লাইফ স্টাইল :- বাজার করতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাজার করতে যাওয়ার মুহূর্ত। শুক্রবারে আমি সকাল বেলা বাজার করতে যাওয়ার জন্য চিন্তা করলাম। কারণ শুক্রবার মাদ্রাসা এবং অন্যান্য কাজ নেই। এই কারণে আমার ওয়াইফ বলতেছে শুক্রবারে বাজার করতে যেতে। যদিও আমাদের এখানে সকাল বেলা বাজারে গেলে মাছ পাওয়া যায়। শুক্রবারে আমাদের এইখানে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও হচ্ছে। তারপরও আমি বাজার করতে গেলাম। মূলত বাড়িতে আজও সবজি তরকারি কিছু নেই। আমার মা-বাবা দুইজন বৃদ্ধ তাদের জন্য মাছ অথবা মাংস সব সময় লাগে। যদিও বাজার আমাদের বাড়ি থেকে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। এরপর আমি বাড়ি থেকে রেডি হয়ে একটি অটো রিক্সা নিয়ে বাজারে গেলাম। তবে মাছ বাজারে এবং অন্যান্য জিনিসের বাজারের দিকে বৃষ্টির কারণে যাওয়া যাচ্ছে না।
তারপর একটু বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর আমি মাছ বাজারে গেলাম। যদিও ওই সময় আকাশ মেঘলা ছিল অনেকটা অন্ধকারের মত। তবে ঐদিন শুক্রবারে বাজারে মাছ একদম কম ছিল । তবে যেই মাছগুলো ছিল ওই মাছের দাম অতিরিক্ত ছিলেন। সাধারণত পাঙ্গাস মাছ দেড়শ টাকার নিচে হয়। ঐদিন ১৮০ এবং ১৯০ টাকা করে পাংকাস মাছ বিক্রি করতেছে। আর কিছু ইলিশ মাছ ছিল ইলিশ মাছের কিলো ১৮০০ টাকা করে বিক্রি করতেছে। এবং মাছের কাস্টমার ছিল অনেক কিন্তু মাছ ছিল না। এই কারণে মাছের ব্যবসায়ীরা মাছগুলো নিয়ে বসে রইল টাকা কমে বিক্রি করতেছেনা। যদিও আমি কয়েকবার মাছগুলো দরদাম করার চেষ্টা করেছিলাম।
এবং মাছের ব্যবসায়ী বলতেছে এক দাম কম হবে না। তারপরে কি করার আমি তিন ধরনের মাছ কিনে নিলাম। তবে মজার বিষয় হচ্ছে ছোট ছোট চিংড়ি মাছ ছিল। এই চিংড়ি মাছ দিয়ে সবজি রান্না করলে খেতে বেশি মজা লাগে। তবে এই চিংড়ি মাছের কিলো ৫২০ টাকা করে। আসলে মানুষ কিভাবে বাজার করে খাবে এটাই বুঝা যায় না। তারপর আমি কিছু মুরগি কিনে নিলাম ফার্মের। যদিও মুরগির দাম এখন তুলনা মূলক অনেক কম। এই কারণে আমি পাঁচ কিলো মুরগি কিনে নিয়েছি। তবে আমাদের পরিবারের সবাই শুটকি ঝাল খেত খুব পছন্দ করে। তারপর আমি শুটকি দোকানে গেলাম। তবে দোকানদার আমার পরিচিত। আমার সাথে একসাথে বিদেশ ছিলেন।
এই কারণে শুটকি দোকানে গেলে আমি দরদাম করা লাগে না। শুধু শুটকি মাছ পছন্দ হলে তাকে বললেই চলে। এই কারণে আমি ওখান থেকে লইট্টা মাছের শুটকি। এবং শাফিলা মাছের শুটকি কিনেছি। যদিও মাছের চেয়ে শুটকির দাম একটু কম মনে হল আমার কাছে। আর শুটকি দিয়ে ঝাল বা কোন সবজি রান্না করলে খেতে এমনিতে বেশ মজা লাগে। আর আমি সবসময় চেষ্টা করি বাজারে গেলে অল্প হলেও শুটকি কিনার জন্য। এদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যাওয়াই যাচ্ছে না। আকাশ যেই ভাবে মেঘলা মনে হচ্ছে সন্ধ্যাবেলা। এরপর আমি ছোট ছোট কাঁচা বাজারে দোকানগুলোতে গেলাম। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে চারটি কাঁচা কলা ৬০ টাকা করে বিক্রি করতেছে।
এবং অন্যান্য সবজির দাম অনেক বেশি। তবে আমার কাছে কচুর মোয়া নামে একটি সবজি খুব ভালো লাগলো। আর এগুলো দিয়ে মাংস রান্না করলে খেতে বেশ মজাই লাগে। আমি দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম এই কচুর মোয়া কত করে। লোকটি আমাকে বলতেছে এক কিলো ৩০ টাকা করে আর ৪ কিলো একশো টাকা। এরপর আমি তার থেকে ১০০ টাকার কচুর মোয়া কিনে নিলাম। যদিও আমরা এগুলোকে কচুর মোয়া বলে থাকি। তবে কাঁচা মরিচের দাম শুনলে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যাবে। কারণ কাঁচা মরিচের দাম অতিরিক্ত। এরপর আমি আরো কিছু কাঁচা সবজি কিনে নিলাম। এবং আসার সময় আমার মেয়ের জন্য ২ কিলো আম কিনে নিলাম।এই মুহূর্তে বাজার করতে গেলে মানুষ এমনিতে অজ্ঞান হয়ে যাবে। কারণ সবগুলোর দাম এত বেশি বলে বোঝানো যাবে না। এই হচ্ছে কাঁচা বাজার করতে যাওয়া মুহূর্ত আমার।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1809471464661504193?t=z49yy5eZfDKpbqseHXGzHA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছুটির দিনে দেখছি বেশ ভালোই বাজার করেছেন। এখন শাকসবজির দাম অনেক বেশি। শুধু শাকসবজি না বলতে গেলে বাজারের সবকিছুরই দাম অনেক বেশি। আর যাতে এখন চারদিকে বৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় বন্যা হয়েছে এই সুযোগে অনেক ব্যবসায়ীরাই সবকিছুর দাম বৃদ্ধি করেছে। যাই হোক আপনার বাজার করার মুহূর্তগুলো দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন এখন শাকসবজির দাম অনেক বেশি। তবে আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আসলে বাজার করতে আমার কাছে ও অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে, সেটা নিজের টাকায় নয়, বাবার টাকায়। আপনি দেখছি শুক্রবার জুমার নামাজ শেষ করে বাজার করতে গিয়েছিলেন।আর আপনি কম বেশি প্রায় সব ধরনের কেনা কাটা করেছিলেন। আসলে এই উর্ধ্বগতির বাজারে সাধারণ মানুষের একটু কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
হ্যাঁ আমি ঐদিন প্রায় অনেক ধরনের বাজার করেছি পরিবারের জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বর্তমান সময়ে বাজার খুব গরম। যত টাকাই নিমে যান না কেনো। টাকা কিন্তু ফুরিয়ে যাবে বাজার করার সময় ভাই। দিন দিন যেভাবে সব কিছুর দাম বেড়ে চলেছে। সামনের দিন গুলোতে কি হবে বোঝা যাচ্ছে না। বাজার করার অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ টাকা নিয়ে গেলে বাজার করতে টাকা আর ফিরত আসে না। এমনিতে সব কিছুর দাম অনেক ছড়া। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য শোন।
বর্তমান সময় বাজার করতে গেলে এমনিতে সবার মাথা ঘুরে। শুক্রবার বন্ধ থাকার কারণে বাজার করতে গেলেন আপনি। অনেক সময় বাজারে কাঁচামাল এবং মাছের দাম অনেক ছড়া থাকে। যদিও এখন বর্ষাকাল এই কারণে হয়তোবা কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কাঁচা সবজির দাম বেশি বিক্রি করতেছে। তবে এটি শুনে ভালো লাগলো এখন মুরগির দাম তেমন বেশি না। কিছুদিন আগেও মুরগির দাম অনেক ছিল। যাইহোক বাজার করতে গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ বাজার করতে গেলে এমনিতে সবার মাথা ঘুরে সব কিছুর দাম বেশির কারণে। ভালো লাগলো সুন্দর মন্তব্য শুনে আপনার।
ভাইয়া, বৃষ্টির দিনেও বাড়িতে বাজার না থাকায় আপনি বাজার করতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।তবে জিনিসের দাম জেনে তো আমি অবাক।এই কচুর মোয়াকে আমরা ঘটকচু বলি,তবে আমাদের এখানে পাওয়া যায় না।যাইহোক এত ছোট চিংড়ি মাছের দাম এত টাকা জেনেই আমার অবাক লাগছে ,যেখানে বাগদা চিংড়ির মতো বড় বড় সাইজের সাদা চিংড়ি মাছগুলি আমাদের এখানে 300-350 টাকা।তারপরও আপনি অনেক বাজার করেছেন জেনে ভালো লাগলো।আর কাঁচা মরিচের দাম সবজায়গায় বেশি।ভাইয়া, কাঁচা মরিচের কিলো কত করে আপনাদের দেশে?
আমাদের এইখানে কাঁচা মরিচের দাম ছিল 280 টাকা কিলো। তবে আমি প্রায় সময় শুক্রবারে বাজার করতে যাই। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ছুটির দিনে বৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও বাজার করতে যেতে হলো। ঘরে সবজি না থাকলে তো যেতে হবেই।এখন সব জায়গাতেই সব কিছুর দাম অনেক।আপনি মাছ,মুরগি আবার শুঁটকি ও নিলেন।কারন শুঁটকি মাছের ঝাল খেতে আপনারা সবাই খুব পছন্দ করেন।মেয়ের জন্য আম নিলেন।আপনার বাজার করা অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের পরিবারের সবাই শুটকি মাছের ঝাল খেতে খুব পছন্দ করে। ভালো লাগলো আপনার অসাধারণ মন্তব্য শুনে।