ছেলেকে নিয়ে ব্যস্তময় দিন কাটছে
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম।ইচ্ছে করে সবসময়ই আপনাদের সাথে নতুন নতুন কিছু শেয়ার করি। সেটা হোক রেসিপি কিংবা বিভিন্ন ধরনের ডাইপোস্টগুলো। যদিও আমি খুব ভালো আর্ট করতে পারিনা তবে টুকটাক যতোটুকু পারি চলে আরকি।কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলাতে পারি না। কিভাবে যে দিন পার করছি একমাত্র আমিই জানি। যাদের ঘরে ছোট বাচ্চা আছে এবং একা দেখাশোনা করতে হয় তারা জানেন ছোট বাচ্চা থাকলে কোন কাজই ঠিক মতো করা যায় না।আর যদি সেই বাচ্চা এক্সট্রা লেভেলের দুষ্টু হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। আমার ছেলেটা হয়েছে তেমন ও একটু বেশিই দুষ্ট। যাইহোক সকাল থেকে বেশ কয়েকবার লিখতে বসেছিলাম। কিন্তু প্রত্যেকবারই এটা চাই ওটা চাই বারবার বিরক্ত করছিল। তাই আর লেখা হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার হ্যাংআউট হচ্ছে। বেশ কয়েকবার হ্যাংআউট এ যুক্ত হলাম কিন্তু সে বারবার গিয়ে আপনাদের ভাইয়াকে বিরক্ত করছিল তাই বাধ্য হয়ে হ্যাংআউট থেকে বের হয়ে তাকে সামলাতে হচ্ছে। আসলে কিছুই করার নেই এভাবে হয়তো চলতে হবে আরো বেশ কয়েক মাস। গ্রামের বাড়ি এখনো সম্পন্ন হয়নি বর্ষার জন্য কাজ বন্ধ রেখেছি। বিশেষ করে আমার গ্রামে যাওয়ার কারণ হচ্ছে বাবু। কারণ আমি ঠিকমত সংসারের কাজও করতে পারি না এবং কমিউনিটির কাজও করতে পারি না। মাঝখান থেকে মন মেজাজ অনেকটা খারাপ হয়ে যায়।
আজ দুপুর বেলা বাবুর বাবার সঙ্গে অনেকক্ষণ ঝগড়া করেছি। আসলে একটা মানুষ এভাবে কখনো চলতে পারে না। যখন লিখতে বসেছি তখনো বেশ বিরক্ত করছে। বারবার আপনাদের ভাইয়ের কাছে যাচ্ছে আর আমি বারবার ফিরিয়ে আনছি। আমি মনে হয় দু'ঘণ্টা ধরে এই পোস্টটি লিখছি। আমাকে অনেকেই বলে বাচ্চা মানুষ করা কি এমন কষ্টের কাজ। তারা নাকি একসঙ্গে দু তিনটা বাচ্চা মানুষ করেছে। ভাইরে সব বাচ্চা তো আর এক না। আমার মনে হয় এখনকার বাচ্চারা একটু বেশি অ্যাডভান্স।
আমার বাবুকে অনেকে বাইরে থেকে দেখলে বলে খুব শান্ত। কিন্তু ওকে যারা কাছ থেকে দেখেছে তারা আমাকে রীতিমতো বলে আমি কিভাবে সহ্য করি। আমার তো পাগল হয়ে যাওয়ার কথা। বিশ্বাস করেন আমি অনেকটাই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছি। যার কারণে কিছুদিন পর পরই মায়ের কাছে চলে যাই।অন্তত কিছুদিন আমি ছুটি পাই। যাইহোক এভাবেই চলছে আমার দিনগুলো। কবে একটু বড় হবে কবে একটু বুঝবে এই আশায় দিন গুনছি এখন।
আপনারা সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আর এই দোয়া বেশি বেশি করে করবেন যেন ও একটু হলেও শান্ত হয়। যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে একা একা বাচ্চা সামলানো খুবই কষ্টের আপু। যাদের কাছে কোন হেল্প পাওয়ার মত কেউ থাকেনা তাদের জন্য বেশি কষ্টকর। বিশেষ করে আমি বুঝি কিভাবে বাচ্চা সামলিয়ে সংসারের কাজ করা। আর সব সামলিয়ে কমিউনিটির কাজগুলো করি। মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত লাগে আপু। যাক শত ব্যস্ততার মাঝেও কষ্ট করে অবশেষে আপনি পোস্ট শেয়ার করলেন। আপনি তো গ্রামে গেলেই মায়ের কাছে যেতে পারেন। আসলে মা থাকলে কিছুটা হলেও শান্তি পাওয়া যায়। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো আপু।
হ্যাঁ আপু যখন খুব বিরক্ত হয়ে যাই তখন গ্রামে মায়ের কাছে চলে যাই।সেখানে গেলে অনেক শান্তি পাই। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আপু বাচ্চা সামলানো খুব একটা সহজ কাজ নয় ৷ আজকালকার বাচ্চারা একটু বেশিই দুষ্টুমি করে ৷ আমারও ছোট্ট একটা ভাতিজা আছে ৷ সেও ভীষণ দুষ্টু , তাকে দেখে আপনার বিষয়টা অনুভব করতে পারছি ৷ বাচ্চা সাথে নিয়ে সংসারের কাজ আবার এসব কাজ করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য ৷ সব মিলিয়ে আপনি বেশ ভালোই চাপের মাঝে আছেন ৷ যাই হোক আপু , বাবুকে সময় দিন ৷ সে তো অনেকটাই বড় হয়েছে ৷
আমার মনে হয় ও দিন দিন বড় হচ্ছে আর দুষ্টুমি গুলো বেড়ে যাচ্ছে। কি আর করার এভাবেই চলতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু সব বাচ্চারা দুষ্টামি করে। আর ছোট বাচ্চা একা সামলানো অনেক কষ্টকর। বিশেষ করে তাদেরকে সবাই একটু দেখাশোনা করলে ভালো হয় বাচ্চাদের। আর আমাদের ভাই বাচ্চাকে বেশি ভালোবাসে এই কারণে বাচ্চা তার বাবার কাছে বারবার যেতে চায়। তবে আবার শহরে বাসা গুলোতে ছেলেমেয়েদের রাখা কষ্টকর। কারণ গ্রাম বাড়িতে কেউ না কেউ থাকে আর বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পছন্দ করে। আর আপনার পোস্ট পড়ে বোঝা যাচ্ছে আপনি বাচ্চা এবং সংসার নিয়ে অনেক ব্যস্ততার মাঝে আছেন। আর আপু আপনার বাচ্চার জন্য দোয়া রইলো।
হ্যাঁ আপু গ্রামে কেউ নাকি বাবুকে দেখে কিন্তু শহরে কেউ কারো খোঁজ রাখেনা।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ছেলে বাচ্চা গুলো একটু বেশীই দুষ্ট হয় আপু।আমিও আপনার মতো এই সমস্যায় ছিলাম।আজ কিছুটা স্বস্তিতে আছি।তবে আজ আমি ভাবি বাচ্চা যত সময় ছোট থাকে ততো সময়ই ভালো।সে ঘরে নিজের আয়ত্বে থাকে।কিন্তু বড় হলে আয়ত্বের বাইরে যেতে থাকে।এখন অবশ্য যন্ত্রণা সহ্য হয় না তাই বলি আমরা কবে বড় হবে একটু শান্তি পাবো।আমার আম্মু সব সময় বলে বাচ্চা ছোট বেলা দুষ্ট হলে ভালো। বড় হলে শান্ত হবে।🤣
বাচ্চারা যখনই হাঁটতে শুরু করবে তখনই তাদের দুষ্টুমি বেড়েই যাবে। আমাকেও সবাই একই কথা বলে আপু এখন দুষ্ট বড় হলে শান্ত হবে।
আপনার বাবুকে দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। ছোট বাচ্চারা একটু দুষ্টামি করবে এইটাই স্বাভাবিক। আসলে আপু পরিবার এবং বাচ্চা সামলানো সত্যি বেশ কষ্টকর। পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারছি আপনি বেশ কাজের চাপের মধ্যে আছেন। আশা করি নিশ্চয়ই আপনি আবার স্বাভাবিক সময়ের মধ্যে ফিরে আসবেন। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বাবুকে নিয়ে খুবই কাজের চাপে আছি ভাইয়া। একদিকে বাসার কাজ অন্যদিকে বাবুকে দেখাশোনা তার ওপর আবার কমিউনিটির কাজ। সব মিলিয়ে খুবই ব্যস্ত ময় দিন যায়।যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
ছোট বাচ্চা দুষ্টমী করবে এটাই স্বাভাবিক। একদমই ঠিক বলেছেন আগের দিনের দশটা বাচ্চার সমান বর্তমান সময়ের একটি বাচ্চা আর এটাই বাস্তব যে সব বাচ্চা সমান হয় না।গ্রামে গেলে একটু স্বস্তি পাবেন খোলামেলা পরিবেশে থাকলে কম জ্বালাবে বাচ্চা। দু ঘন্টা লেগেছে একটি পোস্ট লিখতে তা থেকে বুঝতে পারলাম কতো টা অসুবিধার মধ্যে আছেন। বাবার বাড়িতে গেলে সত্যি স্বস্তি পাওয়া যায় সব দিক থেকেই। সব ঠিক হয়ে যাবে আপু একটু সময়ের অপেক্ষা শুধু। শুভকামনা রইলো বাবুর জন্য। ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমার আব্বু নাকি ছোটবেলায় অনেক দুষ্ট ছিলেন, কিন্তু বড় হওয়ার পর শান্ত হয়ে গিয়েছে। আমার দাদা দাদীর মুখ থেকে এটাই শুনেছিলাম। যাইহোক শায়ান বড় হলে ঠিকই শান্ত হয়ে যাবে। এখনকার বাচ্চারা আসলেই খুব অ্যাডভান্স। তাইতো বর্তমানে বাচ্চাদের লালন পালন করাটা বেশ কঠিন একটি কাজ। আশা করি গ্রামে সেটেল্ড হয়ে গেলে কিছুটা স্বস্তি পাবেন। তখন আবার কমিউনিটির সব কাজ ঠিকঠাক মতো করতে পারবেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু বাচ্চারা চঞ্চল হলে তাকে ম্যানেজ করা সত্যিই ভীষণ কষ্টকর হয়ে যায়। আর ছেলে বাচ্চারা একটু দুষ্টু প্রকৃতিরই হয়। এভাবেই মানিয়ে নিতে হবে ।আর মায়ের কাছে গেলে সব সময়ই নিজে একটু রিলাক্স মোডে থাকা যায় ।আমার মেয়ে যখন ছোট ছিল আমিও কয়েকদিন পরপরই মায়ের কাছে যেতাম ছুটি কাটাতে।এখন আর সেই সুযোগ হয় না।আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।