রেনডম ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।
রেনডম ফটোগ্রাফি
প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বেশ কিছু পাতিহাঁস। পাতিহাঁস গুলো একটি গাছের গোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। পুকুরপাড়ে এভাবে পাতিহাঁস দাঁড়িয়ে থাকা দেখতে খুবই ভালো লাগে আমার। তাই মাঝেমধ্যে এগুলোর ফটো ধারণ করার চেষ্টা করি। পাতিহাঁস আমি বুঝতে পছন্দ করি কিন্তু হাতে কলে ছোট বাবু থাকায় অনেকদিন পোষা হচ্ছে না। তবে খুব শীঘ্রই আবারো পাতিহাঁস পালবো।
এখানে খুব সুন্দর একটি দুপুর মণি ফুল আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। এই ফুলটা আমাদের বাড়িতে হয়েছে এবার। আমার কাছে বেশ ভালো লাগে এই ফুলের সৌন্দর্য দেখে। কত সুন্দর গোলাকৃতির পাপড়ি একটার পর একটা মিলানো। তার মাঝখানে আবার রয়েছে ছোট ছোট পাপরি। সব মিলে বেশ দারুন লাগে এই লাল কালারের দুপুর মনি ফুল গুলো।
দূর থেকে মোবাইল জুম করে ধারণ করেছিলাম একটি স্কুল অথবা কলেজের চিত্র। এটা স্কুল নাকি কলেজ সঠিক আমার জানা নেই, তবে কিছুদিন আগে মায়ের বাসায় যেতে ফটোটা ধারণ করেছিলাম একটি স্থানে দাঁড়িয়ে। ঘন সবুজ ধানের ফসলের মাঠ তারপর এই যেন স্কুলটা দেখা যাচ্ছিল।
এখানে একটি মুরগি দেখতে পারছেন বেড়ার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। মাঝে মাঝে এমন পশুপাখি দেখলে হঠাৎ মাথায় আছে ফটো ধারণ করি, ফটো ধারণ করতে খুব ভালো লাগে।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আকাশের চাঁদ কে কত সুন্দর ভাবে আমি ক্যামেরাবন্দি করেছি। একদম সম্পূর্ণ অবস্থায় চাঁদকে ক্যামেরাবন্দি করতে পেরেছি। তবে এই চারটা ছিল চাঁদনী রাতের আকাশের চাঁদ। একটু জুম করে ধারণ করায় মনে হচ্ছে না চাঁদনী রাতের চাঁদ।
এটা একটি ইটের ভাটা। আমার ছোট খালাম্মার বাসাতে যাওয়ার সময় প্রায় এই ইটের ভাটাটা লক্ষ্য করি। অনেক ভালো লাগে এমন ইটের ভাটা গুলো দূর থেকে দেখতে। তাই সেদিন যাওয়ার সময় তাকে বলেছিলাম মোটরসাইকেল একটু থামাতে। সেখানে অনেক কিছু দেখার ছিল তাই কয়েকটা ফটো ধারণ করেছিলাম।
এটা আপনারা দেখতে পারছেন সৌর প্যানেল দিয়ে পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা। এর আগে এগুলো কখনো দেখিনি। এ কয়েক বছর ধরে এমন কিছু জিনিস চোখে বাধছে। এগুলো কারেন্ট ছাড়াই পানি তুলতে পারে সূর্যের আলো দিয়ে। আধুনিক প্রযুক্তির এমন উন্নতি হওয়ায় অনেক সুবিধা হয়েছে মানুষের।
একদিন সবজি উত্তোলন করতে পুকুর পাড়ে উপস্থিত হলাম। হঠাৎ করে ঘন কালো মেঘ জমতে থাকলো আকাশের চারপাশে। আমি তো বেশ ভয় পেয়ে গেছিলাম। যত দ্রুত সম্ভব বাড়ির দিকে যেতে হবে। কারণ মোবাইল ধরলেই ইউটিউবে লক্ষ্য করছি বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। আমি বজ্রপাতের ভয়ে দ্রুত সবজি তোলা বাদ দিয়ে রাজের আব্বুর সাথে বাড়ি চলে আসছিলাম। তবে তখন তার মাছের খাবার দিতে একটু দেরি হওয়ার মুহূর্তে কয়েকটা ফটো ধারণ করে নিয়েছিলাম।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পুকুরপাড়ের একটা ঘর। এই ঘরের মধ্যে মাছের খাবার পানি তোলা মটর সহ কৃষি কাজের বিভিন্ন জিনিস রেখে দেওয়া হয়। প্রায় পুকুরে এভাবে ঘর করে রাখে। আমাদের পুকুর পাড়েও একটা ঘর ছিল। এখন সেই ঘরটা নষ্ট হয়ে গেছে। আবারো নাকি একটা ঘর তৈরি করবে। মাঝে মাঝে আমার রাজের ছোট আব্বু রাতে পুকুর পাহারা করে, তাই শুয়ে বসে থাকার জন্য এবং শাকসবজি উৎপাদন করা, যন্ত্রপাতি রেখে দেওয়ার জন্য ও মাছের খাবার রেখে দেওয়ার জন্য ঘর প্রয়োজন। এই ঘরটা আমাদের পুকুরেরপাশের চাচাদের।
এখানে আপনারা দেখছেন অনেক বড় একটি সুন্দর কলার কাইন। পুকুর পাড়ে অনেক রকমের কলাগাছ থাকে। আমাদের পুকুর পাড়েতেও রয়েছে বেশ কয়েক রকমের কলাগাছ। তার মধ্যে এটা একটা উন্নত জাতের। পুকুর পাড়ের উর্বর মাটির জন্য কলা গুলো বেশ অনেক বড়সড়ো হয়ে থাকে।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | মেলা থেকে ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আপনি বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু। গ্রাম বাংলার এত সুন্দর বৈচিত্র আমার দেখতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে মুরগি দৃশ্যটা খুবই সুন্দর ছিল। আর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং ফুলের দৃশ্য গুলো দেখে ভালো লেগেছে।
এটা তুহিন ভাইদের সবজি বাগানের উপর মুরগি।
বিভিন্ন পর্যায়ের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং বর্ণনার সাথে তুলে ধরেছেন। আর এই থেকে কিন্তু অনেক কিছু জানাও দেখার সুযোগ হলো। বেশ ভালো লাগলো প্রত্যেকটা সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে।
হ্যাঁ রেনডম ফটোগ্রাফিতে অনেক কিছু দেখা যায়।
গ্রাম বাংলার প্রকৃতির সৌন্দর্য অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে চাঁদের ফটোগ্রাফি সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। বিশেষ করে চাঁদের ফটোগ্রাফি আর ফুলের ফটোগ্রাফি সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এ মোবাইলটার ক্যামেরা ভালো তাই চাঁদের ফটো ধারণ করা যায়
আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্টটি দেখে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি করতে বেশ দক্ষতার প্রয়োজন।নিদ্দিষ্ট অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি না তুলতে পারলে ভালো লাগে না দেখতে। আপনি সবকিছু খুব সুন্দর করে মেইনটেইন করে ছবিগুলো তুলেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার এই মোবাইলটার ক্যামেরা একটু ভালো।
বাহ অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন তো আজকে আপনি। আপনার এক একটা ফটোগ্রাফি সত্যি অসাধারণ হয়েছে। সত্যি আপনার ফুলের ফটোগ্রাফিটি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো ।এবং কলার কাইন এর ফটোগ্রাফিও চমৎকার হয়েছে। চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
গ্রামে থেকেই এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করা সম্ভব আপু। গ্রামের প্রত্যেকটা দৃশ্য খুবই সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে অনেক অনেক খুশি হলাম।