"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা -৬৫ || মিষ্টি পান পিঠা রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন সদস্য। আজকে আপনাদের সামনে খুব সুন্দর একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আসলাম। কিন্তু আজকে আমি একটা খুব সুন্দর রেসিপি নিয়ে এসেছি। আমার এবারের রেসিপিটা একটু অন্যরকম ভাবে তৈরি করার চেষ্টা করলাম। কারণ এটা আমি এবারের প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করেছি। আসলে শীতকালীন পিঠার তুলনা হয় না।
এজন্য আমি নিজেও শীতকালীন পিঠা খেতে খুবই পছন্দ করি। তবে বর্তমানে কিন্তু আগের মত আর পিঠাগুলো বাড়িতে তৈরি করা হয় না। তবে এবারের প্রতিযোগিতার জন্য কি বানাবো সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না। ভাবলাম আসলে ইউনিক কিছু তৈরি করি। আমাদের প্রতিনিয়ত কমন পিঠাগুলো তৈরি না করে একটু ভিন্ন ধরনের তৈরি করার চেষ্টা করলাম। আচ্ছা মিষ্টি পান আপনারা কে কে পছন্দ করেন। মিষ্টি পানের আলাদা একটা জনপ্রিয়তা ও রয়েছে। তবে এই মিষ্টি পান যদি পিঠা হিসেবে রূপান্তর করে তাহলে কেমন হবে। এই আইডিয়া মত বেশ কিছু উপকরণ ব্যবহার করে মিষ্টি পান পিঠা তৈরি করেছি। আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লেগেছে। যদিও একটু মিষ্টি বেশি হয়ে গেছিল। কিন্তু ভেতরের বাদাম এবং খেজুরের মিশ্রণটাও ভীষণ ভালো লেগেছে। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
রান্নার উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চিনা বাদাম | ২০০ গ্রাম |
কাঠবাদাম | কয়েকটা |
খেজুর | কয়েকটা |
কিসমিস | কয়েকটা |
লবণ | স্বাদমতো |
সবুজ ফুড কালার | ৩ ফোঁটা |
চিনি | পরিমাণ মত |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি সবগুলো বাদাম একটি বাটির মধ্যে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলাম খোসা গুলো তুলে নেওয়ার জন্য।
ধাপ - ২ :
এরপর খেজুর, চিনাবাদাম, কিসমিস, কাঠবাদাম সবগুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর ভিজিয়ে রাখা বাদাম গুলোর খোসা ছাড়িয়ে বাদাম গুলো সুন্দর করে বেটে করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর একটি কড়াই এর মধ্যে চিনি এবং বেটে রাখা বাদাম গুলো দিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর চিনি গুলো ভালো করে বাদামের সাথে মিশিয়ে ভালো করে নেটে চেটে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর বাদাম গুলোর সাথে সবুজ রঙের ফুড কালার সুন্দরভাবে মিশিয়ে আবারও নেড়েচেড়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর ভালো করে নেড়েচেড়ে একেবারে শুকিয়ে আটার মত করে তৈরি করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর কালারফুল বাদাম গুলোকে সুন্দর করে নিয়ে ভালো করে মেখে বড় বড় কিছু রুটি বেলে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপর চার কোনা করে রুটিগুলো কেটে ছোট ছোট টুকরো গুলোকে পানের মতো তৈরি করে মাঝখানে পুর গুলো দিয়ে নিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে সুন্দর করে মিষ্টি পান তৈরি করে নিয়ে নিলাম। আশা করি আমার এই মিষ্টি পান তৈরি রেসিপি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ইউনিক রেসিপি গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। আপনার মিষ্টি পান পিঠা রেসিপি গুলো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। এর আগে এই পিঠার নাম কখনো শুনিনি। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।।
আসলে আপু কাছে হলে তো কিছু পিঠা ফাটিয়ে দিতাম আপনার জন্য। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য শুনে।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1861662547289801073?t=Nlz4ctPgh_Lbv5f7TQf65w&s=19
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। শীতের দিনে এমনিতেই পিঠা খেতে ভালো লাগে তারপরে আপনার তৈরি বিভিন্ন ধরনের পিঠা দেখে তো আরো বেশি খেতে ইচ্ছা করছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লোভনীয় এবং ইউনিক পিঠা তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া আমি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করার চেষ্টা করেছি। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির যেকোনো প্রতিযোগিতার মানেই ভিন্ন কিছুর সাথে সাক্ষী হওয়া। শীতের মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের পিঠা রেসিপি দেখতে পাই । আপনি দেখছি ভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। সত্যিই মিষ্টি পান পিঠা রেসিপি তৈরি অসাধারণ হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার রেসিপি নিয়ে অসাধারণ মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ওরে বাবা, এ আবার কি পিঠা!! দেখতে তো অনেক সুন্দর, নিশ্চয়ই খেতেও অনেক মজা।আমার বাংলা ব্লগ শীতকালীন পিঠা রেসিপি প্রতিযোগিতা আয়োজন না করলে এত সুন্দর সুন্দর পিঠা রেসিপি দেখার ভাগ্য হতো না।আপনি মিষ্টি পান পিঠা তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেন।আপনার তৈরি এই ইউনিক পিঠা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু।আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
এই পিঠাগুলো খেতে আসলে খুব মজাই হয়েছে ভাইয়া। তবে আপনার উচ্চারিত মূলক মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনি অনেক মজাদার ভাবে মিষ্টি পান পিঠা তৈরি করেছেন। যেটা অনেক বেশি ইউনিক ছিল, আর দেখতেও অনেক ভালো লাগছে। এই পিঠাগুলো কখনোই খাওয়া হয় নিই। শীতের সময় বিভিন্ন রকম পিঠা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। দেখে বুঝতে পারছি এই পিঠা অনেক মজা করে খাওয়া হয়েছে। অনেক কিছুর মিশ্রণে এই পিঠা তৈরি করা হয়েছে।
হ্যাঁ আপু আমি অনেক কিছু দিয়ে মিশ্রণে এই পিঠা বানিয়েছি। সুন্দর মন্তব্য করে সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপনি তো দারুণ একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করলেন। পিঠার নাম দিলেন মিষ্টি পান পিঠা। পানের ভিতরে বেশ সুন্দর সুন্দর খাবার খেজুর, কিসমিস, বাদাম দিয়ে তৈরি করলেন। নিশ্চিন্তে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগবে এই পিঠা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেন।
আসলে আপু এই পিঠা খেতে ভালোই লেগেছে মিষ্টি জাতীয়। ধন্যবাদ আমার পোষ্টটি নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য শুভেচ্ছা জানাই। আপনি তো দেখছি পিঠার মধ্যেও পান নিয়ে চলে এসেছেন। মিষ্টি পান আমি একদমই খেতে পারি না। কারণ মশলাগুলো আমার কাছে ভালো লাগে না। তবে আপনার পিঠার ভিতরে যে উপকরণ গুলো দিয়েছেন তা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার আইডিয়া খুবই ইউনিক লাগলো। উপস্থাপনাও খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে আপু আমি চেষ্টা করেছি একটু ভিন্নরকম পিঠা রেসিপি করতে। ভালো থাকবেন সব সময় আপু।
একদমই বেনারসি পান মনে হচ্ছে একেবারেই মনে হচ্ছে না যে এটি পান পিঠে৷ তবে আমাদের এদিকে জানেন তো পানের লাড্ডু পাওয়া যায় মানে পান স্বাদের লাড্ডু পাওয়া যায়। সেটা অবশ্য পান বেটেই তৈরি হয়। আপনি সবুজ রং দিয়ে পানের খিলের মত করেছেন বলেই বেশি করে পান মনে হচ্ছে। অনেক ড্রাই ফ্রুটস ব্যবহার করেছেন ফলত খেতে সুস্বাদু হবে এতে দ্বিমত নাই।
আমার পিঠা রেসিপি নিয়ে মন্তব্য করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন আপু।