ইচ্ছে পূরণ উপলক্ষে মহাস্থানগড় মাজারে || জেনারেল রাইটিং

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সামনে একদমই ভিন্ন রকম একটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনাদের অনেকের হয়তো মহাস্থানগড় সম্পর্কে ধারণা থেকে থাকবে বিশেষ করে যারা বগুড়া কিংবা উত্তরাঞ্চলে আছেন।তাছাড়া মহাস্থানগড় একটি ঐতিহাসিক স্থান। মহাস্থানগড়ে যে মাজারটি আছে সেখানে অনেকে মনের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য গরীবদের খাওয়াতে চান।যে মাজারে সব সময় অনেক প্রতিবন্ধী পাগল থাকেন। আর কোনো ভাবে সেই ইচ্ছে পূরণ হলে তারা সেই মনে মনে রাখা নিয়ত পূরণ করতে যান।

1000000232.jpg

যাইহোক আমার পাশের বাড়ি এক চাচা আছেন যার দুটো মেয়ে। অর্থ সম্পদ মোটামুটি বেশ ভালই। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর তার মেয়ে মা হবে।চাচার মনের ইচ্ছে তার মেয়ের ঘরে যেন ছেলে হয়।উনি মনে মনে ঠিক করেন যদি মেয়ের ঘরে ছেলে হয় তাহলে একটা বড় ছাগল নিয়ে গিয়ে মহাস্থানগড় মাজারে সবাইকে খাওয়াবেন। যদিও এটা কোনো ভাবেই আমাদের চাওয়ার ওপর নির্ভর করে না পুরোটাই সৃষ্টিকর্তার হাতে। যাইহোক এরপর আল্লাহ তায়ালা তার মনের ইচ্ছা পূরণ করেন এবং তার মেয়ের ঘরে একটা ফুটফুটে ছেলে সন্তান হয়।

1000000236.jpg

1000000237.jpg

1000000238.jpg

এখন ছেলের বয়স প্রায় চার বছরের কাছাকাছি। উনারা বেশ কয়েকদিন ধরেই ঠিক করেছিলেন যে আজ শুক্রবার সেখানে যাওয়া হবে। আমাদের আশেপাশের বাড়িতে সবাইকে বলেছে যাওয়ার জন্য। আমাদের আশেপাশে থেকে সবাই গিয়েছে আমার বাড়ি থেকেও আমার বাবা এবং আমার ছোট বোন গিয়েছে। যেহেতু প্রচুর রোদ এবং গরম ছিল তাই আমি বা বাবুর বাবা কেউই যাওয়ার সাহস দেখায়নি।

যাইহোক যদিও ব্যাপারটা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি কেননা মনে করি এই ব্যাপার গুলো একটু বেশি বেশি হয়ে যায়। মেয়ে না হয়ে যদি ছেলে হতো তাহলে কি উনি উনার দেওয়া কথা রাখতেন না। আমার মনে হয় কারো কাছে নিয়ত না করে আল্লাহ তায়ালার কাছে যদি আমরা কোন কিছু চেয়ে থাকি তাহলে অবশ্যই উনি কখনো আমাদেরকে ফেরাবেন না।উনি সবজান্তা। আমরা কখন কি চাই, কি পেলে খুশি হব সবটাই উনি জানেন।

যাইহোক পরিশেষে একটাই চাওয়া ওনার নাতি যেন সুস্থ থাকে এবং একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে

1000000117.png

1000000118.png

1000000119.gif

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

মহাস্থানগড় মাজারে কয়েক বছর আগে আমি গিয়েছিলাম।সেখানে গিয়ে আমার অনেক ভালো লেগেছিলো।কেননা আমি আল্লাহর ওলিদের মাজার জিয়ারত করে মনে তৃপ্তি পাই।যাইহোক,আপনার বাড়ির পাশের এক চাচা তার মেয়ের যেন ছেলে সন্তান হয় সেই নিয়তে একটি ছাগল দিতে চেয়েছিল মাজারে।আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সেই চাচার মনের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো।তার দেওয়া কথা ঠিক রাখতে সে মাজারে থাকা ফকির মিসকিন,প্রতিবন্ধীদের জন্য ছাগল নিয়ে গেছে ।আল্লাহ তার নাতিকে সুদীর্ঘ নেক হায়াত দান করুক।

 2 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ঠিক বলেছেন মহাস্থানগড় মাজারে জিয়ারত করলে মনে তৃপ্তি পাওয়া যায়।

 2 months ago 

আসলে আমরা বাঙ্গালী জাতি আবেগপ্রবণ তাই যাতে ছেলে হয় সেজন্য মানত করেছেন এবং ওনার মনের ইচ্ছে পূরণ হওয়ার কারণে ছাগল নিয়ে মাজারে গেছেন। বেশ ভালো লাগলো পোস্ট টি পড়ে এবং ওনার মনের ইচ্ছে সৃষ্টিকর্তা পূরণ করেছে জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি আমাদেরই সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 2 months ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

আসলে সৃষ্টিকর্তার কাছে মন খুলে চাইলে সবকিছুই সৃষ্টিকর্তা আমাদের পূরণ করে দেন। যদি আমাদের মনে কোন পাপ থাকে তখন সৃষ্টিকর্তা আমাদের চাহিদ গুলো কখনো পূরণ করেন না। আসলে এই পৃথিবীতে সবার সৃষ্টিকর্তার উপরে ভরসা আছে বলে এই পৃথিবীতে এখন সুন্দর হয়েছে। যাইহোক ওনার নাতির সুস্থতা কামনা করি এবং যেন পৃথিবীতে সে একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই আমার প্রার্থনা।

 2 months ago 

সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।

 2 months ago 

এখনও আমরা এই শতাব্দীতে এসে এসব জিনিসের বিশ্বাস থেকে সরে দাঁড়াতে পারছি না। আর ছেলে বা মেয়ের মাঝে ভেদাভেদ কেন। আমার তো মনে হয় এখন একজন মেয়ে দশ জন ছেলের সমান। যাই হোক এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বলে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপু।

 2 months ago 

দিনশেষে একদম সত্যি একটা কথা বলেছেন আপু। বর্তমানে যে অবস্থা তাতে একটা ছেলের থেকে দশটা মেয়ে থাকা ভালো। যাইহোক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 months ago 

আপু আপনার সাথে আমি একমত যদি কিছু চাইতে হয় তাহলে একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাওয়া উচিত এবং আমাদের যা কিছু হয় তা একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয় সুতরাং কেউ যদি এই নিয়ত করে যে আমি এটা মান্নত করার কারণে তার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে তাহলে সে শিরক করে ফেলল। যাই হোক আশা করি এই কাজগুলো যিনি করেছেন ভবিষ্যতে হয়তোবা আর করবেন না। আপনি পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 

সত্যি কথা বলতে এই বিষয়গুলো আমারও খুব একটা টানে না। আল্লাহ কপালে যা লিখে রেখেছেন সেটাই হবে।আমাদের চাওয়া না চাওয়ার উপর নির্ভর করে না। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 2 months ago 

আসলে অনেক মানুষ আছে যারা বিভিন্ন ধরনের মানত করে এবং মনের আশা পূরণ হলে মাজারে এটা সেটা দেয়। আপনার পাশের বাসার চাচার নাতি হয়েছে এবং সেজন্য মহাস্থানগড় মাজারে ছাগল দিয়েছে তাহলে। তবে ছেলে মেয়ে কোনো ব্যাপার না। সুস্থ সন্তান হওয়াটাই বড় ব্যাপার। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

আমার কাছেও এটা মনে হয় ছেলে মেয়ে কোনো ব্যাপার না। সুস্থ সন্তান হওয়াটাই বড় ব্যাপার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 months ago 

বিভিন্ন মাজারে বা খানকায় মান্নত করা ঠিক না। সৃষ্টিকর্তা যে সন্তান দেয়, সেটা নিয়েই খুশি থাকা উচিত। তারপরও যদি খুশি হয়ে কাউকে খাওয়াতে চাই, সেটা খারাপ না। বাড়ির বা এলাকার গরীব মানুষকে খাওয়ালে বেশি সাওয়াব পাওয়া যায়।ধন্যবাদ।

 2 months ago 

মানত করা বিষয়টা আমার খুব একটা ভালো লাগে না। যাইহোক তাদের মনের আশা পূর্ণ হয়েছিল বলে সেখানে গিয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।