অসুস্থ ভাগ্নেকে দেখতে যাওয়া
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আসলে কখন কিভাবে কে কোন বিপদে পড়বে বা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হবে তা আগে থেকে বোঝা যায় না। গ্রামে এসে ঘোরাঘুরি এবং সব মিলিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটছিল। তবে হঠাৎ করে আজকে একটা দুঃসংবাদ শোনার পর মনটা অনেক ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল। আমার চাচাতো বোনের ছেলে রোড এক্সিডেন্ট করছে বাইক নিয়ে। যদিও এ যাত্রায় বেঁচে গিয়েছে তবে অনেক আঘাত পেয়েছে হাতে পায়ে এবং মুখে।
আমার চাচাতো বোন তার বাড়িতে খুবই যেতে বলতেন আমাকে ভাবলাম এই সুযোগে বেড়ানো হবে আবার ভাগ্নেকেও দেখা হবে কারণ শোনার পর থেকে মনটা একটুও মানছিল না। খালি মনে হচ্ছিল কখন একটু দেখতে পারবো। আজকের দিনটা মোটামুটি আপনাদের ভাইয়াও একটু ফ্রি থাকে তাই তাকে বলার সাথে সাথে সেও রাজি হয়ে গেল। আমার বোনের বাড়ি পাশের গ্রামে তাই যেতে খুব একটা সময় লাগে না। এখন সমস্যা হচ্ছে আমার গ্রামের রাস্তাটা মাটির এবং বৃষ্টি আসলেই অনেক কাদা হয়। যাইহোক অনেক কষ্ট করে আমরা বিকেলবেলা একটি ভ্যাট ম্যানেজ করি।
এরপর বাজার থেকে বেশ কিছু খাবার কিনে সেখানে যাই। ভাগ্নেকে দেখার পর অনেকটাই খারাপ লাগছিল কারণ হাত পা একদম ছিলে গেছে। অনেক বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে বাইক জিনিসটা আমার একদমই পছন্দ না। যাই হোক আমাদেরকে দেখে আমার বোন অনেক রান্নাবান্নার আয়োজন করছিলেন। যদিও অনেকবার নিষেধ করেছিলাম কিন্তু শোনেনি। ভাগ্নে আমাদেরকে দেখে অনেকটাই খুশি হয়েছিল।এরপর আপনাদের ভাইয়া তার সব ঔষধপত্র গুলো ভালোভাবে দেখছিলেন এবং ভালো ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।
আমাদের বাসায় আসতে আসতে রাত প্রায় 9 টা বেজে গিয়েছিল। কারণ রান্নাবান্না করার পর আমরা রাতের খাবার খেয়ে এসেছি। আমার মনে হয় কম বয়সী ছেলেরা বাইকে উঠলে তাদের মাথা ঠিক থাকে না। করাভাবে নিষেধ করেছি যেন আমার ভাগ্নেকে আর বাইক না দেওয়া হয়।আমার বোন তো ভীষণ ভেঙ্গে পড়েছেন। কারণ তার একটাই ছেলে। খালি বারবার বলছেন কিছু হয়ে গেলে আমি কি নিয়ে বাঁচতাম। যাইহোক সবাই আমার ভাগ্নের জন্য দোয়া করবেন যেন ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলেছেন আপু বাইক চালানো আমারও একদম পছন্দ না । যদিও আমার ভাইও নতুন একটি বাইক কিনেছে আমাদেরও সবসময় টেনশনে থাকতে হচ্ছে কিন্তু কিছুতেই তাকে মানানো যাচ্ছিল না সে কিনেই নিয়েছে । আপনার ভাগ্নে অল্পের ভিতর দিয়ে বেঁচে গিয়েছে। ঠিকই তো বলেছে আপনার বোন একটি মাত্র ছেলে যদি আল্লাহ না করুক কিছু হয়ে যেতে তাহলে তো বিপদ হয়ে যেত । ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্টটি পড়ে ।
আমরা যাওয়ার পরও আমার বোন অনেক কান্নাকাটি করেছিল। অনেক সান্তনা দিতে হয়েছিল তাকে। ব্যক্তিগতভাবে কেন জানিনা এই জিনিসটা আমার একদম পছন্দ না। যাইহোক আপনার ভাইকে সাবধানে থাকতে বলবেন আপু।
আপনার ভাগ্নের দুর্ঘটনার কথা শুনে দু:খিত হলাম আপু। পরিবারের কারো এমন দুর্ঘটনা ঘটলে সবার মন একদম ভেঙ্গে যায়। আশা ও প্রার্থনা করি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমেই আপনার ভাগ্নের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আপু। শুভ ভাইয়ের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম আপনার ভাগ্নে বাইক এক্সিডেন্ট করেছে। তবে কপাল ভালো খারাপ কিছু হয়নি। কারণ বাইক এক্সিডেন্ট খুবই মারাত্মক। আসলে আত্নীয় স্বজন অসুস্থ হলে না গিয়ে থাকা যায় না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া কপাল ভালো তাই এই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছে। তা না হলে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ভাইয়া।
আসলে বাইক জিনিসটা আমার কাছে ও ভীষণ ভয়ঙ্কর লাগে ।এতে দুর্ঘটনা হলে বেশ জটিল আকার ধারণ করে। যাই হোক আপনার ভাগ্নের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ব্যাপারটা শুনে বেশ ভালো লাগলো ।পরবর্তীতে যেন আরো বেশি সাবধান হয় সেই দোয়া করি। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
আমার ভাগ্নে বাবা-মার একমাত্র সন্তান। আমার মনে হয় না আমার বোন দ্বিতীয়বার তাকে আর বাইক চালাতে দিবে। তারপরও সাবধান করে দিয়ে এসেছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমে আপনার ভাগ্নের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আপু। পরিবারের কারো এমন দুর্ঘটনা হলে সবার মন অনেক খারাপ থাকে। বাইক এক্সিডেন্ট খুবই মারাত্মক। যাই হোক আপনার ভাগ্নের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ব্যাপারটা শুনে খুবই ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু পরিবারের যে কেউ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে সেটা জানার পর খুবই খারাপ লাগে। তাই তো অনেক ব্যস্ত থাকার পরও তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে অবশ্যই আমাদের সেখানে যাওয়া উচিত।