ছেলের অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
আজ সারাটা দিন বেশ ভালই কেটেছে। যদিও খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। টানা দু মাস থেকে বাড়ির কাজ চলছে। আর বাড়ির কাজ শুরু করলে কতটা ব্যস্ত থাকতে হয় সেটা আমাদের সবারই জানা। গ্রামে এসে বাবুর দেখাশোনা সেভাবে করতে হয় না কারণ ও সবসময় সবার সাথে খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কখন কি খাচ্ছে সেদিকে ও খুব একটা খেয়াল রাখতে পারছি না। ওর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে আমার খুব ভালোভাবে জানা আছে। তাই যে কোনো খাবার সে খেতে চায়না। আমরা যারা শহরে থাকি তাদের খাদ্যাভ্যাসের সাথে গ্রামের মানুষের খাদ্যাভ্যাস একদমই মিলবে না এটাই স্বাভাবিক।
আর আমার ছেলে বাহিরের খাবারগুলো খেতে খুব একটা পছন্দ করত না আর আমিও সেভাবে ওকে বাহিরের খাবারগুলো দিতাম না। সব সময় আমি ঘরে তৈরি করা খাবার তাকে দিতাম। কিন্তু এখানে আসার পর ও প্রচুর পরিমাণে বাহিরের খাবার খাচ্ছে। বিশেষ করে এখানে আদর করে ওকে অনেকেই অনেক খাবার দেয় ও সেটা খেয়ে ফেলে। আর আমি এতই ব্যস্ত থাকি যে সেগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে পারছিলাম না।
আজ বাবু সারাদিন বেশ ভালোই ছিল সুস্থ ছিল। কিন্তু সন্ধ্যার পর হঠাৎ বাবু বমি করে। বিষয়টা দেখে আমি খুবই ভয় পেয়ে যাই টানা তিনবার বাবু বমি করার পর খুবই ভয়ে ছিলাম। এবার ছোট বোনকে জিজ্ঞেস করলাম বাবু সারাদিন কি খেয়েছে। তখন আমার ছোট বোন বলল তারা আজ বেশ কয়েকজন মিলে চড়ুইভাতী খেয়েছে খিচুড়ি রান্না করে। আর বাবু সেই খিচুড়ি খেয়েছে। আমার ছেলেটা ছোটবেলা থেকে খিচুড়ি খেতে একদমই পছন্দ করে না আর ওর হজম হয় না। খিচুড়ি খাওয়ার কথা শোনার পর আমার আর বুঝতে বাকি রইল না বিষয়টা কেন হয়েছে আর কেনই বা বাবু বমি করছে।
যাইহোক সাথে সাথে বাবুর বাবাকে বাজারে পাঠিয়ে ঔষধ এনে খাইয়ে বাবুকে ঘুমিয়ে দিয়েছি। এখন ও মোটামুটি সুস্থ আছে। আপনারা সবাই আমার বাবুর জন্য দোয়া করবেন। যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। আর আজ থেকে ওর দেখাশোনাটা আমি নিজের হাতেই করব। কারণ ও বমি করলে আমি ভীষণ ভয় পেয়ে যায়। যাইহোক আজ যেখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাড়ির কাজে হাত দিলে তখন তো ব্যস্ত সময় পার করতেই হবে সারাদিন ওটার পেছনেই লেগে থাকতে হয় । আর ছোট মানুষ যা খেয়ে অভ্যস্ত নয় সেটা হঠাৎ করে খেয়েছে এজন্যই পেটের সমস্যা হয়েছে । আর এরকম বমি করতে দেখলে তখন তো টেনশনেরই ব্যাপার হয়েছে । আমি হলে তো পাগল হয়ে যেতাম । যাইহোক আপু ছেলেটা যেন ভালো থাকে এই কামনাই করছি।
যাই হোক বাচ্চাদের প্রতি একটু বেশি যত্নশীল হতে হবে। কেননা এখন বাচ্চারা যদি বাইরের বিভিন্ন ধরনের মসলা জাতীয় খাবার খায় তাহলে কিন্তু এতে করে তাদের গ্যাস হয়ে যায়। আর বেশি গ্যাস হলে তারা কিন্তু বমি করে দেয়। যাইহোক আপনার বাচ্চাকে বেশি কিছুদিন ধরে একটু পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান তাহলে সে আবার পুনরায় আগের মত সুস্থ হয়ে যাবে।
হ্যাঁ দাদা চেষ্টা করছি ছেলের যত্ন নেওয়ার। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু ছেলের অসুস্থতা নিয়ে বেশ চিন্তিত । চিন্তা করবেন না নিশ্চয়ই খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। পেটের সমস্যা তাড়াতাড়ি সেরে যাবে নিশ্চয় সৃষ্টিকর্তা কাছে এই প্রার্থনা করি। ছেলেকে ভালো কিছু খাওয়ান আর তার প্রতি বিশেষ নজর রাখেন তাহলে নিশ্চয়ই সুস্থ হয়ে উঠবে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার ছেলে সুস্থতা কামনা করার জন্য।
আপনার বেশ ব্যস্তভাবে সময় কাটছে সেটা বুঝতে পারছি। কিন্তু আপনার ছেলের দিকে একটু খেয়াল রাখা উচিত। বিশেষ করে খাবারের দিকটা। কারণ এটা বেশ সেন্সিটিভ একটা বিষয়। যাইহোক আশাকরি খুব সিরিয়াস কিছু না। দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে।
দোয়া রাখবেন ভাইয়া খুব তাড়াতাড়ি যেন বাবু সুস্থ হয়ে ওঠে। ধন্যবাদ।
বাড়ির কাজ করালে তো প্রচুর ব্যস্ত থাকতে হয়। খাওয়া দাওয়া করার টাইম পর্যন্ত পাওয়া যায় না। তবুও শত ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করবেন শায়ানের দিকে খেয়াল রাখতে। বাচ্চারা কয়েকবার বমি করলে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। যাইহোক শায়ানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জ্বি ভাইয়া চেষ্টা করছি বাবুর খেয়াল রাখার। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ছেলে মেয়ে অসুস্থ হলে মামা-বাবাদের অনেক টেনশন হয়। রাতে ঘুম হয় না। আর বাচ্ছারা অসুস্থ হলে অল্পতে দুর্বল হয়ে যায়। সে জন্য টেনশন হয় বেশি। বাচ্চারা অসুস্থ হলে হাত পা ছেড়ে দেয়। খেলাধুলা করে না, খেতেও চাই না। যায়হোক সব বাচ্চারা যেন সুস্থ থাকে সেই কামনা করি। ধন্যবাদ।
সন্তান অসুস্থ হলে কোনো বাবা মারই মন ভালো থাকে না। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।