কুমড়ার শাক রান্না রেসিপি
আজ - বুধবার
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছেন সকলের। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মহান সৃষ্টিকর্তার নাম মুখে রেখে উপস্থিত হলাম আপনাদের মাঝে সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য, আশা করি আমার এই রান্নার উপস্থাপনা আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে। আজকে আমি খুব সহজে আপনাদের মাঝে শাক রান্না করে দেখাবো। যেখানে থাকবে শুধু কুমড়া পাতাও ডাটার শাক। আর এই পোস্টের মধ্য থেকে জানতে পারবেন আমি কিভাবে রান্নার কাজ সম্পন্ন করেছি। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে, রান্নার কার্যক্রম শুরু করি।
১. | কুমড়ার শাক | এক ঝুড়ি |
২. | পেঁয়াজ কুচি | ২ পিস |
৩. | রসুন কুচি | ১ পিস |
৪. | কাঁচা মরিচ | ১৫ পিস |
৫. | সয়াবিন তেল | ৭৫ গ্রাম |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | পানি | পরিমাণ মতো |
প্রথমে চুলা অন করলাম। এরপর চুলার উপর কড়াইটা বসিয়ে দিলাম। এরপর কড়াইয়ের মধ্যে তেল ঢেলে দিলাম। তেল গরম হতে থাকলো।
এবার গরম তেলের মধ্যে পেঁয়াজ রসুনের ফালি গুলো দিয়ে দিলাম। পেঁয়াজ রসুনের ফালি কিছুটা সময় ধরে ভাজি হতে থাকলো।
তেলেভাজা পেঁয়াজ রসুনের উপর শাক পাতা গুলো দিয়ে দিলাম।
এবার শাক পাতা আস্তে আস্তে সিদ্ধ হতে থাকলো। এবার সেই শাকের উপর ঝাল পেঁয়াজ রসুনসহ যাবতীয় মসলাগুলো একের পর এক দিতে থাকলাম। এরপর সেগুলো আস্তে আস্তে নাড়তে থাকলাম চামচ দিয়ে।
কিছুটা সময় ধরে কড়াইয়ের উপর ঢাকনা দিয়ে রাখলাম। যেন দ্রুত শাক পাতাগুলো সিদ্ধ হতে পারে। তাই কিছুটা সময় আমি অপেক্ষা করলাম আর জ্বাল দিতে থাকলাম। এরপর ঢাকনা খুলে নির্দিষ্ট পরিমাণ লবণ ছিটিয়ে দিলাম। এরপর হালকা একটু পানি দিলাম। এরপর আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। এভাবে কিছুটা সময় অতিক্রম হলো এবং কড়াই থেকে ঢাকনা তুলে ফেললাম।
কড়াই থেকে ঢাকনা তুলে দেওয়ার পর চামচ দিয়ে বারবার করে নাড়তে থাকলাম। দেখতে পাচ্ছেন পাতাগুলো কত সুন্দরভাবে সিদ্ধ হয়ে গেছে এবং অল্প হয়ে গেছে। এদিকে ঝাল পেঁয়াজ রসুনের ফালি গুলো ভালোভাবে নাড়তে থাকলাম যেন শাকের গুণগতমান ভালো হয়।
এরপর একটা সময় আমার শাক পাতা রান্না প্রায় শেষের দিকে চলে আসলো। ইতোমধ্যে আমিও পরীক্ষা করে দেখে নিলাম গুণগতমান ঠিক আছে কিনা ঝাল লবণ ঠিক আছে কিনা। আর এভাবে একটি পর্যায়ে আমার রান্নার কার্যক্রম শেষ হয়ে আসলো।
শাক রান্নার পর চুলা বন্ধ করে দিলাম। এরপর একটি প্লেটের মধ্যে শাকগুলো উঠিয়ে নিলাম। আর এভাবে আমার রান্নার কার্যক্রম শেষ হয়ে গেল। খুব সহজে রান্না হল কুমড়ার শাক।
পরিবেশন
এরপর খাওয়ার মুহূর্তে আমি এবং আমার পরিবারের কয়েকজন মিলে, আমার হাতে রান্না করা এই কুমড়ার শাক খেলাম। অনেকে এই কুমড়ার পাতা পছন্দ করে না তবে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর আমি নিজ দায়িত্বে রান্না করে খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে কুমড়ার শাক খাওয়ানোর প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি করেছি। যারা আমাকে বেশ প্রশংসা করল। আর এভাবেই রান্না খাওয়ার কাজ সম্পন্ন হল একটি মুহূর্তে।
Photo device | Itel vision 1 |
---|---|
বিষয় | সুস্বাদু শাক রেসিপি |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আহা। প্রিয় রান্না। কুমড়ো শাকের এরম ভাজা আমি এই কয়েকদিন আগেই খেলাম। চমৎকার লেগেছিল৷ তবে আমাদের বাড়িতে বেশি ডাল দিয়ে হত৷ সেটাও বেশ লাগে খেতে। এদেশে পশ্চিমবঙ্গের বাইরের লোকেরা কুমড়ো শাক খুব একটা খায় না। তাই আমিও বাজারে পাই না। রান্নাও করা হয় না সেইভাবে।
এই ধরনের রেসিপিগুলো একদিকে যেমন সুস্বাদু খেতে হয় তেমনি অন্য দিক থেকে সবথেকে পুষ্টিকরক। আর এই কুমড়া শাক ভাজি আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। আর আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই খাবার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কুমড়ার শাক ভাজি খেতে আমি খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে, আর যদি সাথে শুকনা মরিচ থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই।আজকে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে কুমড়া শাক ভাজি রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে।
কুমড়ো শাক অনেক সুস্বাদু একটি শাক।বর্তমানে খুব সুন্দর তরতাজা কুমড়ো শাক পাওয়া যায়।আপনি অনেক লোভনীয় করে কুমড়ো শাক করেছেন। অনেক লোভনীয় হয়েছে আপনার কুমড়ো শাক রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় কুমড়ো শাক রান্না পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
কুমড়ার শাক যেভাবে রান্না করা হয় খেতে বেশ মজাই লাগে। আজকে আপনি কুমড়া শাক এবং কুমড়োর ডাটা দিয়ে মজার রেসিপি করেছেন। কিছুদিন আগে আমি নিজেও কুমড়ার শাক রান্না করেছিলাম। আর এই সময় যে কোন শাক রান্না করে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আর শাকের মধ্যে হালকা পেয়াজ ও হালকা তেল দাগ করে রান্না করলে খেতে বেশ মজাই লাগে। মজার কুমড়ার শাকের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
কুমড়ো শাক আমার খুবই প্রিয়। তবে বর্তমানে তো এগুলো বাজারে পাওয়াই যায় না। গ্রামের দিকে গেলে পাওয়া যায়। এই কুমড়ো শাক গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগে। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই রেসিপি দেখে।