আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা- ১১||শীতকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্য||১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
মনের ভেতরে তৈরি হয়েছিল
মায়া মিশ্রিত সুদূর কোনো বংশীধ্বনি।
যা আমার ঘুমের স্বপ্নে ব্যাঘাত দিয়েছে বহুবার।
ছুটে গিয়েছিলাম বার বার দরজার সম্মুখ পানে।
উত্তেজনা ছিল আমার আত্মিক প্রকৃতিকে দেখবার।
যা আমার চোখের নাগালে থেকেও ছিল অ দেখা।
হাতের নাগালে থেকেও এতদিন ছিল অধরা।
প্রথমেই প্রিয় @rme দাদার জন্য রইলো তার এই ছোট বোনের অঢেল ভালোবাসা।দাদার জন্য আজ কতকিছুর যে অভিজ্ঞতা হলো,সেই অনুভূতি আমি ভাষায় ব্যক্ত করতে পারব না।দাদার আয়োজিত শীতকালীন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার পোস্টটি যখন পড়লাম আমি ভাবতে পারিনি যে এই প্রতিযোগিতাটির জন্য আমি এত কিছু করে বসবো ।
শীতকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের কথা মাথায় আসলেই গ্রামের কথা মনে পড়ে, শহরে থেকে আমরা যা থেকে বঞ্চিত থাকি, সেখানে গ্রাম আমাদের চোখের সামনে প্রকৃতি কে উজাড় করে দেয়।
তাই তো ভোর ৪ টে নাগাদ উঠে ,আমার মা আর পাশের বাড়ির বৌদি কে জোর করে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে আমাদের গাড়ি করে রওনা হয়েছিলাম এক অপূর্ব সৌন্দর্যে। শীতের কাঁপুনি আটকে রাখতে পারেনি আমার দুটো পা আর মনের এই প্রবল বাঞ্ছা কে ।
সেই সৌন্দর্য্য আমাকে এতই মুগ্ধ করেছে যে নিজের অজান্তেই আমার অনুভূতি ভাষায় রূপ নিয়েছে । চলুন তাহলে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিই - শীতকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আর আমার অনুভুতিগুলো -
খুঁজতে বেরিয়েছিলাম আমার নিঃশ্বাস।
আবছা জগতে মিশে যাচ্ছিল
গাড়ির হেডলাইটের আলো গুলো।
গুটি কয়েক মানুষের ভিড়ে বর্তমান ছিলাম-
আমি ও আমার হাড় কাঁপানো শীত।
সূর্যি মামা ঘুম ভাঙতে আলসেমি করে চলেছে।
গুটি গুটি পায়ে ঢুকে পড়েছিলাম
আমার চেনা জগতের একদম অচেনা শহরে।
প্রিয় বাহুডোরের উষ্ণতার মতো।
হিমের মাঝে পুড়ছে ব্যথা।
অকালে বৃষ্টি পড়েছে কতো!
সুগন্ধের কোনো চাবিকাঠি।
হাঁড়ি পোড়ানো ধোঁয়ার নেশায়
জিরানো কাঠের রসে মাতি।
নতুন সকালের বাহানায়।
খেজুরের বনে ধোঁয়া মিশে যায়
জীবন শেষের ঠিকানায়।
কোন অসীমতার খোঁজে।
জীবনের সমাপ্তি এখানে,
প্রকৃতিই শুধু বোঝে।
হাঁড়ি ঝুলেছে গাছে।
পাপের ভরা যেমনি ভরে
এই প্রকৃতির মাঝে।
সরষে গাছে শিশির জমা।
ঘ্রাণের ছোঁয়ায় দিচ্ছে উঁকি
আকাশ দেখার মনোরমা।
যাত্রা শুরু বহুজনের।
সূর্যি আমার চোখ কেড়েছে,
যা দৃষ্টি ছিল এক মনের।
গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে ।
আমার সকাল দিচ্ছে উঁকি
কুয়াশা ঘেরা মাঠের ডাকে।
তোমায় দেখব বলে,
বহু লুকোচুরি খেলেছো তুমি।
এবার তো একটু বিশ্রাম নাও,
তোমায় দেখার সুযোগ দাও।
সে অপেক্ষা করছিলো শুধু আমার জন্য।
ফসকে পড়ে যায়নি একবারও।
সারা টা রাত একই ভাবে রয়ে গেছে সে।
বাঁধন ধরে শিউলি করছে খেলা।
রসের রহর মনের ভেতর
লোভের হাঁড়ি বেঁধেছে সে মেলা।
খেজুর গাছে লাগছে দায়ের আঘাত।
কাটছে রসের রাস্তা টুকু
বাঁধছে হাঁড়ি দুপুর নাগাদ।
শীতের বাতাস জড়িয়ে ,আমার শরীরে।
ফসল গুলো ডাকছিল নাম ধরে,
চলেছিলাম হেঁটে, কোনো গভীর ঘোরে।
উল্লেখ্য এই পোস্টের প্রতিটি ছবি কোনো রকম এডিটিং ছাড়াই শেয়ার করেছি।পোস্টের একদম শুরুতে কবিতাটি এবং প্রতি ছবির নীচে লেখা কবিতাগুলি স্বরচিত।
না চাইতেও বেশ অনেকগুলো ফটোগ্রাফী শেয়ার করে ফেললাম, ইচ্ছা করছিলো আরো কিছু ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিই, প্রকৃতি যে কতই অপরূপ ,তার দেখার সুযোগ করে দিয়েছে আমাদের দাদা, দাদার জন্যই প্রকৃতির মায়া ময় সৌন্দর্য্য কে নিজের চোখ দিয়ে ছুঁতে পেরেছি।
ডিভাইস | স্যামসং গ্যালাক্সি এ ফিফটি টু |
---|---|
লোকেশন | পানিনালা, ভান্ডার খোলা, নদীয়া (https://maps.app.goo.gl/i4stjisvLHpz1sb6A) |
বিষয় | শীতকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি |
খুব ভালো লেগেছে পুরো কাজ টা নিজের মতন করে করতে পেরে, আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের মন জয় করবে। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
@isha.ish
বাহ কি তাল মেল।কবিতা আর ফটোগ্রাফিতে একাকার অবস্থা।আর প্রত্যেকটা ছবির সাথে কি সুন্দর মিল করে কবিতার লাইন গুলও মিলিয়েছেন।বেশ উপভোগ করলাম পুরো পোস্টটি।শুভকামনা রইলো আপু প্রযোগীতায় আপনার জন্য
অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকবেন।
আপনার তোলা প্রথম ছবিটা আমার কাছে আইকনিক মনে হল। ছবিটি যেমন সুন্দর তেমনি আবার ভয়ংকর মনে হচ্ছে। হেডলাইটের আলোয় হরর ছবির কোন দৃশ্যের মত লাগছে।আর খেজুর রসের কথা কি আর বলব। অনেক খুজেও এলাকার আশেপাশে একটি গাছও পেলাম না যেখান থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হচ্ছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ও বলতে ভুলে গেছি অসাধারণ ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো
প্রতিটা ছবি অসাধারন হয়েছে। মন সত্যি জুরিয়ে গেল।
তবে এই ছবিটি বেস্ট ছিলো। শুভ কামনা আপনার জন্য।
ওয়াও দিদি আপনার ফটোগ্রাফির প্রশংসা না করে পারলাম না !! অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন । ভোর চারটায় ছ আপনি ঘুম ভেঙ্গে একটি গ্রামে গিয়ে শীতের ফটোগ্রাফি করেছেন যেটা খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে । কারণ শীতের বেলা এত সকালে ঘুম থেকে উঠাই কষ্টকর হয়ে পড়ে । ফটোগ্রাফির সাথে লেখনি গুলো খুব সুন্দর করে লিখেছেন ❤️ ।অসাধারণ ছিল এক কথায় দিদি । ধন্যবাদ
সত্যিই কষ্টকর, কিন্তু শীত আমার প্রিয় ঋতু । তাই কষ্ট হলেও মজা আছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি আপনার ফটো গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। শীতকালীন যে পরিবেশ হয় অর্থাৎ খেজুরের রস নিয়ে যে পরিবেশ তৈরি হয় সেই পরিবেশের আপনি অসম্ভব সুন্দর ছবিগুলো তুলেছেন। আমার কাছে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে এই ছবিগুলো। কবিতা গুলোও খুব সুন্দর হয়েছে দিদি। সবাই মিলে যেভাবে আগুন পোহাচ্ছে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে ।অনেক অনেক ধন্যবাদ ছবিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি আপনার প্রত্যেকটা ফটো মনে হচ্ছে জীবন্ত এক একটা ফটো এক এক ভাষায় কথা বলছে বিশেষ করে আগুন পোহানো এবং খেজুরের রস সংগ্রহের দৃশ্যগুলো বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দিদি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে শীতকালের পুরো চিত্র ফুটে উঠেছে। শীতকালের সবথেকে সৌন্দর্য হচ্ছে সকাল বেলা যখন খেজুরের রস খাওয়া যায় এ এক অন্যরকম অনুভূতি। তাছাড়া প্রচণ্ড শীতের বেলায় খরকুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাতে তাপ নেওয়া আমার বেশ ভালো লাগে। আপনি যে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার ভালো লেগেছে আমি মুগ্ধ হয়েছি। ধন্যবাদ দিদি।
আর কবিতা গুলো? 😣
দিদি তোমার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফিতে পুরো শীতকাল তুলে ধরেছো। ফটোগ্রাফি গুলো এত সুন্দর হয়েছে যে আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তুমি এত ভোরে উঠলে কি করে আমি তো উঠতেই পারিনা তারপর আবার এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি যা আমার কল্পনার বাইরে। দিদি তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল এবং আমার ভালোবাসা নিও। ❤️❤️❤️
বৌদি, নতুন কিছু দেখার উত্তেজনা থাকলে এমনি করেই ঘুম ভেঙে যায়, যখন মামার বাড়ি যাওয়া অথবা ঘুরতে যাওয়ার প্রশ্ন ওঠে, আমার তো ঘুম ই আসেনা।
হ্যাঁ বৌদি, যেহেতু প্রতিযোগিতা শীত এর প্রাকৃতিক দৃশ্যের ওপর, তাই ওটাতেই ফোকাস করেছি বেশি।
অনেক ধন্যবাদ বৌদি, তোমার কমেন্ট পেলে আমার মুখে একটা মিষ্টি হাসি চলে আসে। ভালবাসা নিও, আর বৌদি , কবিতা গুলো কেমন লেগেছে ?
এককথায় অসাধারণ সবকিছু 🪄
ছবিগুলো চোখ ধাঁধানো ছিল ♥️
আর কবিতা তো লা জবাব 👌
আর উপস্থাপনা তো অসাধারণ 🪄
আশাকরি ভালো কিছু হবে 💜
অগ্রিম শুভকামনা রইল 🥀
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন।