মেঘনা নদীর পাশের কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য || আমার বাংলা ব্লগ।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। মেঘনা নদীর পাশের কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
এই ছবিটিতে যে দৃশ্যটি দেখা যাচ্ছে এটি নদীর পাশের একটি বড় দ্বীপ। এই দ্বীপটির ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন রকমের গাছপালা এবং রয়েছে বিভিন্ন প্রাণী। আমি নৌকা করে এই দ্বীপের ভিতরে গিয়েছিলাম আমার সাথে ছিল আমার কয়েক জন বন্ধু। আমি যখন এই দ্বীপটির ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম, তখন লক্ষ্য করেছিলাম কিছু লোকজন এই দ্বীপটি থেকে গাছ কেটে নৌকার ভিতর করে নিয়ে যাচ্ছে। এই দ্বীপের ভিতর রয়েছে কিছু বন্যপ্রাণী যা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর।
এই রাস্তাটি দ্বীপের ভিতর দিকে যাওয়ার একটি রাস্তা। এই রাস্তা পার হয়ে তারপর নৌকায় ওঠে নদীর পাশ দিয়ে দ্বীপের ভিতর যেতে হয়। এখন বর্ষাকাল থাকার কারণে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি হচ্ছে এবং বৃষ্টি হওয়ার কারণে পানি উপরের দিকে ভেসে এসেছে এ কারণে নৌকা চলাচলের রাস্তা খোলা হয়েছে। এতে আমরা দ্বীপের ভিতরে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়েছি নৌকা দিয়ে।যখন বর্ষার মৌসুম আসে তখন এই দ্বীপে যেতে হলে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। না হলে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।আমরা যখন দ্বীপের ভিতর গিয়েছিলাম, তখন ঐ মুহূর্তে অনেক মানুষই নৌকা দিয়ে দ্বীপের ভিতর গিয়েছে।
এই ছবিটির যে দৃশ্যটি দেখা যাচ্ছে এটি হচ্ছে নদীর পাশের একটি দৃশ্য এখানে মানুষ এসে নদী সৌন্দর্য উপভোগ করে এবং দক্ষিণা হাওয়া উপভোগ করে।
নদীর পাশে যে জায়গাটি দেখা যাচ্ছে এটি মূলত নদীর একটি বড় দ্বীপ এবং দ্বীপের এক অংশ।এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে দক্ষিণা নদীর বাতাস এসে যেন মন জুড়িয়ে যায়।
এখানে ছবিতে যে দৃশ্যগুলো দেখা যাচ্ছে এগুলো হলো নদীর পাশের ছোট ছোট খাল।এই খালগুলোর পানি দেখতে সবুজ আকৃতির এই খালের পানি গুলো নদী থেকে জোয়ার এসে সম্পূর্ণ ভেসে যায়। খালের মধ্যে রয়েছে ছোট-বড় অনেক নৌকা। এই নৌকাগুলো দিয়ে নদীর উপর দিয়ে দ্বীপের মধ্যে যাওয়া যায়।এই খালগুলোর পানি অনেক পরিষ্কার এখানে পানি বেশি নেই। মানুষ এখানে গোসল করে। আমরা যখন যাচ্ছিলাম তখন লক্ষ্য করেছি মানুষ এই খালের মধ্যে গোসল করতেছে।
এখানে ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে খালের ভিতর রয়েছে অনেকগুলো ছোট-বড় নৌকা এ নৌকাগুলো এখানে সব সময় থাকে। যারা দ্বীপের মধ্যে যেতে ইচ্ছা করে তারা এই নৌকাগুলো করে ঐ দ্বীপের মধ্যে চলে যায়। দ্বীপে যাওয়ার জন্য তাদেরকে নৌকার ভাড়া পরিশোধ করতে হয় প্রতি জনে ২০০ টাকা করে।আমরা তিন বন্ধু গিয়েছিলাম এই নৌকা দিয়ে,তাই আমাদেরকে ৬০০ টাকা নৌকার ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে।
এখানে খালের পাশের একটি বড় বাড়ি, এ বাড়িটি দুই পাশে রয়েছে খাল এবং দক্ষিণ পাশে রয়েছে নদী, নদী কিছু অংশ বাড়িটির ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। আমরা যখন দ্বীপের ভিতর গিয়েছিলাম তখন নৌকা দিয়ে আমরা এ বাড়িটির ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম এ বাড়িতে এখনোও মানুষ বসবাস করতেছে। কিন্তু বর্তমানে এ বাড়িতে মানুষ বসবাস করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কখন নদীর জোয়ার এসে রাত বা দিনে বাড়ির বাকি অংশ ভেঙে নিয়ে যায় তা বলা যায় না। তারপরও মানুষ তাদের বসতভিটা ছেড়ে যেতে চায় না। আসলে নদীর পাশের মানুষগুলোর দুঃখ-কষ্টের শেষ নেই।।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | মেঘনা নদী, সদর উপজেলা, নোয়াখালী |
খালের মধ্যে ছোট বড় নৌকাগুলো দেখতে দারুন লাগছে। আপনি মেঘনা নদীর পাশে থেকে খুব সুন্দর কিছু গ্রামীণ দৃশ্যের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। বেশ দারুন লাগছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর এবং মনমুগ্ধকর গ্রামীন দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
নদীবিধৌত অঞ্চলগুলোই বাংলার জনজীবন ও প্রকৃতিকে টিকিয়ে রাখতে পেরেছে, যেভাবে নগরায়ন হয়ে চলেছে - তাতে করে সবুজ শ্যামল এ অঞ্চলগুলো ইকোসিস্টেমকে স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা পালন করছে।
আপনি নদীপথে নৌকায় করে দারুণ একটি ভ্রমণ সম্পন্ন করতে পেরেছেন। বিশেষ করে অরণ্য, জলাভূমির দৃশ্য চমৎকার হয়েছে।
তবে একটি বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই যে, যেসব অসাধু ব্যাক্তিবর্গ গাছ কেটে বনাঞ্চল নিধনে নেমেছে তারা নিশ্চয়ই পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে চলেছে। এদেরকে নিবৃত করতে হবে, তাহলে প্রকৃতি ঠিক থাকবে।
প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফির প্রতি আমি অনেক দুর্বল।কারণ আমি নিজেও সবসময় প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করার চেষ্টা করি।তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে এবং অনেক ব্যতিক্রম লেগেছে আমার কাছে।আপনার এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করা আসলে দক্ষতা ছাড়া সম্ভব না।
share on x
https://x.com/HaniferMd/status/1809087682276122775?s=19
প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভীষণ ভালো লাগে। আমিও সময় পেলে মন ভালো করার জন্য নদীর পাড়ে ছুটে যাই। মেঘনা নদীর পাশের প্রকৃতির সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। এধরনের জায়গা গুলোতে ঘুরতে গেলে মন অটোমেটিক ভালো হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
নদীর পাড়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় এই দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। কি সুন্দরময় মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করলের।দেখি আমি মুগ্ধ হলাম।