ABB Contest-57 || পাখির ঘুড়ি তৈরি।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পাখির ঘুড়ি তৈরি। এবারের প্রতিযোগিতাকে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ছোটবেলায় আমরা পলিথিন দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করে উড়াতাম। বলতে গেলে বহু বছর ধরে এর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি এখন এর প্রচলন উধাও হয়ে গেছে বলা যায়। এখনকার ছেলে মেয়েরা শুধুমাত্র মোবাইলে আসক্ত। ছোটবেলার এই ধরনের খেলা গুলো কারো মনে নেই।
বিশেষ করে ঘুড়ি উড়ানো কিন্তু বেসে জনপ্রিয় ছিল। এখনো হয়তো বা কোন কোন জায়গায় এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে আমাদের এদিকে একদম নেই বললেই চলে। প্রথমদিকে কি তৈরি করব সেটা ভাবতে ভাবতেই সময় কেটে গেল। পরে ভাবলাম পাখির মত ঘুড়ি তৈরি করি। কারণ আকাশে যখন পাখি যখন আকাশে উড়বে তখন ভীষণ ভালো লাগে দেখতে। এজন্য আমি বিভিন্ন কালারের পলিথিন এবং রঙিন কাগজ দিয়ে পাখির ঘড়ি তৈরি করতে বসে পড়ি। আমি একটু একটু করে খুব সুন্দর ভাবে ঘুড়িটা তৈরি করে ফেলি। এর পরে এর ফটোগ্রাফি করেছি। আমার কাছে এই ঘুড়িটা দেখতে ভীষণ ভালো লেগেছে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
• রঙিন কাগজ
• পলিথিন
• সুতা
• শলা
• গাম
• কাঁচি
• পেন্সিল
• স্কেল
বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি নীল রঙের একটি পলিথিন নিয়ে নিলাম। এরপর পলিথিন টাকে ভাঁজ করে দুটি ডানা এঁকে কাঁচি দিয়ে কেটে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর একইভাবে আরেকটু ছোট একটি হলুদ রঙিন কাগজ ডানার মত কেটে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর আরেকটু ছোট আরও একটি কমলা রঙের রঙিন কাগজ কেটে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর পলিথিনের ডানার উপরে রঙিন কাগজের ডানা গুলো জোড়া লাগিয়ে দুটি বড় ডানা তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর আরো কিছু রঙিন কাগজ কেটে সুন্দরভাবে জোড়া লাগিয়ে একটি পাখির মাথা তৈরি করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর লাল রংয়ের পলিথিন দিয়ে পাখি গায়ের অংশ তৈরি করে পাখির মাথাটাকে উপরে জোড়া লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর পাখির ডানা দুটির দুপাশে ঘাম লাগিয়ে মাঝখানের অংশটাকে জোড়া লাগিয়ে একটি পাখি তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর নীল রংয়ের পলিথিন এবং লাল রঙের পলিথিন কেটে পাখির লেজ তৈরি করে ঘাম দিয়ে জোড়া লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপর পাখিটি তৈরি করা হয়ে গেলে পিছনের অংশে দুটি শলা লাগিয়ে একটি ঘুড়ি তৈরি করে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে পলিথিন এবং রঙিন কাগজ দিয়ে একটি পাখির ঘুড়ি তৈরি করে নিলাম। আশা করি আমার তৈরি করা এই ঘুড়ি আপনাদের অনেক পছন্দ হবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
খুব সুন্দর একটি ঘুড়ি তৈরি করেছেন ভাইয়া। দেখতে একদম পাখির মতোই মনে হচ্ছে। আকাশে উড়ানোর পর মনে হবে যেন আকাশে পাখি উড়ছে। খুব সুন্দরভাবে তৈরীর প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেছেন। আর ঘুড়িটা দেখতেও খুব কালারফুল লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি ঘুড়ি তৈরি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।
আমি চেষ্টা করেছি ঘুড়িটি পাখির মত বানানোর জন্য। আপনার মন্তব্য শুনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1785526122282889362?t=fq5BMdC5696abepw0tcVwg&s=19
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন যেন ঘুড়ির প্রচলন উঠে গিয়েছে। বর্তমানের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করার পরিবর্তে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার জন্য তাদের শৈশব সুন্দর হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হচ্ছে। যাই হোক আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য খুবই ইউনিক ও চমৎকার একটি পাখির ঘুড়ি বানিয়েছেন। আপনার এই ঘুড়ি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। পাখিটিকে দেখতে বেশ কিউট দেখাচ্ছে। বিভিন্ন কালার ব্যবহার করাতে দেখতে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ঘুড়ি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু এখন ঘড়ির প্রচলন উঠে গিয়েছে। আগে ছোট থাকতে অনেক ঘুড়ি উড়াতাম আকাশে। তবে আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পাখির ঘুড়ি দেখতে জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। আসলে প্রতিযোগিতার জন্য সবাই অনেক সুন্দর সুন্দর ঘুরি তৈরি করতেছে। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পাখির ঘুড়ি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে বলে মন্তব্য করার জন্য।
ঘুড়ির সাথে খুব একটা পরিচয় নেই আমার। ছোটবেলায় মাঝে মাঝে দেখা যেত অনেকেই ঘুরে উড়াতো। এখন তো একেবারে দেখা যায় না তবে আমার মেয়ে বিভিন্ন কার্টুন দেখে ঘুড়ি কিনে চায়। আপনি পলিথিন ও রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর একটি ঘুড়ি বানিয়েছেন। ঘুড়িটি দেখতে আসলে অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে আপু আমি চেষ্টা করেছি ঘুড়িটি সুন্দরভাবে বানানোর জন্য। তবে আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো।
ইউনিক একটি ঘুরি আজ বানিয়েছেন আপনি।আমি এমন ঘুরি আগে কখুনো দেখিনাই।খুবই চমৎকার লাগকছে।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো এগিয়ে যান। প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
ঘুড়ি নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ ভালো থাকবেন ভাই
প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের এই সুন্দর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পাখির ঘুড়ি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই। এই প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাই।
আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো। এই ধরনের মন্তব্য শুনলে অনেক ভালো লাগে।
প্রথমে অভিনন্দন জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনার তৈরি কৃত পাখি ঘুড়িটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। এটি আকাশে উড়ালে চমৎকার লাগবে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
তবে ঠিক বলেছেন এটি আকাশে উড়ালে দেখতে চমৎকার লাগতো। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
অসাধারণ সুন্দর পাখি ঘুরি বানিয়েছেন ভাইয়া প্রতিযোগিতার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে জন্য। বর্তমানে বাচ্চাদের খেলার প্রধান হাতিয়ার মোবাইল ফোন তারা কি করে বুঝবে ঘুরি খেলার আনন্দ কেমন।আপনার ঘুড়িটি ভীষণ চমৎকার সুন্দর হয়েছে। যখন উড়িয়েছেন তখন একদমই পাখি উড়ছে এমন লাগছে দেখতে। ধাপে ধাপে গুছিয়ে বানাবো পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়ে পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তবে এখনকার বাচ্চারা মোবাইল ছাড়া কিছুই বুঝেনা। আগে আমরা ছোট থাকতে ঘুড়ি উড়াতাম বানিয়ে। মন্তব্য শুনে অনেক ভালো।
পলিথিন এবং রঙিন কাগজ দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করে, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে প্রথমেই জানাচ্ছি অনেক অনেক ধন্যবাদ। খুবই সুন্দর করে আপনি পুরো ঘুড়িটা তৈরি করেছেন। পাখির ঘুড়ি হওয়াতে দেখতে অনেক সুন্দর এবং কিউট লাগতেছে। পলিথিন দুটা ভিন্ন কালারের হওয়াতে আরো বেশি ভালো লেগেছে দেখতে। কালারফুল একটা পাখির ঘুড়ি হওয়াতে আমার কাছে পুরোটা অসম্ভব ভালো লেগেছে। আপনার হাতের কাজটা সত্যি অনেক সুন্দর এবং নিখুঁত ছিল।
আসলে আমি কুড়িটি একটু ভিন্নরকম বানানোর চেষ্টা করেছি। তাই আমি পলিথিন এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করেছি। তবে আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।