আসন্ন ফলের মৌসুমে সিন্ডিকেট নিয়ে দুশ্চিন্তা

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


মধুমাস আসন্ন প্রায়। জৈষ্ঠ্য মাসকে বলা হয় মধু মাস। কারণ এই মাসে আমাদের দেশের সবচাইতে মজাদার ফলগুলি বাজারে আসে। খাওয়ার উপযুক্ত হয়। আম-লীচুর মতো রসালো ফলে পুরো বাজারটা ভরে ওঠে। গত কয়েকটা বছর ধরে প্রচুর আমের ফলন হয়েছে। সাথে লিচুর ফলনও ভালো হয়েছে। যার ফলে আম লিচুর দাম সাধারণ মানুষের মোটামুটি ক্রয়-ক্ষমতার ভেতরেই ছিলো। তবে এবার আবহাওয়ার কারণে আম এবং লিচুর ফলন কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


IMG_20240503_071959.jpg

তাই আগে থেকেই ধরে নিচ্ছি এবছর এই দুটো ফলের দাম থাকবে আকাশ ছোঁয়া। কারণ একেতো এগুলোর ফলন হবে কম। সেই সাথে মূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট এই বিষয়টাকে পুঁজি করে এই ফলগুলোর দাম বাড়িয়ে দেবে কয়েক গুণ বেশি। অবশ্য যেই বাগানি এই ফলগুলো উৎপাদন করেছে এই বাড়তি দামের সুবিধাটা সে পাবে না। পুরো সুবিধাটা চলে যাবে দালাল এবং ফড়িয়াদের কাছে। আমাদের দেশের মানুষ সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে এই সময়টার জন্য। কখন আম লিচু পাকবে আর কখন তারা মন ভরে এই ফলগুলো খাবে। এই আম আর লিচু যে শুধু আমাদের কাছে প্রিয় তা নয়। বিশ্বের ফল প্রিয় বেশিরভাগ মানুষের কাছেই এই ফল দুটো দারুণ প্রিয়। ব্যক্তিগতভাবে আমিও এই ফল দুটো খুবই পছন্দ করি।

তবে এবার সত্যিকারের চিন্তায় পড়ে গিয়েছি। এই ফলটা পর্যাপ্তভাবে কিনতে পারব কিনা? কারণ এমনিতেই দেশের প্রত্যেকটা জিনিসের দাম উর্ধ্বমুখী। আর যদি সেই জিনিসের গায়ে এমন তকমা লেগে যায় যে এবার এটার উৎপাদন কম হয়েছে। তাহলে তো কথাই নেই। সেই জিনিসের দাম বাজারের সিন্ডিকেট সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাবে। যেহেতু আমার মতো একজন সাধারণ মানুষ বিষয়টা বুঝতে পারছে। তাই আশা করি সরকারি সংস্থাগুলো যারা পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা পালন করে। তারাও এই বিষয়টা নিয়ে এখন থেকেই চিন্তাভাবনা শুরু করবে। যদি বাজারে এই পণ্যগুলোর একটা দাম নির্ধারণ করে দেয়া যায় আর কেনা এবং বেচার দকমের পার্থক্যটা নির্ধারণ করে দেয়া যায় তাহলে আশা করি পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তখন হয়তো সাধারণ মানুষ এই ফলগুলো কিনে খেতে পারবে। না হলে এই বছর এই ফল দুটো সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে। এখন দেখা যাক দায়িত্বরত ব্যক্তিদের টনক নড়ে কিনা?


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ফরিদপুর


ধন্যবাদ

Sort:  
 yesterday 

আমের দাম গত বছরের সাথে সামঞ্জস্য থাকলেও, লিচুর দাম এবার বেশি ছিলো। এর পিছনে শুধুমাত্র সিন্ডিকেট দায়ী। সিন্ডিকেট এর কারণে নিম্নবিত্ত মানুষেরা মৌসুমী ফল পর্যন্ত কিনে খেতে পারে না। অথচ প্রতিটি মানুষ সারাবছর অপেক্ষা করে থাকে, জৈষ্ঠ্য মাসে আম,কাঠাল এবং লিচু খাওয়ার। আসলে বাজার মনিটরিং ঠিকঠাক মতো করা হলে,যেকোনো জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসতো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।