিল সেটা রিয়াদ জানতো না। কিন্তু পুলিশ তার কথা কিছুতেই বিশ্বাস করছে না। কারণ প্রমাণ না থাকলে সবকিছুই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে। মনির সাহেব তারপর ন্যান্সিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু ন্যান্সি উল্টো রিয়াদের উপরে দোষ চাপিয়ে দেয়। তার আদেশেই নাকি সে স্মাগলার নিয়ে এসেছিল। এখন শুধু শুধু তাকে ফাঁসানোর চিন্তা করছে। তারপর থানায় আসে রিয়াদের বন্ধু বিপাশা। যে কিনা সি আইডি তে জব করে। রিয়াদের কেসের ব্যাপারে এসেছে কথা বলার জন্য। কিন্তু মনির সাহেব ব্যাপারটা নিতে পারেননি। সে চেয়েছিল একাই সবকিছু করতে।
বিপাশাকে দেখে রিয়াদ কিছুটা অবাক হয়। অনেক বছর দেখে। তবে সেটা আনএক্সপেক্টেড! বিপাশা রিয়াদকে বলে চিন্তা না করার জন্য। সে দেখছে বিষয়টা। তবে কথা হচ্ছে মনির সাহেব যা যা বলবে তার সত্য উত্তর যেন দেয়! মনির সাহেব ও বিপাশা মিলে রিয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঠিক দুবছর আগের ইতিহাসে চলে যায়। রিয়াদ শিল্পপতী নিজাম উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। বাবার এতে এতো টাকার বিজনেস! সে বিজনেস দেখাশোনা না করে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ায়! একদিন রিয়াদ তিনশো ফিটে একটা অকারেন্স করে। সেটার জন্য পুলিশকে দিতে হয় সত্তর হাজার টাকা। তারপর তার বাবা প্রাইভেট কারের চাবি রেখে দেয়। রিয়াদ তখন বুঝতে পারে তার কিছু একটা করতে হবে। সে অনলাইনে দেখতে পায় পুলিশের এস আই পোস্টে জবের সার্কুলার দিয়েছে। আর রিয়াদ সেটাতে এপ্লাই করে। রিয়াদের বন্ধু বান্ধব কেউ খুশি হয়নি। শুধুমাত্র বিপাশা ছাড়া। বিপাশা বর্তমানে একজন উকিল সেই সাথে সি আই ডি এর সাথে যুক্ত আছে।
মনির সাহেব সবকিছু জানার পর তার স্যারকে নোটিশ করে। রিয়াদকে সাহায্য করার জন্য নাকি বিপাশা এসেছে। কিন্তু বিপাশা তার জন্য আসেনি। কেইসটা হ্যান্ডল করার জন্য এসেছে। কারণ একজন নির্দোশ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে হবে। বিপাশা ভালো করেই চেনে রিয়াদ এমন কাজ কখনো করতে পারে না। তাকে ফাসানো হয়েছে। তারপর সত্য উদঘাটন করতে বেরিয়ে এলো আসল ঘটনা। ন্যান্সি ও তার স্বামী রানা মিলে স্মাগলিং এর ব্যবসা করে। রিয়াদ যেহেতু পুলিশ সে সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছিল ন্যান্সি! হয়তো পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে যাবে ভেবেছিল। কিন্তসেটা ভুল ছিল ন্যন্সির। তারপর ন্যান্সি ও তার স্বামী রানাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলে পাঠায় এবং নির্দোশ প্রমাণিত হওয়ায় রিয়াদকে ছেড়ে দেয় এবং নিজ কর্মস্থলে যোগদান করতে বলে। তারপর রিয়াদ ও বিপাশার মাঝে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হওয়ার মধ্যে দিয়েই শেষ হয় নাটকটি।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। বন্ধুত্বের সুবিধা নিয়ে আমাদের সমাজে অনেকেই অনেক অন্যায় কাজ করছে প্রতিনিয়ত। হয়তো সে বন্ধুটা জানে না যে তাকে ইউজ করছে। নাটকটিতে রিয়াদকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল ন্যান্সি। কিন্তু শেষ অবধি ব্যর্থ হয়। বিপদে যে বন্ধুই পাশে থাকে সেটার আবার প্রমাণ দিয়েছিল বিপাশা। তারপর দুজনের মেলবন্ধন। সবমিলিয়ে নাটকটি উপভোগ করার মতো ছিল।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
puss tweet
পুরো কাহিনীটাকে সংক্ষেপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য প্রথমে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এই সুন্দর নাটকটির রিভিউ। এই নায়ক নায়িকা আমার অনেক পছন্দের। তাদের অভিনয় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। অনেক আগে থেকেই আমি তাদের নাটক দেখি। তাদের দুজনের অভিনয় অনেক সুন্দর হয়। এ নাটকের মধ্যেও অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে তারা। রিভিউটা সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।
মির রাব্বির অভিনয় ভালো লাগার মতোই। তাছাড়া বাকিরাও ভালো অভিনয় করেছে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে নাটকের পুরো কাহিনীটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই নাটকটা যদিও দেখা হয়নি কিন্তু, রিভিউটা অসম্ভব ভালো লেগেছে। আমি যদি সময় পাই তাহলে নাটকটা দেখার জন্য চেষ্টা করবো।