দীর্ঘদিন পর দাদু-নাতির দেখা❤️
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম।দাদা দাদি নানা-নানীর সাথে নাতি-নাতনীর সম্পর্ক অন্যান্য সম্পর্ক গুলো থেকে একটু আলাদা এবং মধুর। আজ দীর্ঘদিন পর আমার ছেলের তার দাদুর সঙ্গে দেখা হয়েছে। তারা দুজনেই কতটা খুশি সেটা হয়তো আপনারা ফটোগ্রাফি গুলোতে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন। আসলে এখন সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত যেহেতু আমার শ্বশুর একজন সরকারি চাকরিজীবী তাই সারাদিন অফিসেই থাকেন। আমার শাশুড়ি মাও প্রাইমারির প্রধান শিক্ষিকা। তারা দুজনে কেউ পরিবারকে সেই রকম ভাবে সময় দিতে পারে না। তবে আমরা মাঝেমধ্যেই চেষ্টা করতাম বাবুকে তার দাদা দাদির কাছে নিয়ে যাওয়ার।
অনেকেই জানেন আমরা গ্রামে বাড়ি করেছি। বেশ কয়েক মাস থেকে শায়ান তার দাদুকে দেখেনি। মোবাইলে ভিডিও কলে কথা হয়েছে। আজ হঠাৎ করে বিকেল বেলা দেখলাম আমার শশুর এবং শাশুড়ি আমার গ্রামের বাড়িতে এসে হাজির। প্রথমত আমি তাদেরকে দেখে খুবই অবাক হয়েছিলাম কেননা তারা আমাদের ওপরে একটু অভিমান করেছিল।সেই অভিমান ভুলে যে আমার বাড়িতে বেড়াতে আসবেন এটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।তারা বলছিলেন তাদের নাতিকে তাদের খুবই দেখতে ইচ্ছে করছিল। তাই আর অভিমান করে দূরে থাকতে পারলেন না।
এরপর তারা অনেকক্ষণ সময় কাটিয়েছে একসাথে। বাবু তো খুবই খুশি তার দাদুকে কাছে পেয়ে সে তার সব খেলনা দাদুকে দেখাচ্ছিল একটা একটা করে। বারবার আমাকে বলছিল আমার দাদু ভাই, আমার দাদু ভাই। এ ভালোলাগা যে কতটা সেটা হয়তো আমি আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারছি না। তার দাদুও তার সাথে থাকতে পেরে অনেক খুশি। সত্যি এই সুন্দর সম্পর্ক গুলো দেখতেও ভালো লাগে। দুজনে অফিস আছে তাই ইচ্ছে থাকলেও তাদেরকে রাখতে পারিনি। বাবুর সঙ্গে সময় কাটিয়ে তারা সন্ধ্যার পর বাসায় চলে গিয়েছেন।
খুব শিগ্রই আমরাও বাবুকে নিয়ে তার দাদু বাড়িতে যাব ঘুরতে। আমার পরিবারের জন্য সবাই দোয়া রাখবেন যেন সবাই একসাথে অনেক ভালো থাকতে পারি। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
# ❤️আমার পরিচয়❤️আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
সায়ান বাবু তার দাদুভাই কে দেখে সত্যি অনেক খুশি হয়েছে। আপনারা খুব শীঘ্রই তার দাদু বাড়িতে বেড়াতে যাবেন জেনে ভালো লাগলো আপু। আসলে বাচ্চারা প্রিয় মানুষদের দেখলে অনেক খুশি হয়ে যায়। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টে দেখে।
আমার দাদু ও আমাকে ডাকছে আমার পরীক্ষা শেষ জন্য। আসলে তাদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পাওয়া যায় তা অমুল্য। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
দীর্ঘদিন পর দেখা মানেই আনন্দ। যেহেতু দাদু আর নাতির একসাথে দেখা। তাই তাদের মধ্যে অন্যরকম ভালোলাগা এবং মায়া-মমতা বিনিময় হয়েছে। আর দেখে তো বুঝতে পারছি বাবুকে কি সুন্দর করে গাড়িতে তুলে নিয়েছে। বাবুর খেলনা গাড়িটা একটু বেশি বড়। আশা করি অনেক অনেক আনন্দের সময় ছিল এটা।
দাদু নাতির এমন সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন আপু। সত্যি ওদের মুহূর্তগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। কত সুন্দর আন্তরিক তারা দুইজনে খেলাধুলা করছে। একে অপরের সাথে সুন্দরভাবে সময় কাটাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
বাবারা সন্তানের উপর যতই অভিমান করে থাকুক না কেন নাতি নাতনিদের উপর অভিমান করে থাকতে পারেনা। এজন্যই তো আপনার শ্বশুর সব অভিমান ভুলে আপনাদের বাড়িতে গিয়েছে নাতির সঙ্গে দেখা করার জন্য। আর বাচ্চারা দাদা দাদির সঙ্গে সময় কাটাতে এমনিতেই পছন্দ করে। ভালো লাগলো ওদের সুন্দর মুহূর্ত দেখে।