ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে গাংনী শহরের ফটোগ্রাফি ও স্মৃতি স্মরণ
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। গাংনী বাজারে উপস্থিত হয়েছিলাম সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্ত চেকআপ করার জন্য। তাইলে হাসপাতালে আসার মুহূর্তে বেশ অনেক জায়গা থেকে ফটো ধারণ করেছি। আজকে আমি গাংনী শহরের সেই চিত্রগুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য আবারো গাংনী সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়েছিলাম। তবে এবার ফটো ধারণ করার এমন পরিস্থিতি ছিল না। তাই হঠাৎ মাথায় আসলো প্রথম যেদিন গিয়েছিলাম সেদিনের অনেক ফটো ধারণ করেছিলাম। তাই আজকে গাংনী শহরের উপস্থিত হওয়ার মুহূর্তের বেশ কিছু ফটো আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম। শুরুতেই আপনারা যে ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন এটা ঈদগাহ ময়দানের গেট। কিছুটা পথ এগিয়ে গেলেই গাংনী শহরের ঈদগাহ ময়দান। এর আগে তেমন কোন গেট ছিল না। তবে যা দেখলাম প্রচুর টাকা খরচ করে এমন একটা গেট তৈরি করেছে। আর এভাবেই অটো গাড়িতে চড়ে গাংনী শহরের সুন্দর রূপ দেখতে দেখতে হসপিটালের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম। অটো গাড়িচালক আমাদের আঙ্কেল। উনাকে রিজার্ভ করে নিয়ে এনেছিলাম এবং বলেছিলাম শহরে উপস্থিত হওয়ার আগে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে যেন কিছু ফটো ধারণ করতে পারে। উনি আমার কথা শুনে ছিলেন এবং আসতে আসতে গাড়ি টানছিলেন।
আমি যে সময় ডিগ্রী কলেজে লেখাপড়া করেছি তখন ২০১২-১৩ সাল। বড় আঙ্কেলের বাসায় থেকে স্টাডি করেছি। তাই শহরের এই বাজারটা আমার কাছে বেশি পরিচিত। এই সমস্ত হাইরোড গুলো তখন অনেক চিকন ছিল। রাস্তার দুই পাশ দিয়ে অনেক জায়গা পড়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে রাস্তাগুলো অনেক প্রশস্ত হয়ে গেছে। তারপরেও রাস্তার এপাশে ওপাশে বেশ জায়গা রয়েছে। অনেকদিন পর গাংনী শহরে উপস্থিত হয়ে যেন নতুন রূপ দেখছিলাম। বাস পাওয়ার জন্য কলেজ গেট থেকে বের হয়ে বেশ কিছুটা পথ এগিয়ে আসতাম। তখন রাস্তার পাশ দিয়ে অনেক বড় বড় বটগাছও ছিল। এখন সেগুলো সব কাটা পড়ে গেছে, রাস্তার কোল ঘেঁষে আর কোন গাছ নেই। আজ থেকে ১০-১২ বছর আগের গাংনী শহর আর এখনকার শহর অনেক পার্থক্য হয়ে গেছে। জায়গায় জায়গায় কত সুন্দর সব বিল্ডিং হয়ে গেছে। আমরা যেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাচ্ছি, সেই জায়গাতে ঝোপঝাড় বেঁধে থাকতো। এখন বিল্ডিং আর বিল্ডিং। প্রথম দিন রাস্তার কাজ চলমান দেখেছিলাম। তবে গতকাল যখন গিয়েছিলাম তখন দেখলাম অনেক জায়গায় রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
সত্যি দুনিয়ার বুকে কোন জিনিস যেন থেমে নেই। সবকিছু নিজ নিজ গতিতে চলমান। আমরা যখন ইন্টারে পড়তাম তখন বিয়ের সাজঘর টা তৈরি করছিল। শুনেছিলাম যারা দোকানটা দিচ্ছেন তারা দুইটা ভাই যমজ। কলেজে তাদের আসা যাওয়া ছিল। সেই থেকে ছেলে দুইটাকে চিনতাম। এখনো তাদের সেই বিয়ের সাজঘর রয়ে গেছে। সুন্দরভাবে সাজিয়েছে দেখলাম। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গার মানুষের বিয়ের বাসর ঘর সাজানোর বিষয়ে জিনিসগুলো কেনাকাটা করতে এখানে আসে। সেই অনেকদিন আগে দেখেছি। এই ঘরের আশেপাশে অনেক ট্রাক থেমে থাকতো। এখন সেই পড়ে থাকার জায়গা সব রোড হয়ে গেছে। তবে হসপিটাল বাজারে এসে উপস্থিত হয়ে লক্ষ্য করে দেখলাম তালগাছ গুলো রয়ে গেছে। বাংলাদেশের তালগাছ কাটা নিষিদ্ধ। তাই রাস্তার পাশে দোকানের পাশে তালগাছগুলো এখনো দন্ডায়মান, দেখে ভালো লাগছিল।
আর এভাবে আবারো সেই হসপিটালে উপস্থিত হলাম। রক্ত দিয়েছিলাম। রক্ত পরীক্ষা করা হলো। এরপর আজকের রেজাল্ট পেলাম। আগের তুলনায় কিছুটা রক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। রক্ত স্বল্পতার জন্য বিভিন্ন সমস্যা ফেস করি। বেশ অনেকদিন ধরে ওষুধ খেয়ে এবং নিয়ম মেনে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে আলহামদুলিল্লাহ। আবারো এক মাস পরে আবার চেকাপের জন্য আসতে বলেছেন। চেষ্টা করব আগামী বার আসলে আবারো গাংনী শহরের ফটো ধারণ করার জন্য। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। শুধু এবার ফটো ধারণ করতে পারলাম না মোবাইলে চার্জ না থাকায় বাড়িতে রেখে এসেছিলাম। এটা যেন আমাদের প্রাণের শহর। দীর্ঘ দুইটা বছর এই স্থানে আমার চলাচল ছিল বান্ধবীদের সাথে। কলেজ গেট থেকে বের হয়ে এসে রাস্তার পাশে থাকা দোকান থেকে অনেক কিছু কিনে খেয়েছি। একসাথে মার্কেট করতে গেছি। সরকারি হসপিটালে উপস্থিত হয়েছি বিভিন্ন কারণে। এখন যেন এগুলো সব স্মৃতি হয়ে রয়েছে। বান্ধবীর আওয়ার আগের মত নেই। যে যার মত নিজ নিজ সংসারে লিপ্ত হয়ে গেছে।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | গাংনী শহরের ফটোগ্রাফি |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে গেলে ডক্টরের শরণাপন্ন হতেই হয়। তবে অনেক সময় আসলে ছবি তোলার মতো পরিস্থিতি থাকে না। যাইহোক আপু আগের তোলা ছবিগুলোই আপনি এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। সেই সাথে আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
X-promotion
আজকের কাজ কমপ্লিট