ডাব বিক্রয়ের মুহূর্তে ভিডিও ধারণ
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি ভিডিও পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের দেখাতে চলেছি গাছের ডাব বিক্রয় করার মুহূর্তে ধারণ করা ভিডিও। গাছি আঙ্কেলের ডাব সংরক্ষণ করা দেখতে ভালো লাগবে আপনাদের।
ভিডিওগ্রাফি
প্রায় মাঝেমধ্যে আমাদের গাছে ডাব বিক্রয় করা হয়। ডাব বিক্রয় করার মুহূর্তে ডাব খাওয়ার সুযোগ মিলে। ঠিক তেমনি একটা ভিডিও আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম। ডাব গাছ থেকে পাড়ার শেষে গাছি আঙ্কেল ডাবগুলো অনেক সুন্দর ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছিলেন। ওই মুহূর্তে শশুর আব্বা গেছি আঙ্কেলের ভ্যান গাড়িতে বসে উনার কাজ দেখছিলেন আর গল্প করছিলেন। আমিও বাবুকে নিয়ে পাশে অবস্থান করছিলাম। আমার বাবু ডাবের জল অনেক বেশি পছন্দ করে। যখনই দেখা যায় ডাব পাড়া হচ্ছে, আমার বাবু ডাবের জল খাওয়ার জন্য পিস লাগে। ছোট মানুষ,কখন গাছের তলে চলে যায় এবং বেকায়দা সৃষ্টি হয় তার নেই ঠিক। তাই তাকে সামলিয়ে রাখতে আশেপাশে অবস্থান করতে হয় বুঝ দেওয়ার জন্য। গাছি গাছ থেকে নেমে আসলেই তার দিয়ে ডাব কেটে নেওয়া সম্ভব হয়। এমনি একটা মুহূর্তে আমারও সুযোগ হয়ে যায় ভিডিও ধারণ করার। তাই সুযোগ বুঝে আমিও ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
বছরের কিছু কিছু মুহূর্ত রয়েছে যখন গাছে অনেক বেশি ডাব ধরে। একটা মুহূর্তে আমি জানতাম আমাদের দেশে মোবাইলের নেটওয়ার্ক ও টাওয়ারের কারণে নাকি ডাব ধরা কমে গেছে। তবে এখন এমন একটা সময় চলে এসেছে। মানুষ বলে যে আবহাওয়া জনিত কারণে গাছে ডাব কম ধরে। তবে আমাদের বাড়িতে দুইটা কাজ ছিল। সেখানে এমনটা লক্ষ্য করেছি কিন্তু কখনো ডাব বিক্রয় করা হয়নি। শ্বশুরবাড়িতে আসার পরে এখানে আমি লক্ষ্য করে দেখি বেশ ভালো বিক্রয় করে। তবে আমার শ্বশুরের মুখ থেকে শুনেছি। গাছের এমন এমন কাইন হতো,প্রত্যেক কাইনে নাকি ৫০ টা করেও ডাব হতো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে। একটি কাইনে সর্বোচ্চ 10 থেকে কুড়িটা বেশি হয় না। উনি বলেছিলেন ওনাদের ছোটবেলা থেকে দীর্ঘ 2000 সাল পর্যন্ত লক্ষ্য করে এসেছেন প্রচুর ডাব ধরত গাছে। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে আস্তে আস্তে গাছের ডাব ধরা কমে গেছে। শুধু নিজেদের গাছগুলো তো নয়। আশেপাশে অন্যান্য মানুষের গাছে একই অবস্থা।
শুধু যে পুরাতন গাছগুলোতে ডাবধারা কমে গেছে তা কিন্তু নয়। আমার শ্বশুর আর গাছি আঙ্কেলের কথা থেকে জানতে পারলাম। ২০০০ সালের পর থেকে হয়তো টাওয়ারের কারণ অথবা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ছোট বড় সকল পর্যায়ের গাছে ডাব ধারা কমে গেছে। একটা সময় আমার শশুর আব্বা ডাব বিক্রয় করেছেন দেড় টাকা দুই টাকা পিস। এখন সেই ডাব বিক্রয় করেন ৬০ টাকা পিস। গাছি আঙ্কেল বললেন, যখন ব্যবসা শুরু করেছিলেন তখন উনি ৫ টাকা করে ডাব কিনে নিয়ে গেছেন এবং বাজারে ২০ টাকা করে বিক্রয় করেছেন। এখন ৬০ টাকা করে কিনে নিয়ে যান, ১০০ থেকে ১৪০ টাকা পিস করে বিক্রয় করে থাকেন। তবে প্রত্যেকদিন যে ডাব কিনতে পান তা কিন্তু নয়। আগে প্রত্যেকদিন গাড়ি বুঝাই করে ডাব কিনে নিয়ে যেতেন। আর এখন কুড়ি পঁচিশটা গ্রামে খোঁজ করে করে এক ভ্যান ডাব হয় না। সেগুলো বিক্রয় করতে আবার দুই-তিনদিন লেগে যায়। ব্যাপক দাম হওয়ার ফলে কাস্টমার কম কেনে। আর এভাবেই তাদের গল্প শুনতে শুনতে আমিও ভিডিও ধারণ করে ফেলেছিলাম। একদিকে ডাব খাওয়া হলো, আরেক দিকে গল্প শোনা হলো, আবার পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করে আপনাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া হলো।
ভিডিওটি দেখার জন্য ধন্যবাদ
ফটোগ্রাফি ও ভিডিও | ডাব বিক্রয়ের ভিডিও |
---|---|
স্থান | গাংনী |
লোকেশন | Location |
মোবাইল | Huawei P30 Pro-40mp |
youtube চ্যানেল | @Raj-pakhi |
ক্রেডিট | @jannatul |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
দেশ | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
মোবাইল নেটওয়ার্কের কারণে এবং এই যে ৪জি ৫জি এত হাই স্পিড নেট আমরা ব্যবহার করি এই সমস্ত টাওয়ারের কারণে প্রকৃতি বিপর্যস্ত। শুধু ডাব ধরাই যে ঘুমিয়ে গেছে তা নয় প্রচুর পাখি অবলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও জনজীবনে এর মারাত্মক এফেক্ট রয়েছে। বিজ্ঞানের উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের এই কঠিন পরিবেশ গিলে নিতে হচ্ছে। আজকাল তো বারবারই মনে হয় বিজ্ঞান কি সত্যিই আশীর্বাদ নাকি পাশাপাশি অভিশাপ উপহার দিয়ে এগিয়ে চলা সমান্তরাল সরলরেখা।
আজকের কাজ সম্পন্ন
X--promotion
অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দরভাবে ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করতে দেখে। হ্যাঁ একটা সময় আমাদের গাছে অনেক ডাব হত শুনেছি। এখন বিভিন্ন কারণে কম হয়ে থাকে। তাই সবাই মনে করে যে আবহাওয়া জনিত কারণ আর নেটওয়ার্কের কারণে গাছে ফল কম ধরছে। তবে জানিনা এর পেছনে বিশেষ কি কারণ রয়েছে।
নেটওয়ার্ক জনিত কারণ বেশি মনে করা হয়